এই সরকার সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সেই সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে বর্তমান সংবিধান অনুসারে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংসদে পাস করানোর পর সেই বিষয়গুলো গণভোটে যেতে পারে।
দেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
শনিবার,(০৮ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালটেন্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায়, তাহলে কী হবে, সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল এগুলোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলে, সংঘর্ষ হবে। এজন্য কি আমরা শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি’
সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করাসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল। সেই আন্দোলনকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা।
শনিবার সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ দাবিতে আন্দোলনকারী দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে।’
অনেকে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রামে হত্যাকা-ে সন্ত্রাসীদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার গত ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। আমরা মনে করি যে, আমার দফা, আমার দাবি, আমার চিন্তা না থাকলে এটাকে গ্রহণ করা যাবে না।’
যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, যেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালটেন্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
এই সরকার সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সেই সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে বর্তমান সংবিধান অনুসারে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংসদে পাস করানোর পর সেই বিষয়গুলো গণভোটে যেতে পারে।
দেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
শনিবার,(০৮ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালটেন্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায়, তাহলে কী হবে, সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল এগুলোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলে, সংঘর্ষ হবে। এজন্য কি আমরা শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি’
সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করাসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল। সেই আন্দোলনকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা।
শনিবার সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ দাবিতে আন্দোলনকারী দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে।’
অনেকে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রামে হত্যাকা-ে সন্ত্রাসীদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার গত ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। আমরা মনে করি যে, আমার দফা, আমার দাবি, আমার চিন্তা না থাকলে এটাকে গ্রহণ করা যাবে না।’
যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, যেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালটেন্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।