সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। তার ডিসেম্বরের মধ্যে ‘নির্বাচন, নয়তো আন্দোলনে’ যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এজন্য মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে অন্তর্বর্তী সরকার বড় বড় মেগা প্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনার মতো দেশের উন্নয়ন দেখাতে চাচ্ছে: আমীর খসরু
কাউকে কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
রোববার,(১৮ মে ২০২৫) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ইস্যুতে শেখ হাসিনার সুরেই কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা চাই ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে। আমি তো ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা মনে করি না। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরেও হতে পারে। নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়ে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। এরপর থেকে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশ যাওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। সরকার এমনভাবে চলছে যেন তারা নির্বাচিত সরকার। সরকার বারবার বলছে, সংস্কার করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব হবে। কিন্তু সেই ঐকমত্যটা কোথায় হচ্ছে, সেটি তারা বলছে না।’ ঐকমত্যে যাওয়া সংস্কার প্রকাশ করে প্রয়োজনে সেগুলো সমাধান করে দ্রুত রোডম্যাপ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার, তাদের দায়িত্ব ছিল একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া। কিন্তু তারা নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
করিডোর ইস্যু, বিনিয়োগ সম্মেলন, বন্দর দিয়ে দেয়া এসব ক্ষমতা তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কে দিয়েছে? এমন প্রশ্ন রেখে খসরু বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের সংস্কার দেখতে চাই না। মানুষ মালিকানা ফিরে পেতে চায়, নির্বাচন চায়।’ নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে অন্তর্বর্তী সরকার বড় বড় মেগাপ্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনার মতো দেশের উন্নয়ন দেখাতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ তার।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘৯ মাসের পরীক্ষায় এই সরকার উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অভ্যুত্থানের অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সময়মতো নির্বাচন না দিলে, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে। তখন আন্দোলন শুরু হলে বিএনপিকে কেউ আটকাতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। নবীন দলের উদ্যোগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জয়নুল আবদিনের অভিযোগ, ‘কাউকে কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। তারেক রহমান আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তাই বসে আছি। কিন্তু এই ধৈর্যের ফল যদি হয় নির্বাচন বিলম্বিত, তাহলে সেই ধৈর্যের বাঁধ আমরা ভেঙে ফেলবো। তখন কেউ থামতে বললেও থামবো না। নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই যদি সময়মতো নির্বাচন দেয়া না হয়।’ বর্তমান সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান জয়নুল আবদিন ফারুক।
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জয়নুল আবদিন ফারুক। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে পালিয়ে যেতে যারা সাহায্য করছেন অবিলম্বে তাদের নাম প্রকাশ করার দাবি জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
দলের জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নতুন সদস্য সংগ্রহ করব, তবে তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে আমাদের মানদ- অনুযায়ী নতুন সদস্য নেব। আওয়ামী লীগের যারা অতীতে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয় তারা বিএনপিতে আসতে পারবেন। দল বিষয় না, অপকর্ম না করলে বিএনপি তাদের নেবে।’
খসরু আরও বলেন, ‘সহাবস্থানের রাজনীতি চায় বিএনপি। সহনশীল সাংঘর্ষিক রাজনীতি চায় না তারা। মানুষ সাংঘর্ষিক মব রাজনীতি আর দেখতে চায় না। ভিন্নমত পোষণ করেও ভিন্ন রাজনৈতিক ধারণা চালু করতে চায় বিএনপি।’ বাংলাদেশে আমরা একটা স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।’
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। তার ডিসেম্বরের মধ্যে ‘নির্বাচন, নয়তো আন্দোলনে’ যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এজন্য মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে অন্তর্বর্তী সরকার বড় বড় মেগা প্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনার মতো দেশের উন্নয়ন দেখাতে চাচ্ছে: আমীর খসরু
কাউকে কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
রোববার,(১৮ মে ২০২৫) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ইস্যুতে শেখ হাসিনার সুরেই কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা চাই ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে। আমি তো ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা মনে করি না। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরেও হতে পারে। নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়ে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। এরপর থেকে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশ যাওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। সরকার এমনভাবে চলছে যেন তারা নির্বাচিত সরকার। সরকার বারবার বলছে, সংস্কার করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব হবে। কিন্তু সেই ঐকমত্যটা কোথায় হচ্ছে, সেটি তারা বলছে না।’ ঐকমত্যে যাওয়া সংস্কার প্রকাশ করে প্রয়োজনে সেগুলো সমাধান করে দ্রুত রোডম্যাপ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার, তাদের দায়িত্ব ছিল একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া। কিন্তু তারা নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
করিডোর ইস্যু, বিনিয়োগ সম্মেলন, বন্দর দিয়ে দেয়া এসব ক্ষমতা তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কে দিয়েছে? এমন প্রশ্ন রেখে খসরু বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের সংস্কার দেখতে চাই না। মানুষ মালিকানা ফিরে পেতে চায়, নির্বাচন চায়।’ নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে অন্তর্বর্তী সরকার বড় বড় মেগাপ্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনার মতো দেশের উন্নয়ন দেখাতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ তার।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘৯ মাসের পরীক্ষায় এই সরকার উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অভ্যুত্থানের অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সময়মতো নির্বাচন না দিলে, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে। তখন আন্দোলন শুরু হলে বিএনপিকে কেউ আটকাতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। নবীন দলের উদ্যোগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জয়নুল আবদিনের অভিযোগ, ‘কাউকে কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। তারেক রহমান আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তাই বসে আছি। কিন্তু এই ধৈর্যের ফল যদি হয় নির্বাচন বিলম্বিত, তাহলে সেই ধৈর্যের বাঁধ আমরা ভেঙে ফেলবো। তখন কেউ থামতে বললেও থামবো না। নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই যদি সময়মতো নির্বাচন দেয়া না হয়।’ বর্তমান সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান জয়নুল আবদিন ফারুক।
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জয়নুল আবদিন ফারুক। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে পালিয়ে যেতে যারা সাহায্য করছেন অবিলম্বে তাদের নাম প্রকাশ করার দাবি জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
দলের জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নতুন সদস্য সংগ্রহ করব, তবে তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে আমাদের মানদ- অনুযায়ী নতুন সদস্য নেব। আওয়ামী লীগের যারা অতীতে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয় তারা বিএনপিতে আসতে পারবেন। দল বিষয় না, অপকর্ম না করলে বিএনপি তাদের নেবে।’
খসরু আরও বলেন, ‘সহাবস্থানের রাজনীতি চায় বিএনপি। সহনশীল সাংঘর্ষিক রাজনীতি চায় না তারা। মানুষ সাংঘর্ষিক মব রাজনীতি আর দেখতে চায় না। ভিন্নমত পোষণ করেও ভিন্ন রাজনৈতিক ধারণা চালু করতে চায় বিএনপি।’ বাংলাদেশে আমরা একটা স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।’