কুমিল্লা শহরের টাউন হল মাঠে বিএনপির সমাবেশ ছিল গত শনিবার। এর আগের রাতে সমাবেশস্থলে গিয়ে মুঠোফোন হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির আর্ন্তজাতিক–বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। ফোন হারানোর পর থানায় জিডিও করেছেন তিনি। তবে এই ফোন হারানো তাঁর কাছে ‘বেশ অস্বাভাবিক’ ঠেকছে বলে আজ সোমবার জানিয়েছেন তিনি। এর পেছনে কিছু কারণও তুলে ধরেছেন রুমিন ফারহানা।
সমাবেশের আগে-পরে আরও বেশ কয়েকটি মুঠোফোন সেট হারিয়ে যায়। কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশের পর থেকে গতকাল রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় ৭১ জন সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাঁদের মধ্যে রুমিন ফারহানা ছাড়াও সমাবেশে যোগ দেওয়া চিত্রনায়ক হেলাল খানও রয়েছেন।
রুমিন ফারহানা জানান, সমাবেশের আগে গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিনি সমাবেশস্থলে যান। তাঁর কথায়, তখনই সেখানে মিনি সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ ছিলেন সেখানে।
রুমিন বলেন, ‘আমি হাত তুলে সবাইকে শান্ত করেছি। তারপর আমি কথা বলতে শুরু করেছিলাম। আমি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম তখন আমার ব্যাগ ছিল আমার পিএসের কাছে। আমি বক্তব্য শেষ করতেই আমার পিএস জানান, আমার ব্যাগ টান দিয়ে ধরা হয়েছিল। আমি বিষয়টি নিয়ে তখন কোনো পাত্তা দিইনি। এরপর যখন গাড়িতে উঠছি তখন ব্যাগ খুলে দেখি আমার দুটি মুঠোফোনের একটিও নেই।’
রুমিন ফারহানা জানান, তাঁর ব্যাগে দুটি আইফোন ছিল। এর মধ্যে একটি শুধু কথা বলার জন্য ব্যবহার করতেন, অন্যটিতে ডেটা ব্যবহার করা হতো। রুমিন বলেন, ‘দেখলাম, দুটি ফোনের কোনোটাই নেই। এরপর যে ফোনে শুধু কথা বলি, সেটা মাঠে পাওয়া গেল। কিন্তু যেটার ভেতরে আমার নানা তথ্য, ছবি, নথি রাখতাম সেটাই খোয়া গেল। সত্যি বলতে আমার পুরো অফিস ছিল ওই ফোনটাতে। আমি একে স্বাভাবিক বলে মনে করছি না।’
রুমিন ফারহানার পিএস জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘আমার হাতে ব্যাগটি ছিল। একপর্যায়ে দেখি আমার পায়ের ওপর কেউ চাপ দিয়ে রেখেছে। আমার জুতা অর্ধেক খুলে গেছে। আমি বসে জুতা ঠিক করতেই দেখি, কেউ একজন আমার পিঠে আঘাত করেছে। আমি তখন এসব বিষয়ের দিকেই নজর দিয়েছি। পরে দেখি ব্যাগের মুখ খোলা। আমি সেটা আটকে রাখলাম।’
কী কারণে ফোন হারানোর বিষয়টি অস্বাভাবিক—এ বিষয়ে রুমিনের বক্তব্য, ‘বিষয়টি খুব অস্বাভাবিক এ জন্যই যে আমার ব্যাগে দুটি মুঠোফোন ছিল। যদি চোর হতো তাহলে দুটি ফোনই নিয়ে যেত এবং সেই সঙ্গে সাত হাজারের মতো টাকাও ছিল, সেটাও সে নিতে পারত। কিন্তু দেখলাম শুধু আমার যে ফোনে নানা রকম তথ্য ছিল সেটাই নেওয়া হয়েছে। একে আমি কখনোই স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারছি না।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ সনজুর মোর্শেদ আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, রুমিন ফারহানার ফোন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
