ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আসছে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। শনিবার,(১১ অক্টোবর ২০২৫) এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ছায়া সংসদে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট হবে কি না তা বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব দেবে ঐকমত্য কমিশন।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে একটি অধ্যাদেশ জারির ‘মতামত’ পাওয়ার মধ্য দিয়ে গত বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপের (আলোচনা) সমাপ্তি ঘটে। কমিশন জানায়, রাষ্ট্র সংস্কারের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা সম্বলিত জুলাই জাতীয় সনদে আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষর করবে রাজনৈতিক দলগুলো।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার শনিবারের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নির্বাচনী ও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে। ক্ষমতার পালাবদলে যাতে দুর্নীতির পালাবদল না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুবই জরুরি। গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি ক্ষমতার সঙ্গে জাদুরকাঠি যুক্ত ছিল। বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্য, মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতদের সম্পদ আকাশচুম্বি হয়েছে। এটা বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও স্বৈরাচারী আইন-কানুন কাঠামো এখনো বহাল রয়েছে। এসব কাঠামোই তাকে স্বৈরাচার বানিয়েছে।’
বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রসঙ্গ টেনে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে এসব কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাই আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন। সুশাসন ও জবাবদিহিতা না থাকলে কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। ভবিষ্যৎ সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না করলে তাদের পরিণতিও শেখ হাসিনার মত হতে পারে। এই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বৈরাচারী কাঠামোর বিলোপ হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে- তারা এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
আসছে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। শনিবার,(১১ অক্টোবর ২০২৫) এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ছায়া সংসদে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট হবে কি না তা বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব দেবে ঐকমত্য কমিশন।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে একটি অধ্যাদেশ জারির ‘মতামত’ পাওয়ার মধ্য দিয়ে গত বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপের (আলোচনা) সমাপ্তি ঘটে। কমিশন জানায়, রাষ্ট্র সংস্কারের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা সম্বলিত জুলাই জাতীয় সনদে আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষর করবে রাজনৈতিক দলগুলো।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার শনিবারের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নির্বাচনী ও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে। ক্ষমতার পালাবদলে যাতে দুর্নীতির পালাবদল না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুবই জরুরি। গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি ক্ষমতার সঙ্গে জাদুরকাঠি যুক্ত ছিল। বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্য, মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতদের সম্পদ আকাশচুম্বি হয়েছে। এটা বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও স্বৈরাচারী আইন-কানুন কাঠামো এখনো বহাল রয়েছে। এসব কাঠামোই তাকে স্বৈরাচার বানিয়েছে।’
বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রসঙ্গ টেনে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে এসব কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাই আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন। সুশাসন ও জবাবদিহিতা না থাকলে কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। ভবিষ্যৎ সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না করলে তাদের পরিণতিও শেখ হাসিনার মত হতে পারে। এই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বৈরাচারী কাঠামোর বিলোপ হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে- তারা এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে।’