alt

নির্বাচন কমিশন ‘চার ভাগ’ হয়ে গেছে, গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা ও দুর্নীতিমুক্ত ইসি না হলে ভোটে যাবে না এনসিপি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) চার ভাগে বিভক্ত। তিনি বলেন, “ইসি চার ভাগ হয়ে রয়েছে; এর এক ভাগ নিয়ে গেছে আর্মি; বাকি তিন ভাগকে দলগুলো ভাগ করে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের প্রিজাইডিং অফিসারও আওয়ামী লীগের লোক, পুলিশেও কোনো পরিবর্তন নেই; ব্যবসায়ীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা আমাদের প্রশ্ন।”

রোববার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির প্রতিনিধি দল। শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় তালিকা থেকে বিকল্প প্রতীক বাছাইয়ের শেষ সময় ছিল এদিন। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতিনিধি দল লিখিত জবাব দিয়ে অনড় অবস্থান তুলে ধরেন।

পাটওয়ারী বলেন, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা থাকতে হবে, নিবন্ধন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে হবে, নির্বাচন কমিশনার দলদাস হতে পারবে না—এসব বিষয় আমরা স্পষ্ট করেছি।” তিনি আরও বলেন, ইসিতে কোনো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে যা খুশি চলতে পারবে না। “আমরা তাদের সতর্ক করেছি। যদি বিষয়গুলো সমাধান না হয়, আমরা সবাইকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।”

এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। পাটওয়ারী বলেন, “এ কমিশনের অধীনে আমরা ভোটে যাব না। যদি বিষয়গুলোর সুরাহা না হয়, আমরা ‘ওয়ে আউট’ দেখাচ্ছি। আমরা ইসির সবার পদত্যাগের জন্য আসিনি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যা প্রয়োজন, সেটি তুলে ধরেছি। যদি তা না হয়, কমিশনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, এবং এই নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

শাপলা প্রতীক বরাদ্দসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত ও দলমুক্ত না হলে কমিশনকে জনরোষের মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।

নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত করতে যাচ্ছে বর্তমান ইসি। ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথে প্রস্তুতি এগোচ্ছে। নতুন দল নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্তের পথে রয়েছে, তবে এনসিপিকে প্রতীক এখনও চূড়ান্তভাবে দেওয়া হয়নি।

পাটওয়ারী ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ইসির টেন্ডার থেকে এনআইডি কাজে দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বাধীন ইসি প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি। ইসিকে আমাদের পছন্দের প্রতীক শাপলা দিতে হবে। আশা করি, শাপলা পেয়ে আমরা নির্বাচন করব।”

তিনি বিএনপি ও জামায়াতের ‘ক্ষমতার রাজনীতি’ সমালোচনা করেন। “বাংলাদেশে আসলে গণতন্ত্র নেই। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। আমরা ইসিকে জাগিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রচেষ্টায় কাজ করছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকলেও আমরা সঠিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। ইসির স্বেচ্ছাচারী আচরণ জাতি দেখছে। বর্তমান ইসি মেরুদণ্ডহীন, গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। যারা নিয়োগ দিয়েছে, তাদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।”

হাসনাত বলেন, “ইসিকে বলব, যেন তারা স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত না নেয়, যাতে নূরুল হুদা কমিশনের মতো পরিণতি না হয়। জনবিদ্বেষ তৈরি হলে তা দমিয়ে রাখা যাবে না।”

ইসির দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে খালেদা সাইফুল্লাহ বলেন, “তারা প্রতীক চাপিয়ে দেবেন; সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এমনভাবে কাজ করতে পারে না। প্রতীক নীতিমালা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান হচ্ছে না।” জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, “বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক চাপিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না।”

রোববার এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি। তবে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় এটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইসি আইনের বাহিরে কোনো কাজ করতে পারে না।”

জুলাই সনদে সইয়ের পরও রাজপথে: ব্যাখ্যা জামায়াতের

জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ ইসলাম

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: জনগণ ‘পরিকল্পিত’ বলে বিশ্বাস করছে বললেন ফখরুল

জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হওয়ায় সই করেনি এনসিপি

ছবি

সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ নাহিদ ইসলাম, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান এনসিপির

ছবি

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ছবি

জুলাই সনদ দিয়ে রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের শুরু: ফখরুল

ছবি

জুলাই সনদ: বাস্তবায়নে দেরি হলে রাজনৈতিক সংকটের ঝুঁকি দেখছে জামায়াত

ছবি

কিছু দল ‘ঐকমত্যের’ নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি ‘কাগজে’ সই করছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

জুলাই সনদে সই না করার সিদ্ধান্ত এনসিপির

ছবি

আমলাতন্ত্র চলবে না, প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করবেন: মির্জা ফখরুল

জুলাই সনদ সইয়ে অনিশ্চয়তা: সিপিবি, এনসিপি, গণফোরামের আপত্তি

ছবি

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনুস

ছবি

সংশোধিত খসড়া না পেলে জুলাই সনদে সই করবে না বাম ধারার চার দল

ছবি

জাতির কাছে সব কিছু স্পষ্ট করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আহ্বান এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেনের

ছবি

‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভারসাম্য নষ্ট হলে রাষ্ট্র ঝুঁকিতে পড়বে’ — প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের সতর্কবার্তা

ছবি

সৈয়দপুরে সিপিবির পথসভা অনুষ্ঠিত

ছবি

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তয়নে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

ছবি

তফসিলের আগেই গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

ছবি

জামায়াতের নভেম্বরে গণভোট দাবি ‘অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান কি না’: প্রশ্ন রিজভীর

