alt

opinion » editorial

নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়

: রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দেয়া হচ্ছে স্মার্ট এনআইডি কার্ড। উৎসাহ নিয়ে অনেকেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলছেন। তবে পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে অনেকের মুখই হয়ে যাচ্ছে ম্লান। কারণ অনেকের কার্ডেই রয়েছে পীড়াদায়ক ভুল। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্মার্ট কার্ডে নানান ভুল থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভাঙ্গুড়ার অনেক মানুষ। কোনো স্মার্ট কার্ডে কার্ডধারী ব্যক্তির নামের বানান ভুল তো কোনো কার্ডে বাবার নাম বা স্বামীর নামের বানান ভুল। জন্ম সালের তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। এই ভোগান্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এনআইডিতে ভুলের এই রোগ নতুন নয়। আর পাবনার কেবল একটি এলাকার মানুষ এই রোগের যন্ত্রণা পোহাচ্ছেন না। এনআইডির জন্মলগ্ন থেকে ভুলের রোগ পেয়ে বসেছে। এ কারণে যে এখন পর্যন্ত কত মানুষ কতভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে।

নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কেবল নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নেই এটি কাজে লাগে না। বিভিন্ন চাকরি, জমি রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট তৈরি, ব্যাংক হিসাব খোলা, মোবাইল সিম কার্ড কেনা, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছেলের চেয়ে বাবার বয়স কম, স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম, নামের বানানে ভুলের মতো অনেক ত্রুটিই দেখা যায়। আর এ ধরনের ভুলের কারণে নাগরিকরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হন। মানুষকে রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনও দেখা যায় যে, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও বিপত্তিতে পড়তে হয় অনেককে।

ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করা হবে সেটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। যারা ভোগান্তি পোহাতে চান না বা পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বছরের পর বছর বয়ে বেড়ান।

নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায় সেটা জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ কাজে সংশ্লিষ্টরা পেশাদারত্বের স্বাক্ষর রাখবে সেটাই আমাদের চাওয়া।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়

রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দেয়া হচ্ছে স্মার্ট এনআইডি কার্ড। উৎসাহ নিয়ে অনেকেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলছেন। তবে পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে অনেকের মুখই হয়ে যাচ্ছে ম্লান। কারণ অনেকের কার্ডেই রয়েছে পীড়াদায়ক ভুল। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্মার্ট কার্ডে নানান ভুল থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভাঙ্গুড়ার অনেক মানুষ। কোনো স্মার্ট কার্ডে কার্ডধারী ব্যক্তির নামের বানান ভুল তো কোনো কার্ডে বাবার নাম বা স্বামীর নামের বানান ভুল। জন্ম সালের তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। এই ভোগান্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এনআইডিতে ভুলের এই রোগ নতুন নয়। আর পাবনার কেবল একটি এলাকার মানুষ এই রোগের যন্ত্রণা পোহাচ্ছেন না। এনআইডির জন্মলগ্ন থেকে ভুলের রোগ পেয়ে বসেছে। এ কারণে যে এখন পর্যন্ত কত মানুষ কতভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে।

নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কেবল নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নেই এটি কাজে লাগে না। বিভিন্ন চাকরি, জমি রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট তৈরি, ব্যাংক হিসাব খোলা, মোবাইল সিম কার্ড কেনা, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছেলের চেয়ে বাবার বয়স কম, স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম, নামের বানানে ভুলের মতো অনেক ত্রুটিই দেখা যায়। আর এ ধরনের ভুলের কারণে নাগরিকরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হন। মানুষকে রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনও দেখা যায় যে, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও বিপত্তিতে পড়তে হয় অনেককে।

ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করা হবে সেটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। যারা ভোগান্তি পোহাতে চান না বা পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বছরের পর বছর বয়ে বেড়ান।

নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায় সেটা জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ কাজে সংশ্লিষ্টরা পেশাদারত্বের স্বাক্ষর রাখবে সেটাই আমাদের চাওয়া।

back to top