পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দেয়া হচ্ছে স্মার্ট এনআইডি কার্ড। উৎসাহ নিয়ে অনেকেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলছেন। তবে পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে অনেকের মুখই হয়ে যাচ্ছে ম্লান। কারণ অনেকের কার্ডেই রয়েছে পীড়াদায়ক ভুল। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্মার্ট কার্ডে নানান ভুল থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভাঙ্গুড়ার অনেক মানুষ। কোনো স্মার্ট কার্ডে কার্ডধারী ব্যক্তির নামের বানান ভুল তো কোনো কার্ডে বাবার নাম বা স্বামীর নামের বানান ভুল। জন্ম সালের তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। এই ভোগান্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এনআইডিতে ভুলের এই রোগ নতুন নয়। আর পাবনার কেবল একটি এলাকার মানুষ এই রোগের যন্ত্রণা পোহাচ্ছেন না। এনআইডির জন্মলগ্ন থেকে ভুলের রোগ পেয়ে বসেছে। এ কারণে যে এখন পর্যন্ত কত মানুষ কতভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে।
নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কেবল নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নেই এটি কাজে লাগে না। বিভিন্ন চাকরি, জমি রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট তৈরি, ব্যাংক হিসাব খোলা, মোবাইল সিম কার্ড কেনা, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছেলের চেয়ে বাবার বয়স কম, স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম, নামের বানানে ভুলের মতো অনেক ত্রুটিই দেখা যায়। আর এ ধরনের ভুলের কারণে নাগরিকরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হন। মানুষকে রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনও দেখা যায় যে, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও বিপত্তিতে পড়তে হয় অনেককে।
ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করা হবে সেটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। যারা ভোগান্তি পোহাতে চান না বা পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বছরের পর বছর বয়ে বেড়ান।
নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায় সেটা জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ কাজে সংশ্লিষ্টরা পেশাদারত্বের স্বাক্ষর রাখবে সেটাই আমাদের চাওয়া।
রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দেয়া হচ্ছে স্মার্ট এনআইডি কার্ড। উৎসাহ নিয়ে অনেকেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলছেন। তবে পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে অনেকের মুখই হয়ে যাচ্ছে ম্লান। কারণ অনেকের কার্ডেই রয়েছে পীড়াদায়ক ভুল। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্মার্ট কার্ডে নানান ভুল থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভাঙ্গুড়ার অনেক মানুষ। কোনো স্মার্ট কার্ডে কার্ডধারী ব্যক্তির নামের বানান ভুল তো কোনো কার্ডে বাবার নাম বা স্বামীর নামের বানান ভুল। জন্ম সালের তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। এই ভোগান্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এনআইডিতে ভুলের এই রোগ নতুন নয়। আর পাবনার কেবল একটি এলাকার মানুষ এই রোগের যন্ত্রণা পোহাচ্ছেন না। এনআইডির জন্মলগ্ন থেকে ভুলের রোগ পেয়ে বসেছে। এ কারণে যে এখন পর্যন্ত কত মানুষ কতভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে।
নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কেবল নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নেই এটি কাজে লাগে না। বিভিন্ন চাকরি, জমি রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট তৈরি, ব্যাংক হিসাব খোলা, মোবাইল সিম কার্ড কেনা, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছেলের চেয়ে বাবার বয়স কম, স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম, নামের বানানে ভুলের মতো অনেক ত্রুটিই দেখা যায়। আর এ ধরনের ভুলের কারণে নাগরিকরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হন। মানুষকে রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনও দেখা যায় যে, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও বিপত্তিতে পড়তে হয় অনেককে।
ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করা হবে সেটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। যারা ভোগান্তি পোহাতে চান না বা পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বছরের পর বছর বয়ে বেড়ান।
নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায় সেটা জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ কাজে সংশ্লিষ্টরা পেশাদারত্বের স্বাক্ষর রাখবে সেটাই আমাদের চাওয়া।