alt

opinion » editorial

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কৃষকরা কয়েক বছর ধরে ভুট্টা আবাদ করে লাভবান হচ্ছিলেন। এ বছরও অধিকাংশ কৃষক ভুট্টা চাষ করেছিলেন। ভুট্টার আবাদও ভালো হয়েছে। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা এখন হতাশায় ভুগছেন।

গত বছর কৃষকরা শুকনা ভুট্টা বিক্রি করেছিলেন ১৩৫০ টাকা মণ দরে। কিন্তু এ বছরে ভুট্টার দাম ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা মণ। ভুট্টা চাষের জন্য তারা চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন, সেই চিন্তায় দিশেহারা এখানকার ভুট্টা চাষিরা।

সরকারিভাবে ভুট্টার দাম নির্ধারণ করা হয় না বলে ব্যবসায়ীরা তাদের খেয়ালখুশি মতো দাম বেঁধে দেন। তখন বাধ্য হয়ে সেই দামেই কৃষককে ভুট্টা বিক্রি করতে হয়। এতে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয় তাদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভুট্টার ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষের খরচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। ফলন পাওয়া যায় ৫০ থেকে ৬০ মণ। ভালো দাম পেলে কৃষক অধিক লাভবান হন। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ভুট্টা চাষ বাড়ছে। তবে সঠিক দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এক্ষেত্রে চাঁদপুরের উদাহরণ দেয়া যায়। সেখানে ভুট্টার সরকারি দাম নির্ধারণ করা না থাকায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা তাদের খুশিমতো দামে ভুট্টা কিনছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ও টাকা-পয়সা খরচ করে কৃষক ফসল উৎপাদন করেন ঠিকই কিন্তু সেটা বিক্রির সময় লাভের বদলে লোকসানই গুনতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আর মাঝখান দিয়ে লাভবান হন মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। এ চিত্র শুধু চাঁদপুরেই নয়, সারাদেশেই কৃষকরা সব পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত।

কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত তাদের বেঁধে দেয়া দামেই কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। আইন অমান্য করলে তার শাস্তিরও বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থা মাঠপর্যায়ে তেমন তদারকির ব্যবস্থা না করায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।

কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পেতে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপও দরকার। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য কৃষকের দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো, সংগঠন তৈরি ও শক্তিশালীকরণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন ও সমবায়ভিত্তিক মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দেশের উপজেলা পর্যন্ত কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কৃষকরা কয়েক বছর ধরে ভুট্টা আবাদ করে লাভবান হচ্ছিলেন। এ বছরও অধিকাংশ কৃষক ভুট্টা চাষ করেছিলেন। ভুট্টার আবাদও ভালো হয়েছে। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা এখন হতাশায় ভুগছেন।

গত বছর কৃষকরা শুকনা ভুট্টা বিক্রি করেছিলেন ১৩৫০ টাকা মণ দরে। কিন্তু এ বছরে ভুট্টার দাম ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা মণ। ভুট্টা চাষের জন্য তারা চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন, সেই চিন্তায় দিশেহারা এখানকার ভুট্টা চাষিরা।

সরকারিভাবে ভুট্টার দাম নির্ধারণ করা হয় না বলে ব্যবসায়ীরা তাদের খেয়ালখুশি মতো দাম বেঁধে দেন। তখন বাধ্য হয়ে সেই দামেই কৃষককে ভুট্টা বিক্রি করতে হয়। এতে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয় তাদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভুট্টার ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষের খরচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। ফলন পাওয়া যায় ৫০ থেকে ৬০ মণ। ভালো দাম পেলে কৃষক অধিক লাভবান হন। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ভুট্টা চাষ বাড়ছে। তবে সঠিক দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এক্ষেত্রে চাঁদপুরের উদাহরণ দেয়া যায়। সেখানে ভুট্টার সরকারি দাম নির্ধারণ করা না থাকায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা তাদের খুশিমতো দামে ভুট্টা কিনছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ও টাকা-পয়সা খরচ করে কৃষক ফসল উৎপাদন করেন ঠিকই কিন্তু সেটা বিক্রির সময় লাভের বদলে লোকসানই গুনতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আর মাঝখান দিয়ে লাভবান হন মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। এ চিত্র শুধু চাঁদপুরেই নয়, সারাদেশেই কৃষকরা সব পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত।

কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত তাদের বেঁধে দেয়া দামেই কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। আইন অমান্য করলে তার শাস্তিরও বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থা মাঠপর্যায়ে তেমন তদারকির ব্যবস্থা না করায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।

কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পেতে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপও দরকার। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য কৃষকের দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো, সংগঠন তৈরি ও শক্তিশালীকরণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন ও সমবায়ভিত্তিক মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দেশের উপজেলা পর্যন্ত কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন করতে হবে।

back to top