alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ইটভাটার ধোঁয়ায় জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। এই অভিযোগে গত শনিবার তারা সংশ্লিষ্ট ইটভাটা ঘেরাও করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, দেবীদ্বারে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে ১১টি ইটভাটা। এসব ভাটার ধোঁয়ায় একদিকে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যেয় ঘটছে। ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের কারণে সড়কগুলোতে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে, ঘটছে বায়ুদূষণ।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেশের অনেক স্থানেই ইটভাটা গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও ফসলিজমিতে গড়ে ওঠা অনেক ভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এর প্রভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটছে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণের পাশাপাশি মাটি ও পানির ক্ষতি হয়। ইটভাটার আশপাশের এলাকার মানুষ চর্ম, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগে আক্রান্ত হন।

দেশে পরিবেশ আইন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জরিমানা করার পর বন্ধও হয় ইটভাটা। কিন্তু তারপর আবার আগের মতো চলতে থাকে ইট পোড়ানো।

ইটভাটা স্থাপন করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআইসহ কয়েকটি দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, ছাড়পত্র বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটা স্থাপন করা হয়। আর এর সবকিছুই হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর নাকের ডগায়। এগুলো নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

ইটভাটার কারণে কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত সেটা আমরা চাই না। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। ভাটা স্থাপনে অবশ্যই আইন মানতে হবে। আইন অমান্য করে ইটভাটা স্থাপন বা ইটভাটা তৈরির কোন সুযোগ থাকা উচিত নয়। অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে। দেশের যেসব স্থানে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর যারা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ইটভাটার ধোঁয়ায় জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। এই অভিযোগে গত শনিবার তারা সংশ্লিষ্ট ইটভাটা ঘেরাও করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, দেবীদ্বারে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে ১১টি ইটভাটা। এসব ভাটার ধোঁয়ায় একদিকে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যেয় ঘটছে। ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের কারণে সড়কগুলোতে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে, ঘটছে বায়ুদূষণ।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেশের অনেক স্থানেই ইটভাটা গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও ফসলিজমিতে গড়ে ওঠা অনেক ভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এর প্রভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটছে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণের পাশাপাশি মাটি ও পানির ক্ষতি হয়। ইটভাটার আশপাশের এলাকার মানুষ চর্ম, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগে আক্রান্ত হন।

দেশে পরিবেশ আইন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জরিমানা করার পর বন্ধও হয় ইটভাটা। কিন্তু তারপর আবার আগের মতো চলতে থাকে ইট পোড়ানো।

ইটভাটা স্থাপন করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআইসহ কয়েকটি দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, ছাড়পত্র বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটা স্থাপন করা হয়। আর এর সবকিছুই হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর নাকের ডগায়। এগুলো নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

ইটভাটার কারণে কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত সেটা আমরা চাই না। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। ভাটা স্থাপনে অবশ্যই আইন মানতে হবে। আইন অমান্য করে ইটভাটা স্থাপন বা ইটভাটা তৈরির কোন সুযোগ থাকা উচিত নয়। অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে। দেশের যেসব স্থানে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর যারা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

back to top