ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া গেছে; তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে: এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় আনসার-ভিডিপি বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের এনআইডি তথ্য যাচাই সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার, (৭ মে ২০২৫) ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বুধবার মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ দুটো প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে। দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে তখন আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের নাগরিকের তথ্য যা ইসিতে সংরক্ষিত তা রক্ষা করতে তারা বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান মহাপরিচালক।
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাই সেবা নিতে ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনার পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সেবাও বন্ধ রয়েছে। অভিযুক্ত ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো ব্র্যাক ব্যাংক ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এনআইডি উইং মহাপরিচালক কবীর বলেন, ‘আমরা বুধবার জানতে পারি ডেটা নিরাপত্তার স্বার্থে দৈনন্দিন যে চেকিং থাকে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করি। মনিটরিংয়ে বুধবার আমাদের কাছে তথ্য আসে, মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তখন আমরা একটু কনসার্ন হই, যারা মনিটরিংয়ে ছিলেন তারা আরও ভালোভাবে চেক করেন।’
তিনি বলেন, ‘যে লিংক থেকে ডেটা লিক হচ্ছিল, ওই লিংকে ক্লিক করলে এ দুটো প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে।’
তথ্য ফাঁস বন্ধে ইসি ‘চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেও জানিয়েছেন এনআইডি উইং মহাপরিচালক কবীর।
নিজেদের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি এ রকম এ ডেটা আপনাদের, আমাদের, সবার। আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। নিরাপদ রাখার স্বার্থে যখন আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছি এ দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে তখন আমরা সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।’
তদন্ত নিয়ে মহাপরিচালক কবীর বলেন, ‘ইতোমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বলেছি এটার ব্যাপারে আমাদের যে নিয়ম-কানুন রয়েছে, প্রোটেকশন মেজারস নিতে বলি, সেগুলো নিশ্চিত করবেন। যারা জড়িত বলে আপনাদের কাছে প্রতীয়মান হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন।’
ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া গেছে; তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে: এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় আনসার-ভিডিপি বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের এনআইডি তথ্য যাচাই সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার, (৭ মে ২০২৫) ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বুধবার মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ দুটো প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে। দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে তখন আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের নাগরিকের তথ্য যা ইসিতে সংরক্ষিত তা রক্ষা করতে তারা বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান মহাপরিচালক।
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাই সেবা নিতে ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনার পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সেবাও বন্ধ রয়েছে। অভিযুক্ত ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো ব্র্যাক ব্যাংক ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এনআইডি উইং মহাপরিচালক কবীর বলেন, ‘আমরা বুধবার জানতে পারি ডেটা নিরাপত্তার স্বার্থে দৈনন্দিন যে চেকিং থাকে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করি। মনিটরিংয়ে বুধবার আমাদের কাছে তথ্য আসে, মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তখন আমরা একটু কনসার্ন হই, যারা মনিটরিংয়ে ছিলেন তারা আরও ভালোভাবে চেক করেন।’
তিনি বলেন, ‘যে লিংক থেকে ডেটা লিক হচ্ছিল, ওই লিংকে ক্লিক করলে এ দুটো প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে।’
তথ্য ফাঁস বন্ধে ইসি ‘চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেও জানিয়েছেন এনআইডি উইং মহাপরিচালক কবীর।
নিজেদের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি এ রকম এ ডেটা আপনাদের, আমাদের, সবার। আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। নিরাপদ রাখার স্বার্থে যখন আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছি এ দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে তখন আমরা সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।’
তদন্ত নিয়ে মহাপরিচালক কবীর বলেন, ‘ইতোমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বলেছি এটার ব্যাপারে আমাদের যে নিয়ম-কানুন রয়েছে, প্রোটেকশন মেজারস নিতে বলি, সেগুলো নিশ্চিত করবেন। যারা জড়িত বলে আপনাদের কাছে প্রতীয়মান হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন।’