alt

opinion » editorial

পুড়ছে সুন্দরবন

: সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

পুড়ছে সুন্দরবন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনে আগুন লেগেছে কবে সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় পরদিন রোববার থেকে। অনেকের ধারণা, আগুন হয়তো আরও আগে লেগে থাকতে পারে। কারণ বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেটা সহসা টের পাওয়া যায় না।

আগুন কবে লেগেছে, কেন লেগেছে সেটা হয়তো তদন্ত করে জানা যাবে। আগুন লাগার পর যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এরকম তদন্ত কমিটি অতীতে অনেকবারই গঠন করতে হয়েছে। গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবন বন বিভাগ এই তথ্যই জানিয়েছে।

সুন্দরবনে বারবার কেন আগুন লাগে সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে তখন বনে আগুন লাগল। রক্ষা যে, এই আগুন দাবানলে রূপ নেয়নি। তবে যা ক্ষতি হয়েছে সেটাও কাম্য ছিল না। বনের আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা দ্রুত নিরূপণ করা হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

অতীতে বিভিন্ন সময়ে বন অগ্নিকা-ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া ও মধুসহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে সুন্দরবনে।

আমরা জানতে চাইব, কারণ জানার পরও কেন সমস্যার সমাধান হয়নি। জানা যায়, বনকে সুরক্ষা দিতে বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন-সংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটিগুলো। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা জানা দরকার।

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও প্রাণবৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য জৈব সম্পদ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এটা দক্ষিণাঞ্চলের পরীক্ষিত রক্ষাকবচ। কোনো কারণে বনের ক্ষয়ক্ষতি হোক সেটা আমরা চাই না। শুধু দূষণমুক্ত জীবনের স্বার্থেই নয়, বনভূমিকে পশু ও প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে বনকে রক্ষা করতে হবে, এর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।

অগ্নিকা-ের ঘটনা তদন্ত যে কমিটি হয়েছে তারা দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করি। প্রতিবেদনে হয়তো সুপারিশও থাকবে। আমরা চাইব, সুপারিশগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে বনবিভাগকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

পুড়ছে সুন্দরবন

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

পুড়ছে সুন্দরবন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনে আগুন লেগেছে কবে সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় পরদিন রোববার থেকে। অনেকের ধারণা, আগুন হয়তো আরও আগে লেগে থাকতে পারে। কারণ বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেটা সহসা টের পাওয়া যায় না।

আগুন কবে লেগেছে, কেন লেগেছে সেটা হয়তো তদন্ত করে জানা যাবে। আগুন লাগার পর যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এরকম তদন্ত কমিটি অতীতে অনেকবারই গঠন করতে হয়েছে। গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবন বন বিভাগ এই তথ্যই জানিয়েছে।

সুন্দরবনে বারবার কেন আগুন লাগে সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে তখন বনে আগুন লাগল। রক্ষা যে, এই আগুন দাবানলে রূপ নেয়নি। তবে যা ক্ষতি হয়েছে সেটাও কাম্য ছিল না। বনের আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা দ্রুত নিরূপণ করা হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

অতীতে বিভিন্ন সময়ে বন অগ্নিকা-ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া ও মধুসহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে সুন্দরবনে।

আমরা জানতে চাইব, কারণ জানার পরও কেন সমস্যার সমাধান হয়নি। জানা যায়, বনকে সুরক্ষা দিতে বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন-সংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটিগুলো। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা জানা দরকার।

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও প্রাণবৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য জৈব সম্পদ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এটা দক্ষিণাঞ্চলের পরীক্ষিত রক্ষাকবচ। কোনো কারণে বনের ক্ষয়ক্ষতি হোক সেটা আমরা চাই না। শুধু দূষণমুক্ত জীবনের স্বার্থেই নয়, বনভূমিকে পশু ও প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে বনকে রক্ষা করতে হবে, এর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।

অগ্নিকা-ের ঘটনা তদন্ত যে কমিটি হয়েছে তারা দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করি। প্রতিবেদনে হয়তো সুপারিশও থাকবে। আমরা চাইব, সুপারিশগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে বনবিভাগকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

back to top