রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগারও নির্মাণ করা হয়েছে। এতে স্টেশনের সৌন্দর্য বেড়েছে কিন্তু যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বামনডাঙ্গা স্টেশন থেকে রেলপথে যাতায়াত করে কয়েকটি উপজেলার মানুষ। প্লটফর্মের জায়গা প্রশস্ত করা হলেও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতি নেই। ফলে সন্ধ্যার পর যাত্রীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিশ্রামাগারে ফ্যান ও প্লটফর্মে পর্যাপ্ত যাত্রীছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় গরমে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেখানে একটি যাত্রীছাউনি থাকলেও সেটা ব্যবহারের অনুপযোগী।

রেলপথে যাত্রীসেবার মান নিয়ে শুধু এই একটি স্টেশনের ক্ষেত্রেই যে প্রশ্ন ওঠে তা নয়। সারাদেশের রেলের যাত্রী সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। স্টেশন ও প্লাটফর্মে প্রয়োজনীয় সুবিধা থাকে না। অনেক রেলের বগিই জীর্ণ, টয়লেট নোংরা। অভিযোগ রয়েছে, সিডিউল মতো ট্রেন ছাড়ে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার অভাবও রয়েছে।

গত পাঁচ বছরে রেলে বরাদ্দ ৫০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু লোকসান ৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এভাবে প্রতি বছর লোকসান গুনছে রেল খাত। রেলওয়ের তথ্য জানাচ্ছে, বর্তমানে ১৩৪ হাজার ৭৬৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার ৩৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ হচ্ছে। এতকিছু সত্ত্বেও যাত্রী সেবার মান কেন বাড়ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু প্রকল্পের কাজ শেষ করলেই হবে না। এগুলো যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরির পরিবর্তে রেললাইন ও স্টেশনসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সরকারকে জোর দিতে হবে।

লালমনিরহাট ডিভিশনের মধ্যে ?বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনটি আয়ের দিক থেকে তৃতীয়। রেলস্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা বলতে চাই, বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনের যাত্রীসেবার মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে সারাদেশের রেলস্টেশনের যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে যা যা করণীয় তা করতে হবে। সময়সূচি মেনে রেলসেবা দিতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

সম্প্রতি