দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলারদের সঙ্গে হামজা চৌধুরীর পার্থক্য তুলে ধরেছেন ভুটান কোচ আতসুশি নাকামুরা। মানের দিক থেকে আলাদা বলেই মনে করেন তিনি। তবে মনের দিক থেকে কেমন এই ইংল্যান্ড প্রবাসী? তার উত্তর দিলেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার সোহেল রানা। জানালেন, হামজার কাছ থেকে সবসময়ই কিছু না কিছু শিখছেন তারা।
বুধবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন হামজা চৌধুরী। রক্ষণে সহায়তার পাশাপাশি আক্রমণের ছন্দও ঠিক করে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ এক ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সোহেল রানা।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও দেশের ফুটবলপ্রেমীরা চোখ রাখবেন হামজার দিকে। তার জাতীয় দলে যোগদানের পর থেকেই চারদিকে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ ও কৌতূহল।
ফুটবলার হিসেবে হামজার দক্ষতা কারো অজানা নয়। তবে মানুষ হিসেবে কেমন তিনি? সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন কি? এসব প্রশ্নের জবাবে সোহেল বললেন, হামজার কাছ থেকে প্রতিটি মুহূর্তে কিছু না কিছু শিখছেন তারা।
“টিপস দেয়ার মতো কিছু না, আমরা যতক্ষণ ওর সঙ্গে থাকি, শিখি। ও গোল করার পর আমরা সবাই ওর সঙ্গে উদযাপন করেছি, যেটা ওর খুব ভালো লেগেছে। আপনারা ওর কাছে জানতে চাইলেও একই কথা শুনবেন।”
সোহেল আরও বলেন, “সবাই খুব খোলা মনে ওর সঙ্গে মিশে গেছে। ও খুব খোলা মনের মানুষ। আমাদের তো মনে হয় না, ও দেশের বাইরে থেকে এসেছে। মনে হয়, ও আমাদের বাংলাদেশেরই ছেলে। ওকে আমাদের কাছে প্রবাসী মনে হয় না।”
হামজা ছাড়াও ভুটান ম্যাচে খেলেছেন আরও দুই প্রবাসী খেলোয়াড়—ফাহামিদুল ইসলাম ও শোমিত সোম। তবে কানাডা লিগে খেলা মিডফিল্ডার শোমিত সোম এখনো মাঠে নামেননি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তিনি একাদশে জায়গা পান, তাহলে মাঝমাঠে জায়গা পাওয়া কঠিন হতে পারে গোলদাতা সোহেলের জন্য।
তবে সোহেল আপাতত এসব ভাবছেন না। তার চিন্তায় এখন শুধু জয় উদযাপন ও সেই আনন্দের রেশ ধরে রাখা।
“প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পর ড্রেসিং রুমে আনন্দের আবহ থাকে। কালও ছিল। বিশেষ করে যেহেতু হামজা দেশের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলেছে আর গোলও করেছে, সেটা দলের সবাইকে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে। এই আনন্দ ভবিষ্যতেও ধরে রাখার চেষ্টা করব। জিতলে ড্রেসিং রুমে যে আবহ থাকে, সেটাই ধরে রাখতে চাই।”
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলারদের সঙ্গে হামজা চৌধুরীর পার্থক্য তুলে ধরেছেন ভুটান কোচ আতসুশি নাকামুরা। মানের দিক থেকে আলাদা বলেই মনে করেন তিনি। তবে মনের দিক থেকে কেমন এই ইংল্যান্ড প্রবাসী? তার উত্তর দিলেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার সোহেল রানা। জানালেন, হামজার কাছ থেকে সবসময়ই কিছু না কিছু শিখছেন তারা।
বুধবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন হামজা চৌধুরী। রক্ষণে সহায়তার পাশাপাশি আক্রমণের ছন্দও ঠিক করে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ এক ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সোহেল রানা।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও দেশের ফুটবলপ্রেমীরা চোখ রাখবেন হামজার দিকে। তার জাতীয় দলে যোগদানের পর থেকেই চারদিকে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ ও কৌতূহল।
ফুটবলার হিসেবে হামজার দক্ষতা কারো অজানা নয়। তবে মানুষ হিসেবে কেমন তিনি? সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন কি? এসব প্রশ্নের জবাবে সোহেল বললেন, হামজার কাছ থেকে প্রতিটি মুহূর্তে কিছু না কিছু শিখছেন তারা।
“টিপস দেয়ার মতো কিছু না, আমরা যতক্ষণ ওর সঙ্গে থাকি, শিখি। ও গোল করার পর আমরা সবাই ওর সঙ্গে উদযাপন করেছি, যেটা ওর খুব ভালো লেগেছে। আপনারা ওর কাছে জানতে চাইলেও একই কথা শুনবেন।”
সোহেল আরও বলেন, “সবাই খুব খোলা মনে ওর সঙ্গে মিশে গেছে। ও খুব খোলা মনের মানুষ। আমাদের তো মনে হয় না, ও দেশের বাইরে থেকে এসেছে। মনে হয়, ও আমাদের বাংলাদেশেরই ছেলে। ওকে আমাদের কাছে প্রবাসী মনে হয় না।”
হামজা ছাড়াও ভুটান ম্যাচে খেলেছেন আরও দুই প্রবাসী খেলোয়াড়—ফাহামিদুল ইসলাম ও শোমিত সোম। তবে কানাডা লিগে খেলা মিডফিল্ডার শোমিত সোম এখনো মাঠে নামেননি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তিনি একাদশে জায়গা পান, তাহলে মাঝমাঠে জায়গা পাওয়া কঠিন হতে পারে গোলদাতা সোহেলের জন্য।
তবে সোহেল আপাতত এসব ভাবছেন না। তার চিন্তায় এখন শুধু জয় উদযাপন ও সেই আনন্দের রেশ ধরে রাখা।
“প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পর ড্রেসিং রুমে আনন্দের আবহ থাকে। কালও ছিল। বিশেষ করে যেহেতু হামজা দেশের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলেছে আর গোলও করেছে, সেটা দলের সবাইকে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে। এই আনন্দ ভবিষ্যতেও ধরে রাখার চেষ্টা করব। জিতলে ড্রেসিং রুমে যে আবহ থাকে, সেটাই ধরে রাখতে চাই।”