ছবি

আগামী নির্বাচনেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: মির্জা ফখরুল ইসলাম

ছবি

শাপলায় অনড় এনসিপি, ‘নিজস্ব পদ্ধতির’ কথা জানালো ইসি

‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ উপদেষ্টাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড থাকার দাবি, জনসমক্ষে প্রকাশের হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার

ছবি

জাতীয় লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অস্তিত্ব যাচাইয়ে পুনঃতদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রতীক বাছাইয়ের নির্দেশ এনসিপিকে

ছবি

রাজনীতিতে আসছি সেবা করতে, ব্যবসা করতে না: মাসুদুজ্জামান

ছবি

পিআরের বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত: ফখরুল

ছবি

আওয়ামী লীগ নেতা আহসানের ‘মুক্তিতে বাধা নেই’

ছবি

আমরা উচ্চ কক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্ন কক্ষে নই: সারজিস

ছবি

আগামী মাসেই গণভোটের দাবি জামায়াতে ইসলামী, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক

ছবি

নির্বাচন: ১০০ আসনে এবি পার্টির প্রার্থী চূড়ান্ত

ছবি

ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি, সেটা করা উচিত হয়নি: ফেসবুক পোস্টে সারজিস

ছবি

পিআরের দাবিতে আন্দোলন: নির্বাচন ‘বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র’ দেখছেন ফখরুল

পঞ্চগড়ে এনসিপির কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ–বিভ্রাট, নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি সারজিসের

ছবি

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, তবে সমতার ভিত্তিতে: ফখরুল

ছবি

জামালপুরে এলডিবি মনোনীত সদর আসনে এমপি প্রার্থী মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইনের গণসংযোগ শুরু

tab

নির্বাচন কমিশন ‘চার ভাগ’ হয়ে গেছে, গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা ও দুর্নীতিমুক্ত ইসি না হলে ভোটে যাবে না এনসিপি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) চার ভাগে বিভক্ত। তিনি বলেন, “ইসি চার ভাগ হয়ে রয়েছে; এর এক ভাগ নিয়ে গেছে আর্মি; বাকি তিন ভাগকে দলগুলো ভাগ করে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের প্রিজাইডিং অফিসারও আওয়ামী লীগের লোক, পুলিশেও কোনো পরিবর্তন নেই; ব্যবসায়ীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা আমাদের প্রশ্ন।”

রোববার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির প্রতিনিধি দল। শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় তালিকা থেকে বিকল্প প্রতীক বাছাইয়ের শেষ সময় ছিল এদিন। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতিনিধি দল লিখিত জবাব দিয়ে অনড় অবস্থান তুলে ধরেন।

পাটওয়ারী বলেন, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা থাকতে হবে, নিবন্ধন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে হবে, নির্বাচন কমিশনার দলদাস হতে পারবে না—এসব বিষয় আমরা স্পষ্ট করেছি।” তিনি আরও বলেন, ইসিতে কোনো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে যা খুশি চলতে পারবে না। “আমরা তাদের সতর্ক করেছি। যদি বিষয়গুলো সমাধান না হয়, আমরা সবাইকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।”

এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। পাটওয়ারী বলেন, “এ কমিশনের অধীনে আমরা ভোটে যাব না। যদি বিষয়গুলোর সুরাহা না হয়, আমরা ‘ওয়ে আউট’ দেখাচ্ছি। আমরা ইসির সবার পদত্যাগের জন্য আসিনি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যা প্রয়োজন, সেটি তুলে ধরেছি। যদি তা না হয়, কমিশনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, এবং এই নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

শাপলা প্রতীক বরাদ্দসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত ও দলমুক্ত না হলে কমিশনকে জনরোষের মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।

নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত করতে যাচ্ছে বর্তমান ইসি। ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথে প্রস্তুতি এগোচ্ছে। নতুন দল নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্তের পথে রয়েছে, তবে এনসিপিকে প্রতীক এখনও চূড়ান্তভাবে দেওয়া হয়নি।

পাটওয়ারী ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ইসির টেন্ডার থেকে এনআইডি কাজে দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বাধীন ইসি প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি। ইসিকে আমাদের পছন্দের প্রতীক শাপলা দিতে হবে। আশা করি, শাপলা পেয়ে আমরা নির্বাচন করব।”

তিনি বিএনপি ও জামায়াতের ‘ক্ষমতার রাজনীতি’ সমালোচনা করেন। “বাংলাদেশে আসলে গণতন্ত্র নেই। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। আমরা ইসিকে জাগিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রচেষ্টায় কাজ করছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকলেও আমরা সঠিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। ইসির স্বেচ্ছাচারী আচরণ জাতি দেখছে। বর্তমান ইসি মেরুদণ্ডহীন, গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। যারা নিয়োগ দিয়েছে, তাদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।”

হাসনাত বলেন, “ইসিকে বলব, যেন তারা স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত না নেয়, যাতে নূরুল হুদা কমিশনের মতো পরিণতি না হয়। জনবিদ্বেষ তৈরি হলে তা দমিয়ে রাখা যাবে না।”

ইসির দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে খালেদা সাইফুল্লাহ বলেন, “তারা প্রতীক চাপিয়ে দেবেন; সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এমনভাবে কাজ করতে পারে না। প্রতীক নীতিমালা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান হচ্ছে না।” জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, “বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক চাপিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না।”

রোববার এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি। তবে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় এটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইসি আইনের বাহিরে কোনো কাজ করতে পারে না।”

back to top