দেশে এমন অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে খেলার মাঠ নেই বলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। আবার কোথাও খেলার মাঠ আছে কিন্তু সেখানে খেলাধুলার কোনো আয়োজনই করা হয় না। যশোর জেলায় ১ হাজার ২৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে খেলার মাঠ নেই ২২৬টিতে। খেলাধুলার অভাবে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
খেলার মাঠের সমস্যা শুধু যশোর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের তা নয়। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে খেলার মাঠ রয়েছে ৫৪ হাজার ৮২৬টিতে। সে হিসাবে দেশের ১০ হাজার ৭৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই বলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ২০২১ সালের প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
শিশুদের শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যথেষ্ট নয়। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলারও ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ঘটবে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। শিশুদের শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শ্রেণীকক্ষের শিক্ষার চেয়ে বাইরের শিক্ষাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠে। খেলাধুলার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সামাজিকবন্ধন তৈরি হয়।
শুধু যশোর নয়, দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ নেই। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নিয়মমাফিক ৩৩ শতাংশ জায়গার প্রয়োজন। এ জায়গায় বিদ্যালয় ভবনের পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য মাঠও থাকবে। কিন্তু অনেক সময় ৩৩ শতাংশ জায়গা থাকে না। এজন্য কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠ নির্মাণ করতে পারে না।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা মিলে পরিকল্পনা করে খেলার মাঠের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে, এটা আমরা আশা করব। খেলার মাঠ ছাড়া কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অনুমোদন দেয়া ঠিক নয়। যেসব অনুমোদিত বিদ্যালয়ে এখনো খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় খেলার মাঠ স্থাপন করা বা বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।
শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
দেশে এমন অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে খেলার মাঠ নেই বলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। আবার কোথাও খেলার মাঠ আছে কিন্তু সেখানে খেলাধুলার কোনো আয়োজনই করা হয় না। যশোর জেলায় ১ হাজার ২৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে খেলার মাঠ নেই ২২৬টিতে। খেলাধুলার অভাবে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
খেলার মাঠের সমস্যা শুধু যশোর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের তা নয়। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে খেলার মাঠ রয়েছে ৫৪ হাজার ৮২৬টিতে। সে হিসাবে দেশের ১০ হাজার ৭৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই বলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ২০২১ সালের প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
শিশুদের শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যথেষ্ট নয়। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলারও ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ঘটবে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। শিশুদের শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শ্রেণীকক্ষের শিক্ষার চেয়ে বাইরের শিক্ষাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠে। খেলাধুলার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সামাজিকবন্ধন তৈরি হয়।
শুধু যশোর নয়, দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ নেই। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নিয়মমাফিক ৩৩ শতাংশ জায়গার প্রয়োজন। এ জায়গায় বিদ্যালয় ভবনের পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য মাঠও থাকবে। কিন্তু অনেক সময় ৩৩ শতাংশ জায়গা থাকে না। এজন্য কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠ নির্মাণ করতে পারে না।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা মিলে পরিকল্পনা করে খেলার মাঠের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে, এটা আমরা আশা করব। খেলার মাঠ ছাড়া কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অনুমোদন দেয়া ঠিক নয়। যেসব অনুমোদিত বিদ্যালয়ে এখনো খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় খেলার মাঠ স্থাপন করা বা বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।