নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে পন্ড হয়ে গেছে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিজয় মেলা। মহান বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বাতিল করা হয় বিজয় মেলা। তবে বিএনপির সংঘর্ষের কারণে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত বিজয় মেলা পন্ড হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলছেন এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এদিকে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
স্থানীয় বিএনপি ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবসে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সকাল ১০ টায় সময় নির্ধারণ ছিল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান গ্রুপের ও বেলা ১১ টায় সময় ছিল জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম গ্রুপের। কিন্তু আজহারুল ইসলাম মান্নান তার গ্রুপ নিয়ে উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় জড়ো হলেও বিপক্ষ রেজাউল করিম গ্রুপের শ্্রদ্ধা নিবেদন পন্ড করতে তারা সকাল ১০ টায় শহীদ মিনারে না গিয়ে মান্নান গ্রুপের আরো কর্মী সমর্থক জড়ো হবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এদিকে বেলা ১১ টার দিকে অধ্যাপক রেজাউল করিমের গ্রুপ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে অবস্থান করাকালীন মান্নান গ্রুপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে। এসময় উভয় গ্রুপের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় উভয় পক্ষের মারামারি। পরে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেইটের বাইরে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয় মান্নান গ্রুপের লোকজন। আর গেইটের ভেতরে অবস্থান করে রেজাউল গ্রুপ। এদিকে মান্নান গ্রুপের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে গেইটের বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে রেজাউল গ্রুপের উপর। পরে রেজাউল গ্রুপও প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে মান্নান গ্রুপও লাঠীসোটা নিয়ে পাল্টা ধাওয়া করে। দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটাপটকেল নিক্ষেপ ও মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের নূরে ইয়াসিন নোবেল, মোবারক, রনি মোল্লা, জামান, মামুন, খোরশেদ, ফারুক, রিফাত ও আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয় এবং আহতদের উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, রেজাউল করিমের লোকজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে আমাদের নেতা কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে আমাদের লোকজনকে আহত করে। অপরদিকে রেজাউল করিম গ্রুপও একই অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এদিকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত বিজয় মেলা বাতিল ঘোষণা করা হয়। বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে বিজয় মেলা পন্ড হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা রহমান বলছেন এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী জানান, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে পন্ড হয়ে গেছে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিজয় মেলা। মহান বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বাতিল করা হয় বিজয় মেলা। তবে বিএনপির সংঘর্ষের কারণে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত বিজয় মেলা পন্ড হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলছেন এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এদিকে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
স্থানীয় বিএনপি ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবসে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সকাল ১০ টায় সময় নির্ধারণ ছিল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান গ্রুপের ও বেলা ১১ টায় সময় ছিল জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম গ্রুপের। কিন্তু আজহারুল ইসলাম মান্নান তার গ্রুপ নিয়ে উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় জড়ো হলেও বিপক্ষ রেজাউল করিম গ্রুপের শ্্রদ্ধা নিবেদন পন্ড করতে তারা সকাল ১০ টায় শহীদ মিনারে না গিয়ে মান্নান গ্রুপের আরো কর্মী সমর্থক জড়ো হবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এদিকে বেলা ১১ টার দিকে অধ্যাপক রেজাউল করিমের গ্রুপ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে অবস্থান করাকালীন মান্নান গ্রুপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে। এসময় উভয় গ্রুপের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় উভয় পক্ষের মারামারি। পরে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেইটের বাইরে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয় মান্নান গ্রুপের লোকজন। আর গেইটের ভেতরে অবস্থান করে রেজাউল গ্রুপ। এদিকে মান্নান গ্রুপের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে গেইটের বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে রেজাউল গ্রুপের উপর। পরে রেজাউল গ্রুপও প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে মান্নান গ্রুপও লাঠীসোটা নিয়ে পাল্টা ধাওয়া করে। দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটাপটকেল নিক্ষেপ ও মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের নূরে ইয়াসিন নোবেল, মোবারক, রনি মোল্লা, জামান, মামুন, খোরশেদ, ফারুক, রিফাত ও আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয় এবং আহতদের উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, রেজাউল করিমের লোকজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে আমাদের নেতা কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে আমাদের লোকজনকে আহত করে। অপরদিকে রেজাউল করিম গ্রুপও একই অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এদিকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত বিজয় মেলা বাতিল ঘোষণা করা হয়। বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে বিজয় মেলা পন্ড হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা রহমান বলছেন এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী জানান, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।