হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা -সংবাদ
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সোমবার,(০৩ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৭২ হাজার ৮শ’ ২২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১ জন মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে ২৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৮৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন ও সিলেট বিভাগে ৯ জন রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৫৭ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ৪০ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৭২ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ১৩৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১৫৯ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ১৩৯ জন এবং ৮০ বছর বয়সের ৪ জন। এভাবে প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেলে ১৭২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৯ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেলে ১৮২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৮২ জন, এভাবে সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ৩ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু এডিস মশা প্রজননের জন্য উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি বাংলাদেশে।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১২৬ ধরনের মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ১৪-১৬ প্রজাতির মশার তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া , ম্যালেরিয়া , ফাইলেরিয়া ও অ্যানসেফালাইটিস।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্র্থতার মূল কারণ হলো মশক নিধন কার্যক্রম এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। সিটি করপোরেশনগুলো থেকে নানা কর্মসূচি নিলেও তার কার্যকারিতা সীমিত। এছাড়া জনসচেতনতার ঘাটতিও রয়েছে। অনেক পরিবার এখনও ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথেষ্ট সতর্ক নয়। অনেকের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, পানি রাখার কলস, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি এবং ড্রামের মতো জায়গায় সহজেই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা -সংবাদ
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সোমবার,(০৩ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৭২ হাজার ৮শ’ ২২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১ জন মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে ২৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৮৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন ও সিলেট বিভাগে ৯ জন রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৫৭ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ৪০ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৭২ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ১৩৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১৫৯ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ১৩৯ জন এবং ৮০ বছর বয়সের ৪ জন। এভাবে প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেলে ১৭২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৯ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেলে ১৮২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৮২ জন, এভাবে সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ৩ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু এডিস মশা প্রজননের জন্য উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি বাংলাদেশে।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১২৬ ধরনের মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ১৪-১৬ প্রজাতির মশার তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া , ম্যালেরিয়া , ফাইলেরিয়া ও অ্যানসেফালাইটিস।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্র্থতার মূল কারণ হলো মশক নিধন কার্যক্রম এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। সিটি করপোরেশনগুলো থেকে নানা কর্মসূচি নিলেও তার কার্যকারিতা সীমিত। এছাড়া জনসচেতনতার ঘাটতিও রয়েছে। অনেক পরিবার এখনও ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথেষ্ট সতর্ক নয়। অনেকের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, পানি রাখার কলস, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি এবং ড্রামের মতো জায়গায় সহজেই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।