আশির দশকে এম এন লারমা সরকারের বিশেষ মহল ও আন্তর্জাতিক মহলের ষড়যন্ত্রে শহীদ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যেকোনো সশস্ত্র দলের সঙ্গে জনসংহতির দলগত সম্পর্ক নেই। শুনছি যে বিশেষ মহলের উদ্যোগে আরও দু-একটি জাতিগত সশস্ত্র দল গঠনের পাঁয়তারা বা প্রক্রিয়া চলছে।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সম্মেলনকক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর: পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়ন, সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাপেং ফাউন্ডেশন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে হতাশাগ্রস্ত নন উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘আমি তো বুঝি, চুক্তি কেন বাস্তবায়ন হয় না। কারা তার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, কী জন্য? এগুলো তো আমার কাছে অস্পষ্ট নয়। এ জন্য আমার কাছে কোনো হতাশা বাসা বাঁধতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সেটাও মোটামুটিভাবে আমার চিন্তায় অস্পষ্ট নয়। যিনি সংগ্রামী, অধিকারের জন্য যে জীবন দিতে প্রস্তুত, তার কিসের আবার হতাশা। তরুণসমাজের মধ্যে হতাশা থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখি না। কিন্তু তরুণদের তো দেখতে হবে। নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
সভায় এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেজবাহ কামাল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
আশির দশকে এম এন লারমা সরকারের বিশেষ মহল ও আন্তর্জাতিক মহলের ষড়যন্ত্রে শহীদ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যেকোনো সশস্ত্র দলের সঙ্গে জনসংহতির দলগত সম্পর্ক নেই। শুনছি যে বিশেষ মহলের উদ্যোগে আরও দু-একটি জাতিগত সশস্ত্র দল গঠনের পাঁয়তারা বা প্রক্রিয়া চলছে।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সম্মেলনকক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর: পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়ন, সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাপেং ফাউন্ডেশন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে হতাশাগ্রস্ত নন উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘আমি তো বুঝি, চুক্তি কেন বাস্তবায়ন হয় না। কারা তার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, কী জন্য? এগুলো তো আমার কাছে অস্পষ্ট নয়। এ জন্য আমার কাছে কোনো হতাশা বাসা বাঁধতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সেটাও মোটামুটিভাবে আমার চিন্তায় অস্পষ্ট নয়। যিনি সংগ্রামী, অধিকারের জন্য যে জীবন দিতে প্রস্তুত, তার কিসের আবার হতাশা। তরুণসমাজের মধ্যে হতাশা থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখি না। কিন্তু তরুণদের তো দেখতে হবে। নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
সভায় এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেজবাহ কামাল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।