স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বলেছেন, বর্তমান সংকটকালীন আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ সহায়তা দিতে যাচ্ছে, তা যথাসময়ে পরিশোধের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও উচ্চ আয়ের দেশে উত্তরণে আইএমএফ বাংলাদেশকে তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিমএডি) সায়েহর নেতৃত্বে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, প্রায় এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে অর্থ প্রেরণের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, ‘ডেল্টাপ্লান-২১০০’ প্রণয়ন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সামাজিক সুরক্ষা জালের আওতা বর্ধিতকরণ এবং টিসিবি ও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে তাদের মাঝে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণের মতো নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আইএমএফ ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ আরও বলেন, সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ এর অভিঘাতের কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত চাপ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আইএমএফ পাশে থাকবে বলে দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আইএমএফ প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আইএমএফের এডভাইজর টু ডিএমডি আমিনা লেহরিচি, ডেপুটি ডিরেক্টর এনি মেরি গাল্ডি, মিশন চিফ রাহুল আনন্দ, বাংলাদেশ ও ভুটানের আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে। আলোচনায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকট, উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণে আইএমএফের সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বিষয় গুরুত্ব পায়।
মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বলেছেন, বর্তমান সংকটকালীন আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ সহায়তা দিতে যাচ্ছে, তা যথাসময়ে পরিশোধের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও উচ্চ আয়ের দেশে উত্তরণে আইএমএফ বাংলাদেশকে তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিমএডি) সায়েহর নেতৃত্বে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, প্রায় এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে অর্থ প্রেরণের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, ‘ডেল্টাপ্লান-২১০০’ প্রণয়ন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সামাজিক সুরক্ষা জালের আওতা বর্ধিতকরণ এবং টিসিবি ও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে তাদের মাঝে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণের মতো নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আইএমএফ ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ আরও বলেন, সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ এর অভিঘাতের কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত চাপ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আইএমএফ পাশে থাকবে বলে দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আইএমএফ প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আইএমএফের এডভাইজর টু ডিএমডি আমিনা লেহরিচি, ডেপুটি ডিরেক্টর এনি মেরি গাল্ডি, মিশন চিফ রাহুল আনন্দ, বাংলাদেশ ও ভুটানের আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে। আলোচনায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকট, উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণে আইএমএফের সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বিষয় গুরুত্ব পায়।