জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন,
> “সেনাবাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রাখা অবস্থায় নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। প্রধান আসামি হিসেবে করা হয়েছে জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকও আসামির তালিকায় রয়েছেন।
মামলায় জড়িত ৩০ আসামির মধ্যে ২২ জনই কর্নেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা।
নাহিদ ইসলাম বলেন,
> “সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাদের দেশে অতীত শাসনামলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা, বিশেষত যারা র্যাব বা ডিজিএফআই-এ দায়িত্বে ছিলেন, তারা গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত। এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরস্ত্র জনগণের ওপরও গুলি চালানো হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন,
> “গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সামনে এক ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কমুক্ত করা, পুনর্গঠন করা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ বন্ধ করার। তাহলেই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপন সম্ভব হবে।”
নাহিদ আশা প্রকাশ করেন, সেনানেতৃত্ব সরকার ও ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন,
> “এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ইগো বা মর্যাদার প্রশ্ন নয়। এটি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। আমরা চাই না সেনাবাহিনী ও বিচারব্যবস্থা কোনোভাবে মুখোমুখি অবস্থানে থাকুক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে যুক্ত হোক।”
---
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন,
> “সেনাবাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রাখা অবস্থায় নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। প্রধান আসামি হিসেবে করা হয়েছে জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকও আসামির তালিকায় রয়েছেন।
মামলায় জড়িত ৩০ আসামির মধ্যে ২২ জনই কর্নেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা।
নাহিদ ইসলাম বলেন,
> “সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাদের দেশে অতীত শাসনামলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা, বিশেষত যারা র্যাব বা ডিজিএফআই-এ দায়িত্বে ছিলেন, তারা গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত। এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরস্ত্র জনগণের ওপরও গুলি চালানো হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন,
> “গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সামনে এক ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কমুক্ত করা, পুনর্গঠন করা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ বন্ধ করার। তাহলেই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপন সম্ভব হবে।”
নাহিদ আশা প্রকাশ করেন, সেনানেতৃত্ব সরকার ও ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন,
> “এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ইগো বা মর্যাদার প্রশ্ন নয়। এটি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। আমরা চাই না সেনাবাহিনী ও বিচারব্যবস্থা কোনোভাবে মুখোমুখি অবস্থানে থাকুক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে যুক্ত হোক।”
---