জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) চার ভাগে বিভক্ত। তিনি বলেন, “ইসি চার ভাগ হয়ে রয়েছে; এর এক ভাগ নিয়ে গেছে আর্মি; বাকি তিন ভাগকে দলগুলো ভাগ করে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের প্রিজাইডিং অফিসারও আওয়ামী লীগের লোক, পুলিশেও কোনো পরিবর্তন নেই; ব্যবসায়ীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা আমাদের প্রশ্ন।”
রোববার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির প্রতিনিধি দল। শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় তালিকা থেকে বিকল্প প্রতীক বাছাইয়ের শেষ সময় ছিল এদিন। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতিনিধি দল লিখিত জবাব দিয়ে অনড় অবস্থান তুলে ধরেন।
পাটওয়ারী বলেন, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা থাকতে হবে, নিবন্ধন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে হবে, নির্বাচন কমিশনার দলদাস হতে পারবে না—এসব বিষয় আমরা স্পষ্ট করেছি।” তিনি আরও বলেন, ইসিতে কোনো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে যা খুশি চলতে পারবে না। “আমরা তাদের সতর্ক করেছি। যদি বিষয়গুলো সমাধান না হয়, আমরা সবাইকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।”
এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। পাটওয়ারী বলেন, “এ কমিশনের অধীনে আমরা ভোটে যাব না। যদি বিষয়গুলোর সুরাহা না হয়, আমরা ‘ওয়ে আউট’ দেখাচ্ছি। আমরা ইসির সবার পদত্যাগের জন্য আসিনি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যা প্রয়োজন, সেটি তুলে ধরেছি। যদি তা না হয়, কমিশনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, এবং এই নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
শাপলা প্রতীক বরাদ্দসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত ও দলমুক্ত না হলে কমিশনকে জনরোষের মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত করতে যাচ্ছে বর্তমান ইসি। ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথে প্রস্তুতি এগোচ্ছে। নতুন দল নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্তের পথে রয়েছে, তবে এনসিপিকে প্রতীক এখনও চূড়ান্তভাবে দেওয়া হয়নি।
পাটওয়ারী ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ইসির টেন্ডার থেকে এনআইডি কাজে দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বাধীন ইসি প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি। ইসিকে আমাদের পছন্দের প্রতীক শাপলা দিতে হবে। আশা করি, শাপলা পেয়ে আমরা নির্বাচন করব।”
তিনি বিএনপি ও জামায়াতের ‘ক্ষমতার রাজনীতি’ সমালোচনা করেন। “বাংলাদেশে আসলে গণতন্ত্র নেই। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। আমরা ইসিকে জাগিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রচেষ্টায় কাজ করছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকলেও আমরা সঠিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। ইসির স্বেচ্ছাচারী আচরণ জাতি দেখছে। বর্তমান ইসি মেরুদণ্ডহীন, গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। যারা নিয়োগ দিয়েছে, তাদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।”
হাসনাত বলেন, “ইসিকে বলব, যেন তারা স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত না নেয়, যাতে নূরুল হুদা কমিশনের মতো পরিণতি না হয়। জনবিদ্বেষ তৈরি হলে তা দমিয়ে রাখা যাবে না।”
ইসির দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে খালেদা সাইফুল্লাহ বলেন, “তারা প্রতীক চাপিয়ে দেবেন; সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এমনভাবে কাজ করতে পারে না। প্রতীক নীতিমালা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান হচ্ছে না।” জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, “বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক চাপিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না।”
রোববার এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি। তবে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় এটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইসি আইনের বাহিরে কোনো কাজ করতে পারে না।”
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) চার ভাগে বিভক্ত। তিনি বলেন, “ইসি চার ভাগ হয়ে রয়েছে; এর এক ভাগ নিয়ে গেছে আর্মি; বাকি তিন ভাগকে দলগুলো ভাগ করে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের প্রিজাইডিং অফিসারও আওয়ামী লীগের লোক, পুলিশেও কোনো পরিবর্তন নেই; ব্যবসায়ীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা আমাদের প্রশ্ন।”
রোববার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির প্রতিনিধি দল। শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় তালিকা থেকে বিকল্প প্রতীক বাছাইয়ের শেষ সময় ছিল এদিন। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতিনিধি দল লিখিত জবাব দিয়ে অনড় অবস্থান তুলে ধরেন।
পাটওয়ারী বলেন, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা থাকতে হবে, নিবন্ধন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে হবে, নির্বাচন কমিশনার দলদাস হতে পারবে না—এসব বিষয় আমরা স্পষ্ট করেছি।” তিনি আরও বলেন, ইসিতে কোনো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে যা খুশি চলতে পারবে না। “আমরা তাদের সতর্ক করেছি। যদি বিষয়গুলো সমাধান না হয়, আমরা সবাইকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।”
এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। পাটওয়ারী বলেন, “এ কমিশনের অধীনে আমরা ভোটে যাব না। যদি বিষয়গুলোর সুরাহা না হয়, আমরা ‘ওয়ে আউট’ দেখাচ্ছি। আমরা ইসির সবার পদত্যাগের জন্য আসিনি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যা প্রয়োজন, সেটি তুলে ধরেছি। যদি তা না হয়, কমিশনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, এবং এই নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
শাপলা প্রতীক বরাদ্দসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত ও দলমুক্ত না হলে কমিশনকে জনরোষের মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত করতে যাচ্ছে বর্তমান ইসি। ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথে প্রস্তুতি এগোচ্ছে। নতুন দল নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্তের পথে রয়েছে, তবে এনসিপিকে প্রতীক এখনও চূড়ান্তভাবে দেওয়া হয়নি।
পাটওয়ারী ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ইসির টেন্ডার থেকে এনআইডি কাজে দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বাধীন ইসি প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি। ইসিকে আমাদের পছন্দের প্রতীক শাপলা দিতে হবে। আশা করি, শাপলা পেয়ে আমরা নির্বাচন করব।”
তিনি বিএনপি ও জামায়াতের ‘ক্ষমতার রাজনীতি’ সমালোচনা করেন। “বাংলাদেশে আসলে গণতন্ত্র নেই। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। আমরা ইসিকে জাগিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রচেষ্টায় কাজ করছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকলেও আমরা সঠিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। ইসির স্বেচ্ছাচারী আচরণ জাতি দেখছে। বর্তমান ইসি মেরুদণ্ডহীন, গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। যারা নিয়োগ দিয়েছে, তাদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।”
হাসনাত বলেন, “ইসিকে বলব, যেন তারা স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত না নেয়, যাতে নূরুল হুদা কমিশনের মতো পরিণতি না হয়। জনবিদ্বেষ তৈরি হলে তা দমিয়ে রাখা যাবে না।”
ইসির দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে খালেদা সাইফুল্লাহ বলেন, “তারা প্রতীক চাপিয়ে দেবেন; সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এমনভাবে কাজ করতে পারে না। প্রতীক নীতিমালা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান হচ্ছে না।” জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, “বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক চাপিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না।”
রোববার এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি। তবে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় এটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইসি আইনের বাহিরে কোনো কাজ করতে পারে না।”