বসুন্ধরা কিংসের মাঠে অনুশীলনে হামজারা
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরী শেকড়ের টানে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপাতেই বিপুল উন্মাদনায় ভেসেছেন মানুষ। ফুটবলে এসেছে নতুন জাগরণ। হামজাও তার সময়টা বেশ উপভোগ করছেন। টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার আয়োজনে গিয়ে বলেন, জাতিকে গর্বিত করতে পারা তার সৌভাগ্য।
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে গতকাল সোমবারই ঢাকায় আসেন হামজা। মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রবি কর্পোরেট অফিসে ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসডর হিসেবে সই করেন হামজা। বাবা-মায়ের দেশের সূত্রে লাল সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে নানান ধাপ পেরিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই দিয়েই বাংলাদেশের হয়ে নামেন হামজা। ইংল্যান্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই মিডফিল্ডার লেস্টার সিটিতে খেলেন।
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে হামজা বলেন বাবা-মায়ের জন্যই বাংলাদেশের হয়ে খেলার আনন্দ তার বেশি, বাবা-মাকে গর্বিত করার পাশাপাশি গোটা জাতিকেও গর্বিত করার সুযোগ পাওয়া তার সৌভাগ্য, ‘এখনও সত্যি বলতে অবাস্তব মনে হয়। আমি শুধু চাই এ দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যে কোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। আমার বাবা এই দেশেই জন্মেছেন ও বড় হয়েছেন, তাই তাদের মুখে সেই হাসিটা দেখতে পাওয়াটাই আমার আসল প্রাপ্তি। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি।’
বাংলাদেশে এলে হামজা যেখানেই যান ভিড় জমে যায়। তার অনুশীলন দেখতেও লেগে থাকে ভিড়। মানুষের ভালোবাসার এই উষ্ণতা টের পান হামজা, ‘আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি। আমি চেষ্টা করি সেই ভালোবাসা ও সমর্থনটা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এটা তাদেরও বারবার এখানে ফিরে আসার ইচ্ছে জাগায়। যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বসুন্ধরা কিংসের মাঠে অনুশীলনে হামজারা
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরী শেকড়ের টানে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপাতেই বিপুল উন্মাদনায় ভেসেছেন মানুষ। ফুটবলে এসেছে নতুন জাগরণ। হামজাও তার সময়টা বেশ উপভোগ করছেন। টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার আয়োজনে গিয়ে বলেন, জাতিকে গর্বিত করতে পারা তার সৌভাগ্য।
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে গতকাল সোমবারই ঢাকায় আসেন হামজা। মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রবি কর্পোরেট অফিসে ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসডর হিসেবে সই করেন হামজা। বাবা-মায়ের দেশের সূত্রে লাল সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে নানান ধাপ পেরিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই দিয়েই বাংলাদেশের হয়ে নামেন হামজা। ইংল্যান্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই মিডফিল্ডার লেস্টার সিটিতে খেলেন।
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে হামজা বলেন বাবা-মায়ের জন্যই বাংলাদেশের হয়ে খেলার আনন্দ তার বেশি, বাবা-মাকে গর্বিত করার পাশাপাশি গোটা জাতিকেও গর্বিত করার সুযোগ পাওয়া তার সৌভাগ্য, ‘এখনও সত্যি বলতে অবাস্তব মনে হয়। আমি শুধু চাই এ দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যে কোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। আমার বাবা এই দেশেই জন্মেছেন ও বড় হয়েছেন, তাই তাদের মুখে সেই হাসিটা দেখতে পাওয়াটাই আমার আসল প্রাপ্তি। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি।’
বাংলাদেশে এলে হামজা যেখানেই যান ভিড় জমে যায়। তার অনুশীলন দেখতেও লেগে থাকে ভিড়। মানুষের ভালোবাসার এই উষ্ণতা টের পান হামজা, ‘আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি। আমি চেষ্টা করি সেই ভালোবাসা ও সমর্থনটা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এটা তাদেরও বারবার এখানে ফিরে আসার ইচ্ছে জাগায়। যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’