সিলেট টেস্ট
ক্যাম্ফারকে ৪৪ রানে ফিরিয়ে টেস্টের প্রথম উইকেট নিয়ে উল্লসিত মুরাদ হাসান
সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। দুই ব্যাটার পল স্টার্লিং ৬০ ও অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল ৫৯ রান করেন।
অফ স্পিনার মিরাজ উইকেট নেন তিনটি, অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ দুটি।
প্রথম দিন পাঁচটি ক্যাচ ফেলেন স্বাগতিক ফিল্ডাররা। ৮ ও ১০ রানে জীবন পেয়ে ফিফটি করেন পল স্টার্লিং। ১০ রানে জীবন পেয়ে ফিফটি করেন অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল। এছাড়া জীবন পান লর্কান টাকার ও জর্ডান নিল। ক্যাচ ছাড়েন সাদমান, তাইজুল, মেহেদী মিরাজ, নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী দল।
বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ। ইনিংসের চতুর্থ বলে আয়ারল্যান্ড ওপেনার ও অধিনায়ক এন্ডি বলবির্নিকে শূন্য হাতে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হাসান।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ও অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল। বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ১৫৫ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
এরমধ্যে ২২তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান স্টার্লিং। তার হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথম সেশন রান করে ১ উইকেটে ৯৪। বিরতির পর বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার নাহিদ রানা। নিজের দ্বিতীয় স্পেলের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্টার্লিংকে শিকার করেন তিনি। সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯টি চারে ৭৬ বলে ৬০ রান করেন একবার জীবন পাওয়া স্টার্লিং। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টর। তাকে ১ রানেই বিদায় করেন বাংলাদেশ স্পিনার মিরাজ।
১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দলকে চাপমুক্ত করতে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন কারমাইকেল ও কার্টিস ক্যাম্ফার। তাদের ৯৩ বলে ৫৩ রানের জুটিতে দেড়শ’ রানে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ড। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান কারমাইকেল।
স্টার্লিংয়ের মত হাফ-সেঞ্চুরির পর আউট হন কারমাইকেল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে স্পিনার মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৭ চারে ১২৯ বলে ৫৯ রান করেন কারমাইকেল।
দলীয় ১৫০ রানে কারমাইকেল ফেরার পর টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির জুটি পায় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে ক্যাম্ফার ও উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের ১২১ বলে ৫৩ রানের জুটিতে চা-বিরতির পর ২শতে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। কিছুক্ষণ পর ক্যাম্ফার ও টাকারকে বিচ্ছিন্ন করেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। স্লিপে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৪ বলে ৪৪ রান করে থামেন ক্যাম্ফার।
অভিষেক টেস্ট উইকেটের পর দ্বিতীয় শিকারের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মুরাদকে। আরেক সেট ব্যাটার টাকারকেও বিদায় দেন তিনি।
উইকেটরক্ষক লিটন দাসের স্টাম্পিংয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ বলে ৪১ রান করা টাকার।
দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ড যখন চাপে, ঐ অবস্থায় নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন মিরাজ। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে ৫ রানে স্টাম্প আউট করেন মিরাজ।
১৯ রানের ব্যবধানে তিন ব্যাটারের বিদায়ে ২২২ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনই গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি অভিষিক্ত জর্ডান নিল ও ব্যারি ম্যাককার্থি। দেখেশুনে খেলে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তারা।
কিন্তু দিনের শেষ বলে উইকেট তুলে নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নিলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬০ বলে ৩০ রান করেন নিল। অষ্টম উইকেটে ম্যাককার্থির সঙ্গে ১০৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তিনি। ২টি বাউন্ডারিতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাককার্থি।
২৩ ওভারে ৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার মিরাজ। অভিষেক টেস্টের প্রথম দিন ২০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৭ রানে ২ উইকেট নেন মুরাদ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান রানা ও তাইজুল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিলেট টেস্ট
ক্যাম্ফারকে ৪৪ রানে ফিরিয়ে টেস্টের প্রথম উইকেট নিয়ে উল্লসিত মুরাদ হাসান
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। দুই ব্যাটার পল স্টার্লিং ৬০ ও অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল ৫৯ রান করেন।
অফ স্পিনার মিরাজ উইকেট নেন তিনটি, অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ দুটি।
প্রথম দিন পাঁচটি ক্যাচ ফেলেন স্বাগতিক ফিল্ডাররা। ৮ ও ১০ রানে জীবন পেয়ে ফিফটি করেন পল স্টার্লিং। ১০ রানে জীবন পেয়ে ফিফটি করেন অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল। এছাড়া জীবন পান লর্কান টাকার ও জর্ডান নিল। ক্যাচ ছাড়েন সাদমান, তাইজুল, মেহেদী মিরাজ, নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী দল।
বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ। ইনিংসের চতুর্থ বলে আয়ারল্যান্ড ওপেনার ও অধিনায়ক এন্ডি বলবির্নিকে শূন্য হাতে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হাসান।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ও অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল। বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ১৫৫ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
এরমধ্যে ২২তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান স্টার্লিং। তার হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথম সেশন রান করে ১ উইকেটে ৯৪। বিরতির পর বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার নাহিদ রানা। নিজের দ্বিতীয় স্পেলের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্টার্লিংকে শিকার করেন তিনি। সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯টি চারে ৭৬ বলে ৬০ রান করেন একবার জীবন পাওয়া স্টার্লিং। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টর। তাকে ১ রানেই বিদায় করেন বাংলাদেশ স্পিনার মিরাজ।
১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দলকে চাপমুক্ত করতে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন কারমাইকেল ও কার্টিস ক্যাম্ফার। তাদের ৯৩ বলে ৫৩ রানের জুটিতে দেড়শ’ রানে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ড। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান কারমাইকেল।
স্টার্লিংয়ের মত হাফ-সেঞ্চুরির পর আউট হন কারমাইকেল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে স্পিনার মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৭ চারে ১২৯ বলে ৫৯ রান করেন কারমাইকেল।
দলীয় ১৫০ রানে কারমাইকেল ফেরার পর টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির জুটি পায় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে ক্যাম্ফার ও উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের ১২১ বলে ৫৩ রানের জুটিতে চা-বিরতির পর ২শতে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। কিছুক্ষণ পর ক্যাম্ফার ও টাকারকে বিচ্ছিন্ন করেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। স্লিপে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৪ বলে ৪৪ রান করে থামেন ক্যাম্ফার।
অভিষেক টেস্ট উইকেটের পর দ্বিতীয় শিকারের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মুরাদকে। আরেক সেট ব্যাটার টাকারকেও বিদায় দেন তিনি।
উইকেটরক্ষক লিটন দাসের স্টাম্পিংয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ বলে ৪১ রান করা টাকার।
দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ড যখন চাপে, ঐ অবস্থায় নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন মিরাজ। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে ৫ রানে স্টাম্প আউট করেন মিরাজ।
১৯ রানের ব্যবধানে তিন ব্যাটারের বিদায়ে ২২২ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনই গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি অভিষিক্ত জর্ডান নিল ও ব্যারি ম্যাককার্থি। দেখেশুনে খেলে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তারা।
কিন্তু দিনের শেষ বলে উইকেট তুলে নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নিলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬০ বলে ৩০ রান করেন নিল। অষ্টম উইকেটে ম্যাককার্থির সঙ্গে ১০৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তিনি। ২টি বাউন্ডারিতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাককার্থি।
২৩ ওভারে ৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার মিরাজ। অভিষেক টেস্টের প্রথম দিন ২০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৭ রানে ২ উইকেট নেন মুরাদ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান রানা ও তাইজুল।