alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারীর ব্রহ্মপুত্র, হলহলিয়া, জিঞ্জিরাম ও সোনাভরি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি প্রভাবশালী চক্র। নির্বিচারে বালু তোলার ফলে একদিকে যেমন নদী ভাঙনে নদীতীরের মানুষ বাড়িঘর ও ফসলিজমি হারাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। বালু তোলা চক্রের হোতারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না কেউ।

বালু তোলার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভেকুচালককে আটক করে ভেকুর চাবি জব্দ করা হয়। কিন্তু পালের গোদারা ঠিকই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিতভাবে নদী থেকে বালু তোলার কারণে নদীর তলদেশ ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। এতে নদীর নাব্য কমে তীর ধসে যাচ্ছে। বন্যা, জলাবদ্ধতা ও ভূমিক্ষয় বেড়েই চলেছে। আর এ কারণে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে।

প্রশাসন ও রাজনীতিকে ব্যবহার করে নদী থেকে বালু তোলার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দেশে অবৈধভাবে বালু তোলার বিরুদ্ধে আইন আছে। সেই আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধানও রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে আইন প্রয়োগে কর্তৃপক্ষ কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

প্রশাসন বালু তোলা বন্ধে যে একেবারেই কিছু করে না তা নয়। অবৈধ বালু তোলা বন্ধে কখনো কখনো অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেল-জরিমানাও করা হয়। কিন্তু এসব করা হয় ভেকুচালকদের বিরুদ্ধে না হয় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মূলহোতারা কখনও ধরা পড়ে না।

শুধু ভেকুচালক আর শ্রমিককে ধরলে কখনও বালু তোলা বন্ধ হবে না, যতদিন না পালের গোদারা আইনের আওতায় আসবে। আমরা চাই, রৌমারীসহ দেশের নদ-নদীগুলোতে যারা অবৈধভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে বালু তোলার সঙ্গে প্রশাসনের কেউ বা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে ।

নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে, আইনের কঠোর প্রয়োগ করা গেলে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা যাবে বলে আমরা আশা করি। আইন প্রয়োগের পাশপাশি মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে মানুষ ও প্রকৃতির কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে ব্যপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারীর ব্রহ্মপুত্র, হলহলিয়া, জিঞ্জিরাম ও সোনাভরি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি প্রভাবশালী চক্র। নির্বিচারে বালু তোলার ফলে একদিকে যেমন নদী ভাঙনে নদীতীরের মানুষ বাড়িঘর ও ফসলিজমি হারাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। বালু তোলা চক্রের হোতারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না কেউ।

বালু তোলার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভেকুচালককে আটক করে ভেকুর চাবি জব্দ করা হয়। কিন্তু পালের গোদারা ঠিকই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিতভাবে নদী থেকে বালু তোলার কারণে নদীর তলদেশ ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। এতে নদীর নাব্য কমে তীর ধসে যাচ্ছে। বন্যা, জলাবদ্ধতা ও ভূমিক্ষয় বেড়েই চলেছে। আর এ কারণে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে।

প্রশাসন ও রাজনীতিকে ব্যবহার করে নদী থেকে বালু তোলার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দেশে অবৈধভাবে বালু তোলার বিরুদ্ধে আইন আছে। সেই আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধানও রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে আইন প্রয়োগে কর্তৃপক্ষ কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

প্রশাসন বালু তোলা বন্ধে যে একেবারেই কিছু করে না তা নয়। অবৈধ বালু তোলা বন্ধে কখনো কখনো অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেল-জরিমানাও করা হয়। কিন্তু এসব করা হয় ভেকুচালকদের বিরুদ্ধে না হয় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মূলহোতারা কখনও ধরা পড়ে না।

শুধু ভেকুচালক আর শ্রমিককে ধরলে কখনও বালু তোলা বন্ধ হবে না, যতদিন না পালের গোদারা আইনের আওতায় আসবে। আমরা চাই, রৌমারীসহ দেশের নদ-নদীগুলোতে যারা অবৈধভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে বালু তোলার সঙ্গে প্রশাসনের কেউ বা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে ।

নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে, আইনের কঠোর প্রয়োগ করা গেলে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা যাবে বলে আমরা আশা করি। আইন প্রয়োগের পাশপাশি মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে মানুষ ও প্রকৃতির কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে ব্যপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

back to top