ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে হওয়ার মতো পরিবেশ, পরিস্থিতি এখনও দেখতে পাচ্ছেন না জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারেরও কিছু ঘাটতি রয়েছে। এই জামায়াত নেতার ভাষায়, সবার জন্য সমান সুযোগ, এটা ভোটের দিনের ইস্যু নয়। নির্বাচনের ‘বেশ আগে থেকেই’ এই সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে মনোযোগী হতে হবে।
রোববার,(১৮ মে ২০২৫) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সংলাপে এসব কথা বলেন তাহের। তার নেতৃত্বে জামায়াতের ১১ সদস্যর একটি প্রতিনিধিদল এদিন সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ (জুলাই সনদ) তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ লক্ষ্যে যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন, সেটি কমিশনের একার দায়িত্ব নয়।
দেশের রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
কমিশন দ্রুততম সময়ে তৈরি করার কথা বললেও ‘জুলাই সনদ’ গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত করার পক্ষে জামায়াতে ইসলামী। রোববার সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে সংলাপ শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের জানান।
*ইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন*
সংলাপে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই জামায়াত নেতা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে তাদের; কারণ তাদের বিচারে, নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ নিতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরিতে আরও বেশি ‘মনোযোগ’ দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন এই জামায়াত নেতা।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী নির্বাচনও একেবারে সঠিক সুষ্ঠু হবে এমন পরিস্থিতি এখনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কারণ কোনো কোনো নির্বাচনি এলাকায় ইতোমধ্যে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পাবনায় আটঘরিয়া এলাকায় জামায়াতের অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিছু মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এখনও নির্বাচনের তারিখই হয়নি, জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সেজন্য নির্বাচন সংস্কার কমিটির যিনি চেয়ারম্যান আছেন, আমি তাকে ওয়েলকাম করছি।’
*কমিশনের একার দায়িত্ব নয়*
দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে উল্লেখ করে সংলাপে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা শুধু কমিশনের দায়িত্ব নয়; এটি রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি এবং অন্যান্য সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তির সম্মিলিত দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-একদিনের মধ্যে শেষ করে শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।’ তার বিশ্বাস, প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা থাকবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সে সব বিষয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনায় কিছু বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে উঠলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও মতপার্থক্য রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও কিছু বিষয় নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে পুনরায় আলোচনার প্রয়োজন, তা চলমান রয়েছে।
*অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাটতি*
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে কিছুটা ‘ঘাটতি আছে’ বলেও মন্তব্য করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ‘জেনে, অথবা না জেনে, কিছু কিছু পদক্ষেপ এমন আছে, যেখানে নিরপেক্ষতার অথবা দক্ষতার অভাব আছে। আমি মনে করি, এমন একটি ব্যবস্থা আমাদের করা উচিত, যে ব্যবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু, সঠিক হবে, তার জন্য যা করা দরকার তাই করতে হবে। এর জন্য যদি কঠোর হতে হয়, তাই হতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হলে তাই করতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’
* অবসরের পরেও শাস্তির বিধান*
নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘গত ১৫ বছর বা তার আগেও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু অনেকেই সেটি করেননি। এটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনারদের ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য খুব বেশি শাস্তির বিধান নেই।’ নির্বাচন কমিশনারদের চাকরি চলে যাওয়া বা অবসরের পরেও যাতে তাদের আইনের আওতায় আনার বিধান করতে প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
* দুদকের ওয়াচডগ*
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিষয়ে জামায়াতের প্রস্তাবের বিষয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক সময় দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে সবার কাছে চিহ্নিত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দলের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যেটি দুর্নীতি দমন কমিশনের ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করবে। কমিশনের কেউ দুর্নীতিতে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করবে। আমাদের এই প্রস্তাবের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরাও একমত হয়েছেন।’
আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের মধ্যে- নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াতের আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির, প্যানেল সদস্য মহিউদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে হওয়ার মতো পরিবেশ, পরিস্থিতি এখনও দেখতে পাচ্ছেন না জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারেরও কিছু ঘাটতি রয়েছে। এই জামায়াত নেতার ভাষায়, সবার জন্য সমান সুযোগ, এটা ভোটের দিনের ইস্যু নয়। নির্বাচনের ‘বেশ আগে থেকেই’ এই সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে মনোযোগী হতে হবে।
রোববার,(১৮ মে ২০২৫) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সংলাপে এসব কথা বলেন তাহের। তার নেতৃত্বে জামায়াতের ১১ সদস্যর একটি প্রতিনিধিদল এদিন সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ (জুলাই সনদ) তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ লক্ষ্যে যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন, সেটি কমিশনের একার দায়িত্ব নয়।
দেশের রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
কমিশন দ্রুততম সময়ে তৈরি করার কথা বললেও ‘জুলাই সনদ’ গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত করার পক্ষে জামায়াতে ইসলামী। রোববার সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে সংলাপ শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের জানান।
*ইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন*
সংলাপে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই জামায়াত নেতা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে তাদের; কারণ তাদের বিচারে, নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ নিতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরিতে আরও বেশি ‘মনোযোগ’ দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন এই জামায়াত নেতা।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী নির্বাচনও একেবারে সঠিক সুষ্ঠু হবে এমন পরিস্থিতি এখনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কারণ কোনো কোনো নির্বাচনি এলাকায় ইতোমধ্যে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পাবনায় আটঘরিয়া এলাকায় জামায়াতের অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিছু মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এখনও নির্বাচনের তারিখই হয়নি, জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সেজন্য নির্বাচন সংস্কার কমিটির যিনি চেয়ারম্যান আছেন, আমি তাকে ওয়েলকাম করছি।’
*কমিশনের একার দায়িত্ব নয়*
দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে উল্লেখ করে সংলাপে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা শুধু কমিশনের দায়িত্ব নয়; এটি রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি এবং অন্যান্য সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তির সম্মিলিত দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-একদিনের মধ্যে শেষ করে শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।’ তার বিশ্বাস, প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা থাকবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সে সব বিষয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনায় কিছু বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে উঠলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও মতপার্থক্য রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও কিছু বিষয় নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে পুনরায় আলোচনার প্রয়োজন, তা চলমান রয়েছে।
*অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাটতি*
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে কিছুটা ‘ঘাটতি আছে’ বলেও মন্তব্য করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ‘জেনে, অথবা না জেনে, কিছু কিছু পদক্ষেপ এমন আছে, যেখানে নিরপেক্ষতার অথবা দক্ষতার অভাব আছে। আমি মনে করি, এমন একটি ব্যবস্থা আমাদের করা উচিত, যে ব্যবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু, সঠিক হবে, তার জন্য যা করা দরকার তাই করতে হবে। এর জন্য যদি কঠোর হতে হয়, তাই হতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হলে তাই করতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’
* অবসরের পরেও শাস্তির বিধান*
নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘গত ১৫ বছর বা তার আগেও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু অনেকেই সেটি করেননি। এটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনারদের ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য খুব বেশি শাস্তির বিধান নেই।’ নির্বাচন কমিশনারদের চাকরি চলে যাওয়া বা অবসরের পরেও যাতে তাদের আইনের আওতায় আনার বিধান করতে প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
* দুদকের ওয়াচডগ*
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিষয়ে জামায়াতের প্রস্তাবের বিষয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক সময় দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে সবার কাছে চিহ্নিত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দলের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যেটি দুর্নীতি দমন কমিশনের ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করবে। কমিশনের কেউ দুর্নীতিতে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করবে। আমাদের এই প্রস্তাবের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরাও একমত হয়েছেন।’
আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের মধ্যে- নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াতের আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির, প্যানেল সদস্য মহিউদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।