কুমিল্লা শহরের টাউন হল মাঠে বিএনপির সমাবেশ ছিল গত শনিবার। এর আগের রাতে সমাবেশস্থলে গিয়ে মুঠোফোন হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির আর্ন্তজাতিক–বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। ফোন হারানোর পর থানায় জিডিও করেছেন তিনি। তবে এই ফোন হারানো তাঁর কাছে ‘বেশ অস্বাভাবিক’ ঠেকছে বলে আজ সোমবার জানিয়েছেন তিনি। এর পেছনে কিছু কারণও তুলে ধরেছেন রুমিন ফারহানা।
সমাবেশের আগে-পরে আরও বেশ কয়েকটি মুঠোফোন সেট হারিয়ে যায়। কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশের পর থেকে গতকাল রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় ৭১ জন সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাঁদের মধ্যে রুমিন ফারহানা ছাড়াও সমাবেশে যোগ দেওয়া চিত্রনায়ক হেলাল খানও রয়েছেন।
রুমিন ফারহানা জানান, সমাবেশের আগে গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিনি সমাবেশস্থলে যান। তাঁর কথায়, তখনই সেখানে মিনি সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ ছিলেন সেখানে।
রুমিন বলেন, ‘আমি হাত তুলে সবাইকে শান্ত করেছি। তারপর আমি কথা বলতে শুরু করেছিলাম। আমি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম তখন আমার ব্যাগ ছিল আমার পিএসের কাছে। আমি বক্তব্য শেষ করতেই আমার পিএস জানান, আমার ব্যাগ টান দিয়ে ধরা হয়েছিল। আমি বিষয়টি নিয়ে তখন কোনো পাত্তা দিইনি। এরপর যখন গাড়িতে উঠছি তখন ব্যাগ খুলে দেখি আমার দুটি মুঠোফোনের একটিও নেই।’
রুমিন ফারহানা জানান, তাঁর ব্যাগে দুটি আইফোন ছিল। এর মধ্যে একটি শুধু কথা বলার জন্য ব্যবহার করতেন, অন্যটিতে ডেটা ব্যবহার করা হতো। রুমিন বলেন, ‘দেখলাম, দুটি ফোনের কোনোটাই নেই। এরপর যে ফোনে শুধু কথা বলি, সেটা মাঠে পাওয়া গেল। কিন্তু যেটার ভেতরে আমার নানা তথ্য, ছবি, নথি রাখতাম সেটাই খোয়া গেল। সত্যি বলতে আমার পুরো অফিস ছিল ওই ফোনটাতে। আমি একে স্বাভাবিক বলে মনে করছি না।’
রুমিন ফারহানার পিএস জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘আমার হাতে ব্যাগটি ছিল। একপর্যায়ে দেখি আমার পায়ের ওপর কেউ চাপ দিয়ে রেখেছে। আমার জুতা অর্ধেক খুলে গেছে। আমি বসে জুতা ঠিক করতেই দেখি, কেউ একজন আমার পিঠে আঘাত করেছে। আমি তখন এসব বিষয়ের দিকেই নজর দিয়েছি। পরে দেখি ব্যাগের মুখ খোলা। আমি সেটা আটকে রাখলাম।’
কী কারণে ফোন হারানোর বিষয়টি অস্বাভাবিক—এ বিষয়ে রুমিনের বক্তব্য, ‘বিষয়টি খুব অস্বাভাবিক এ জন্যই যে আমার ব্যাগে দুটি মুঠোফোন ছিল। যদি চোর হতো তাহলে দুটি ফোনই নিয়ে যেত এবং সেই সঙ্গে সাত হাজারের মতো টাকাও ছিল, সেটাও সে নিতে পারত। কিন্তু দেখলাম শুধু আমার যে ফোনে নানা রকম তথ্য ছিল সেটাই নেওয়া হয়েছে। একে আমি কখনোই স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারছি না।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ সনজুর মোর্শেদ আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, রুমিন ফারহানার ফোন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।