যুগে যুগে মানুষের খাদ্যাভাস বদলেছে। এখন মানুষ অল্পসময়ে মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টিকর খাবারের জায়গা দখল করেছে বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রির মতো ফাস্টফুড বা জাংকফুড।
সমস্যা হচ্ছে- জাংকফুড তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফাস্টফুড খেলে স্থূলতা বৃদ্ধির মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস, বিষণ্নতা, স্ট্রোক, ক্যানসারের মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
কেবল কর্মব্যস্ত শহুরে মানুষই যে জাংকফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন তা নয়; অনেক শিশুও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এর ফলে তাদের নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ম্যাটর্নাল অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ফাস্টফুড খাওয়ার প্রভাবে শিশুদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে তাদের অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিতে ভুগছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দ্রুত নগরায়ণ ও খাদ্য শিল্পের সম্প্রসারণের কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রচার ও প্রসার বাড়ছে। আধুনিক যুগে মানুষের খাদ্যে নতুন বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাংকফুড। শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বব্যাপী এসব খাবার খেয়ে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। শিল্পোন্নত অনেক দেশ ইতোমধ্যে জাংকফুডের ঝুঁকিতে পড়েছে। জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছে।
জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানাতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। নাগরিকরা স্বাস্থ্যসচেতন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
সুস্থ খাদ্যাভাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন করার কাজে হেলাফেলা করা যাবে না। খাদ্যাভ্যাস সুস্থ না হলে মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হবে। আর অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। দেশের সিংহভাগ মানুষেরই এই ব্যয়ভার বহনের সামর্থ নেই। কাজেই কোন কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটলে এর দায়ভার শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের কাঁধেই চাপবে।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুগে যুগে মানুষের খাদ্যাভাস বদলেছে। এখন মানুষ অল্পসময়ে মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টিকর খাবারের জায়গা দখল করেছে বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রির মতো ফাস্টফুড বা জাংকফুড।
সমস্যা হচ্ছে- জাংকফুড তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফাস্টফুড খেলে স্থূলতা বৃদ্ধির মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস, বিষণ্নতা, স্ট্রোক, ক্যানসারের মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
কেবল কর্মব্যস্ত শহুরে মানুষই যে জাংকফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন তা নয়; অনেক শিশুও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এর ফলে তাদের নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ম্যাটর্নাল অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ফাস্টফুড খাওয়ার প্রভাবে শিশুদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে তাদের অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিতে ভুগছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দ্রুত নগরায়ণ ও খাদ্য শিল্পের সম্প্রসারণের কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রচার ও প্রসার বাড়ছে। আধুনিক যুগে মানুষের খাদ্যে নতুন বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাংকফুড। শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বব্যাপী এসব খাবার খেয়ে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। শিল্পোন্নত অনেক দেশ ইতোমধ্যে জাংকফুডের ঝুঁকিতে পড়েছে। জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছে।
জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানাতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। নাগরিকরা স্বাস্থ্যসচেতন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
সুস্থ খাদ্যাভাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন করার কাজে হেলাফেলা করা যাবে না। খাদ্যাভ্যাস সুস্থ না হলে মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হবে। আর অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। দেশের সিংহভাগ মানুষেরই এই ব্যয়ভার বহনের সামর্থ নেই। কাজেই কোন কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটলে এর দায়ভার শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের কাঁধেই চাপবে।