alt

জাতীয়

সুন্দরবন রক্ষায় কোন অন্যায় দাবির সঙ্গে আপোষ নয়

বিষ দিয়ে মাছ ধরা ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ। এতে জীববৈচিত্র্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে : হাইকোর্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২

সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ আহরণকে ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে উচ্চ আদালত। এক রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত আশঙ্কা করছে, ‘বিষ প্রয়োগে মাছ আহরণ অব্যাহত থাকলে পুরো সুন্দরবন এলাকার মৎস্যশূন্য হয়ে যাবে। এমনকি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলছে, ‘সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য রক্ষায় কোনভাবেই কোন অন্যায় দাবির সঙ্গে আপোষ করা যাবে না।’

সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কাঁকড়া পরিবহনে ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবহার সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেয় হাইকোর্ট।

প্রায় এক বছর আগে (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম (এখন আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ওই রায়ের ১৪ পৃষ্ঠার অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

গত ৮ আগস্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী আল-ফয়সাল সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘রায়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেশকিছু অভিমত ও ৭টি নির্দেশনা এসেছে।’

রায়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য রক্ষায় যে সাতটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে-

১. রিটকারীরাসহ কাঁকড়া জেলেরা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সুন্দরবনের সংশ্লিষ্ট স্টেশন অফিসে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে পাস (অনুমতি) সংগ্রহ করে কেবল বৈঠা চালিত নৌকা এবং ‘দোন দড়ি’র মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন।

২. কোন অবস্থাতেই সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত এলাকার খালের ভেতরে কোন ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলার চলাচল করা যাবে না। এজন্য বন বিভাগসহ সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চলাচলকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।

৩. পাস নিয়ে কাঁকড়া আহরণের জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশের সময় বন বিভাগের স্টেশন অফিস থেকে কঠোরভাবে সংশ্লিষ্ট নৌকা ও নৌকার লোকদের পরীক্ষা করতে হবে। যাতে কোন প্রকার ‘চারু’ (কাঁকড়া ধরার জন্য বাঁশের শলা দ্বারা নির্মিত চাঁই, যা স্থানীয়ভাবে চারু নামে পরিচিত) এবং ‘বিষ’ কিংবা অন্য কোন বেআইনি জিনিস বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতে না পারে। এ ক্ষেত্রে দিনের বেলা তাদের নৌকা পরীক্ষা করে সুন্দরবনের প্রবেশের অনুমতি দেয়া সমীচীন হবে।

৪. প্রতিটি নৌকা পাস নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশকালে তাদের জন্য কী কী করণীয় এবং কী করা দন্ডনীয় সে সম্পর্কিত হ্যান্ডবিল/পোস্টার সরবরাহ করা যেতে পারে।

৫. যেহেতু সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবাহিত নদী ও খালগুলো থেকে মাছ আহরণ করে তা জেলেপল্লী দুবলা থেকে সংগ্রহ করে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলারের মাধ্যমে পরিবহন করে বাজারজাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সেহেতু অনুরূপভাবে বৈঠাচালিত নৌকা দ্বারা কেবল ‘দোন দড়ি’ পদ্ধতিতে কাঁকড়া আহরণ করে তা দুবলা জেলে পল্লীসহ সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অন্য যেকোন স্বীকৃত স্থানে যেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকার/ ট্রলারের যাতায়াতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখান থেকে সংগ্রহ করে দ্রুত বাজারজাত করার জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলারে পরিবহনের অনুমতি দিতে হবে।

এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলারে কাঁকড়া পরিবহনের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করতে হবে এবং ওইসব ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলার সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশকালে স্থানীয় স্টেশন অফিস কর্তৃপক্ষ ওই নৌকা/ট্রলার কঠোরভাবে পরীক্ষা করে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেবে, যাতে কোন প্রকার বেআইনি জিনিস, যা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য ধ্বংস করতে পারে, তা যেন সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতে না পারে।

৬. সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়মিতভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় বাজার, ওষুধের দোকানসহ কৃষির জন্য সার, ওষুধ ও বীজ বিক্রির দোকানগুলোতে অনুসন্ধান করতে হবে যাতে ওই এলাকায় অননুমোদিত কোন বিষ বিক্রি করা না হয়।

৭. পাস সংগ্রহ করে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশকালে কিংবা সুন্দরবনে অবস্থানকালে কাঁকড়া জেলেসহ মৎস্য জেলে ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাছে কোনোরূপ বেআইনি দ্রব্য পাওয়া গেলে তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতেবে।

