বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে অযথা টানাটানির অভিযোগ তুলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদ।
‘অযথা ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি’
কারও নাম উল্লেখ না করে মির্জা ফখরুল বলেন,
> “ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি। তোমাদেরকে তোমাদের মার্কা দেবে নির্বাচন কমিশন, সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?”
তিনি আরও বলেন, “কিছু ব্যক্তি বা দল হুমকি দিচ্ছে, বলছে—অমুক মার্কা না দিলে নির্বাচনে যাব না। কিন্তু আমরা তো এমন কিছু বলিনি। তাহলে এই অযথা চাপ কেন?”
‘ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য’
ধানের শীষের জনপ্রিয়তা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
> “ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য, একে থামানো যায় না। গ্রামেগঞ্জে যেখানে যাবেন, একটাই স্লোগান—ধান লাগাও, ধান লাগাও। এ কারণেই ধানের শীষকে আটকে দিতে চাওয়া হচ্ছে। কারণ, ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশের শত্রুরা পরাজিত হয়ে যাবে।”
এনসিপির শাপলা প্রতীক দাবিতে বিতর্ক
এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেও তা নাকচ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন,
> “হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো ধান ও সোনালি আঁশ প্রতীক বাদ দিতে হবে। শাপলা প্রতীক ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন নেবে না।”
এই প্রেক্ষাপটেই বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে মির্জা ফখরুলের মন্তব্য আসে।
‘মনস্টার শেখ হাসিনা দিল্লি পালাতে বাধ্য হয়েছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দানব’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,
> “মনস্টার শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পলাইয়া যায়নি, যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, আমরা সেই ভিত্তি তৈরি করেছি—১৫ বছর সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্ত দিয়ে।”
‘গণতন্ত্র গড়তে ত্যাগ দরকার’
বিএনপি মহাসচিব বলেন,
> “কয়েক দিন লাফালাফি করলে গণতন্ত্র হয় না। গণতন্ত্র গড়তে হলে অনেক পরিশ্রম, ত্যাগ আর জনগণের কাছে যাওয়া দরকার। বিএনপি হলো সেই দল, যারা মানুষের কাছে গিয়ে গণতন্ত্রের লড়াই করে।”
‘আমলাতন্ত্রকে পকেটে নিচ্ছে একটি দল’
আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন,
> “দেখছি, আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেব না। নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার থাকতে হবে।”
শহীদ জেহাদ স্মরণে শপথ
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন,
> “সেদিন অপরাজেয় বাংলার সামনে শহীদ জেহাদের লাশ রেখে আমরা শপথ করেছিলাম স্বৈরাচার পতনের। পরের দিন হরতালে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল, তবু আমরা আবার শপথ নিয়েছিলাম—শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে সফল হই।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
---
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে অযথা টানাটানির অভিযোগ তুলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদ।
‘অযথা ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি’
কারও নাম উল্লেখ না করে মির্জা ফখরুল বলেন,
> “ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি। তোমাদেরকে তোমাদের মার্কা দেবে নির্বাচন কমিশন, সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?”
তিনি আরও বলেন, “কিছু ব্যক্তি বা দল হুমকি দিচ্ছে, বলছে—অমুক মার্কা না দিলে নির্বাচনে যাব না। কিন্তু আমরা তো এমন কিছু বলিনি। তাহলে এই অযথা চাপ কেন?”
‘ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য’
ধানের শীষের জনপ্রিয়তা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
> “ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য, একে থামানো যায় না। গ্রামেগঞ্জে যেখানে যাবেন, একটাই স্লোগান—ধান লাগাও, ধান লাগাও। এ কারণেই ধানের শীষকে আটকে দিতে চাওয়া হচ্ছে। কারণ, ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশের শত্রুরা পরাজিত হয়ে যাবে।”
এনসিপির শাপলা প্রতীক দাবিতে বিতর্ক
এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেও তা নাকচ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন,
> “হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো ধান ও সোনালি আঁশ প্রতীক বাদ দিতে হবে। শাপলা প্রতীক ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন নেবে না।”
এই প্রেক্ষাপটেই বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে মির্জা ফখরুলের মন্তব্য আসে।
‘মনস্টার শেখ হাসিনা দিল্লি পালাতে বাধ্য হয়েছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দানব’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,
> “মনস্টার শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পলাইয়া যায়নি, যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, আমরা সেই ভিত্তি তৈরি করেছি—১৫ বছর সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্ত দিয়ে।”
‘গণতন্ত্র গড়তে ত্যাগ দরকার’
বিএনপি মহাসচিব বলেন,
> “কয়েক দিন লাফালাফি করলে গণতন্ত্র হয় না। গণতন্ত্র গড়তে হলে অনেক পরিশ্রম, ত্যাগ আর জনগণের কাছে যাওয়া দরকার। বিএনপি হলো সেই দল, যারা মানুষের কাছে গিয়ে গণতন্ত্রের লড়াই করে।”
‘আমলাতন্ত্রকে পকেটে নিচ্ছে একটি দল’
আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন,
> “দেখছি, আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেব না। নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার থাকতে হবে।”
শহীদ জেহাদ স্মরণে শপথ
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন,
> “সেদিন অপরাজেয় বাংলার সামনে শহীদ জেহাদের লাশ রেখে আমরা শপথ করেছিলাম স্বৈরাচার পতনের। পরের দিন হরতালে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল, তবু আমরা আবার শপথ নিয়েছিলাম—শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে সফল হই।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
---