নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বড় একটি অংশ চাচ্ছে না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের দাবি, বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অনেক দিক থেকে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে, তাই শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে।’
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন যাতে আবারও না হয়, সেটি নিশ্চিত করতেই আমাদের পথ চলতে হবে।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ‘নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ কেমন হবে? রক্তপাতের দিকে বাংলাদেশ যাবে কি না, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যা নিয়ে সবার খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।’
সরকারের সমালোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নানা মহল ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। সুতরাং, দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করা দেশের স্বার্থেই জরুরি।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে ধারণা পেয়েছি নির্বাচন কবে হতে পারে। তবে আমরা আরও পরিষ্কার রোডম্যাপ আশা করছি।’ তিনি জানতে চান, ‘আগামী নির্বাচন কবে এবং সেই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে কি না।’
রুমিন ফারহানা অর্থনৈতিক স্থবিরতার বিষয়েও কথা বলেন। ‘দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ কমে গেছে, যা স্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকায় হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীলতা জরুরি এবং এর জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।’
মামলা বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘মামলা নেওয়ার আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই করুন। সারা দেশে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামের ইতিহাস ভুলে যাবে না। তাই যারা অন্যায় কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন, তাদের সাবধান হওয়া উচিত।’
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বড় একটি অংশ চাচ্ছে না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের দাবি, বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অনেক দিক থেকে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে, তাই শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে।’
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন যাতে আবারও না হয়, সেটি নিশ্চিত করতেই আমাদের পথ চলতে হবে।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ‘নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ কেমন হবে? রক্তপাতের দিকে বাংলাদেশ যাবে কি না, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যা নিয়ে সবার খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।’
সরকারের সমালোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নানা মহল ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। সুতরাং, দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করা দেশের স্বার্থেই জরুরি।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে ধারণা পেয়েছি নির্বাচন কবে হতে পারে। তবে আমরা আরও পরিষ্কার রোডম্যাপ আশা করছি।’ তিনি জানতে চান, ‘আগামী নির্বাচন কবে এবং সেই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে কি না।’
রুমিন ফারহানা অর্থনৈতিক স্থবিরতার বিষয়েও কথা বলেন। ‘দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ কমে গেছে, যা স্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকায় হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীলতা জরুরি এবং এর জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।’
মামলা বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘মামলা নেওয়ার আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই করুন। সারা দেশে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামের ইতিহাস ভুলে যাবে না। তাই যারা অন্যায় কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন, তাদের সাবধান হওয়া উচিত।’