ছবি

থাইল্যান্ডের রাজা-রানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ

ছবি

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন এম ইউ কবীর চৌধুরী

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মানবাধিকার কমিশন

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

ছবি

দু’দিনের সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

ছবি

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি

আনু মুহাম্মদের পায়ে ‌‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, বাড়লো আরও ৩ দিন

tab

জাতীয়

সুন্দরবন রক্ষায় কোন অন্যায় দাবির সঙ্গে আপোষ নয়

বিষ দিয়ে মাছ ধরা ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ। এতে জীববৈচিত্র্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে : হাইকোর্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২

সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ আহরণকে ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে উচ্চ আদালত। এক রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত আশঙ্কা করছে, ‘বিষ প্রয়োগে মাছ আহরণ অব্যাহত থাকলে পুরো সুন্দরবন এলাকার মৎস্যশূন্য হয়ে যাবে। এমনকি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলছে, ‘সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য রক্ষায় কোনভাবেই কোন অন্যায় দাবির সঙ্গে আপোষ করা যাবে না।’

সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কাঁকড়া পরিবহনে ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবহার সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেয় হাইকোর্ট।

প্রায় এক বছর আগে (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম (এখন আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ওই রায়ের ১৪ পৃষ্ঠার অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

গত ৮ আগস্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী আল-ফয়সাল সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘রায়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেশকিছু অভিমত ও ৭টি নির্দেশনা এসেছে।’

রায়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য রক্ষায় যে সাতটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে-

১. রিটকারীরাসহ কাঁকড়া জেলেরা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সুন্দরবনের সংশ্লিষ্ট স্টেশন অফিসে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে পাস (অনুমতি) সংগ্রহ করে কেবল বৈঠা চালিত নৌকা এবং ‘দোন দড়ি’র মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন।

২. কোন অবস্থাতেই সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত এলাকার খালের ভেতরে কোন ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলার চলাচল করা যাবে না। এজন্য বন বিভাগসহ সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চলাচলকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।

৩. পাস নিয়ে কাঁকড়া আহরণের জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশের সময় বন বিভাগের স্টেশন অফিস থেকে কঠোরভাবে সংশ্লিষ্ট নৌকা ও নৌকার লোকদের পরীক্ষা করতে হবে। যাতে কোন প্রকার ‘চারু’ (কাঁকড়া ধরার জন্য বাঁশের শলা দ্বারা নির্মিত চাঁই, যা স্থানীয়ভাবে চারু নামে পরিচিত) এবং ‘বিষ’ কিংবা অন্য কোন বেআইনি জিনিস বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতে না পারে। এ ক্ষেত্রে দিনের বেলা তাদের নৌকা পরীক্ষা করে সুন্দরবনের প্রবেশের অনুমতি দেয়া সমীচীন হবে।

৪. প্রতিটি নৌকা পাস নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশকালে তাদের জন্য কী কী করণীয় এবং কী করা দন্ডনীয় সে সম্পর্কিত হ্যান্ডবিল/পোস্টার সরবরাহ করা যেতে পারে।

৫. যেহেতু সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবাহিত নদী ও খালগুলো থেকে মাছ আহরণ করে তা জেলেপল্লী দুবলা থেকে সংগ্রহ করে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলারের মাধ্যমে পরিবহন করে বাজারজাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সেহেতু অনুরূপভাবে বৈঠাচালিত নৌকা দ্বারা কেবল ‘দোন দড়ি’ পদ্ধতিতে কাঁকড়া আহরণ করে তা দুবলা জেলে পল্লীসহ সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অন্য যেকোন স্বীকৃত স্থানে যেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকার/ ট্রলারের যাতায়াতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখান থেকে সংগ্রহ করে দ্রুত বাজারজাত করার জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলারে পরিবহনের অনুমতি দিতে হবে।

এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলারে কাঁকড়া পরিবহনের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করতে হবে এবং ওইসব ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলার সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশকালে স্থানীয় স্টেশন অফিস কর্তৃপক্ষ ওই নৌকা/ট্রলার কঠোরভাবে পরীক্ষা করে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেবে, যাতে কোন প্রকার বেআইনি জিনিস, যা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য ধ্বংস করতে পারে, তা যেন সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতে না পারে।

৬. সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়মিতভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় বাজার, ওষুধের দোকানসহ কৃষির জন্য সার, ওষুধ ও বীজ বিক্রির দোকানগুলোতে অনুসন্ধান করতে হবে যাতে ওই এলাকায় অননুমোদিত কোন বিষ বিক্রি করা না হয়।

৭. পাস সংগ্রহ করে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশকালে কিংবা সুন্দরবনে অবস্থানকালে কাঁকড়া জেলেসহ মৎস্য জেলে ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাছে কোনোরূপ বেআইনি দ্রব্য পাওয়া গেলে তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতেবে।

back to top