সপ্তাহ খানেক আগেও শেফালি বর্মা ব্যস্ত ছিলেন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরে। বিশ্বকাপ দেখছিলেন টিভি পর্দায়। স্কোয়াডে ছিলেন না, রিজার্ভ তালিকাতেও ঠাঁই হয়নি। অথচ রূপকথার মতো মোড় ঘুরে গেল। প্রতিকা রাওয়ালের চোটে রিজার্ভ তালিকার বাইরে থেকে নাটকীয়ভাবে স্কোয়াডে এলেন, শেফালি জয় করলেন বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ওপেন করতে নেমে ৭৮ বলে ৮৭ রান আর বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট নিয়ে উইমেন অব দ্য ফাইনাল তিনি। কদিন আগে যে শেফালি নিজেই চোখ রাখছিলেন টিভি পর্দায়, এবার কোটি কোটি মানুষ টিভি পর্দায় দেখলো তার মুন্সিয়ানা।
শেফালিকে মূলত টি-টোয়েন্টিতে বেশি বিবেচনা করা হয়, তার ওয়ানডে রেকর্ড আহামরি না। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাই প্রতিকা জায়গা পান, রিজার্ভ তালিকায় ছিলেন আরেকজন। প্রতিকার চোটে নির্বাচকদের ভাবনার বদল ঘটে। তাদের মনে হয় শেফালির এক্স ফ্যাক্টরের কথা। বল পেটানোর জুড়ি নেই শেফালির। টিকে গেলে তিনি হতে পারেন বিপদজনক।
ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে সেটাই করে দেখান। তবে গল্পের বাকি ছিল আরও। বল হাতে তার উপর ভরসা কেউ করতে পারে সেটা এতটা জানা ছিল না। এর আগে ওয়ানডেতে স্রেফ ১ উইকেট পাওয়া শেফালিকে বোলিংয়ে এনে বাজিমাত করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত । সুনে লুস, মারিজান ক্যাপের মতন ব্যাটারদের ফিরিয়ে দেন তিনি।
হারমানপ্রীত জানান, শেফালি তাকে বলেছিলেন দলের প্রয়োজনে দশ ওভার করতেও রাজী। শেফালির আত্মবিশ্বাস দেখেই বল তুলে দিয়েছিলেন তিনি।
২১ পেরুনো শেফালি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছিলাম, ঈশ্বর আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন কিছু সুন্দর কাজ করার জন্য, আর আজ সেটাই প্রতিফলিত হলো। আমরা জিতেছি, আমি ভীষণ খুশি, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’
হুট করে দলে এসেই নকআউটে নেমে যাওয়া যে সহজ ছিল না উল্লেখ করেন শেফালি, ‘এটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল- যদি শান্ত থাকতে পারি, তবে সবকিছুই সম্ভব। আমার বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব, ভাই-সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছে, শিখিয়েছে কীভাবে খেলতে হয়। এই ম্যাচটা আমার দল আর আমার নিজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার দলকে জেতাতে।’
‘আমার মন পরিষ্কার ছিল, আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছি। সবচেয়ে ভালো লাগছে যে আমি সেটি বাস্তবে করতে পেরেছি। স্মৃতি দি, হারমান দিÑ সবাই আমাকে সমর্থন করেছে। সিনিয়ররা শুধু বলেছিল, নিজের খেলা খেলো। যখন এই স্পষ্টতা পাওয়া যায়, তখন সেটাই যথেষ্ট। এটা সত্যিই এক স্মরণীয় মুহূর্ত।’
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সপ্তাহ খানেক আগেও শেফালি বর্মা ব্যস্ত ছিলেন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরে। বিশ্বকাপ দেখছিলেন টিভি পর্দায়। স্কোয়াডে ছিলেন না, রিজার্ভ তালিকাতেও ঠাঁই হয়নি। অথচ রূপকথার মতো মোড় ঘুরে গেল। প্রতিকা রাওয়ালের চোটে রিজার্ভ তালিকার বাইরে থেকে নাটকীয়ভাবে স্কোয়াডে এলেন, শেফালি জয় করলেন বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ওপেন করতে নেমে ৭৮ বলে ৮৭ রান আর বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট নিয়ে উইমেন অব দ্য ফাইনাল তিনি। কদিন আগে যে শেফালি নিজেই চোখ রাখছিলেন টিভি পর্দায়, এবার কোটি কোটি মানুষ টিভি পর্দায় দেখলো তার মুন্সিয়ানা।
শেফালিকে মূলত টি-টোয়েন্টিতে বেশি বিবেচনা করা হয়, তার ওয়ানডে রেকর্ড আহামরি না। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাই প্রতিকা জায়গা পান, রিজার্ভ তালিকায় ছিলেন আরেকজন। প্রতিকার চোটে নির্বাচকদের ভাবনার বদল ঘটে। তাদের মনে হয় শেফালির এক্স ফ্যাক্টরের কথা। বল পেটানোর জুড়ি নেই শেফালির। টিকে গেলে তিনি হতে পারেন বিপদজনক।
ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে সেটাই করে দেখান। তবে গল্পের বাকি ছিল আরও। বল হাতে তার উপর ভরসা কেউ করতে পারে সেটা এতটা জানা ছিল না। এর আগে ওয়ানডেতে স্রেফ ১ উইকেট পাওয়া শেফালিকে বোলিংয়ে এনে বাজিমাত করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত । সুনে লুস, মারিজান ক্যাপের মতন ব্যাটারদের ফিরিয়ে দেন তিনি।
হারমানপ্রীত জানান, শেফালি তাকে বলেছিলেন দলের প্রয়োজনে দশ ওভার করতেও রাজী। শেফালির আত্মবিশ্বাস দেখেই বল তুলে দিয়েছিলেন তিনি।
২১ পেরুনো শেফালি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছিলাম, ঈশ্বর আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন কিছু সুন্দর কাজ করার জন্য, আর আজ সেটাই প্রতিফলিত হলো। আমরা জিতেছি, আমি ভীষণ খুশি, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’
হুট করে দলে এসেই নকআউটে নেমে যাওয়া যে সহজ ছিল না উল্লেখ করেন শেফালি, ‘এটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল- যদি শান্ত থাকতে পারি, তবে সবকিছুই সম্ভব। আমার বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব, ভাই-সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছে, শিখিয়েছে কীভাবে খেলতে হয়। এই ম্যাচটা আমার দল আর আমার নিজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার দলকে জেতাতে।’
‘আমার মন পরিষ্কার ছিল, আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছি। সবচেয়ে ভালো লাগছে যে আমি সেটি বাস্তবে করতে পেরেছি। স্মৃতি দি, হারমান দিÑ সবাই আমাকে সমর্থন করেছে। সিনিয়ররা শুধু বলেছিল, নিজের খেলা খেলো। যখন এই স্পষ্টতা পাওয়া যায়, তখন সেটাই যথেষ্ট। এটা সত্যিই এক স্মরণীয় মুহূর্ত।’