alt

সম্পাদকীয়

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্কভাতা কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

: শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ, কম উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে একদম অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর ‘বয়স্ক ভাতা’ কার্যক্রম চালায়। এতে দরিদ্রদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিন্তু বয়সের ভারে ন্যুব্জ বগুড়ার শেরপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের রশিদা বেগমের ভাগ্যে জোটেনি কোনো বয়স্কভাতার কার্ড। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৭৫ বছর। তিনি বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স হতে হয় সর্বনিম্ন ৬২ বছর। সে অনুযায়ী রশিদা বেগম অবশ্যই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য। তাহলে এতদিনেও তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষ কেন এগিয়ে আসেনি- সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেছেন, রশিদা বেগমের স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। এত দিনে তার বয়স্ক ভাতা পাওয়া উচিত ছিল। তিনি রশিদা বেগমকে বয়স্কভাতা কার্ড দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সমাজসেবা কর্মকর্তার দেয়া আশ্বাস দ্রুত বাস্তব রূপ লাভ করছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

শুধু বগুড়ার রশিদা বেগমই নন, তার মতো অসহায়দের খুঁজে বের করে ভাতা কার্ডের আওতায় আনতে হবে। না হলে সরকারের দারিদ্র্যবিমোচনের স্বপ্ন বিফলে যাবে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার। ৩৩ লাখ বয়স্ক ব্যক্তির যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভাতা পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক ভাতা পাওয়ার অনুপযোগী হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত ভাতা ভোগ করছেন। এসব অনিয়মের কারণে অযোগ্যদের পেছনে সরকারের বছরে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এ প্রকল্পে বিভিন্ন সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এটা বন্ধ করে ভাতা কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে পারলে আরও ১৫ লাখ প্রকৃত বয়স্ক ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা সম্ভব বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্কভাতা কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ, কম উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে একদম অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর ‘বয়স্ক ভাতা’ কার্যক্রম চালায়। এতে দরিদ্রদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিন্তু বয়সের ভারে ন্যুব্জ বগুড়ার শেরপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের রশিদা বেগমের ভাগ্যে জোটেনি কোনো বয়স্কভাতার কার্ড। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৭৫ বছর। তিনি বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স হতে হয় সর্বনিম্ন ৬২ বছর। সে অনুযায়ী রশিদা বেগম অবশ্যই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য। তাহলে এতদিনেও তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষ কেন এগিয়ে আসেনি- সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেছেন, রশিদা বেগমের স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। এত দিনে তার বয়স্ক ভাতা পাওয়া উচিত ছিল। তিনি রশিদা বেগমকে বয়স্কভাতা কার্ড দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সমাজসেবা কর্মকর্তার দেয়া আশ্বাস দ্রুত বাস্তব রূপ লাভ করছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

শুধু বগুড়ার রশিদা বেগমই নন, তার মতো অসহায়দের খুঁজে বের করে ভাতা কার্ডের আওতায় আনতে হবে। না হলে সরকারের দারিদ্র্যবিমোচনের স্বপ্ন বিফলে যাবে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার। ৩৩ লাখ বয়স্ক ব্যক্তির যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভাতা পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক ভাতা পাওয়ার অনুপযোগী হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত ভাতা ভোগ করছেন। এসব অনিয়মের কারণে অযোগ্যদের পেছনে সরকারের বছরে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এ প্রকল্পে বিভিন্ন সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এটা বন্ধ করে ভাতা কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে পারলে আরও ১৫ লাখ প্রকৃত বয়স্ক ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা সম্ভব বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

back to top