পুড়ছে সুন্দরবন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনে আগুন লেগেছে কবে সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় পরদিন রোববার থেকে। অনেকের ধারণা, আগুন হয়তো আরও আগে লেগে থাকতে পারে। কারণ বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেটা সহসা টের পাওয়া যায় না।
আগুন কবে লেগেছে, কেন লেগেছে সেটা হয়তো তদন্ত করে জানা যাবে। আগুন লাগার পর যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এরকম তদন্ত কমিটি অতীতে অনেকবারই গঠন করতে হয়েছে। গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবন বন বিভাগ এই তথ্যই জানিয়েছে।
সুন্দরবনে বারবার কেন আগুন লাগে সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে তখন বনে আগুন লাগল। রক্ষা যে, এই আগুন দাবানলে রূপ নেয়নি। তবে যা ক্ষতি হয়েছে সেটাও কাম্য ছিল না। বনের আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা দ্রুত নিরূপণ করা হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে বন অগ্নিকা-ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া ও মধুসহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে সুন্দরবনে।
আমরা জানতে চাইব, কারণ জানার পরও কেন সমস্যার সমাধান হয়নি। জানা যায়, বনকে সুরক্ষা দিতে বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন-সংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটিগুলো। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা জানা দরকার।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও প্রাণবৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য জৈব সম্পদ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এটা দক্ষিণাঞ্চলের পরীক্ষিত রক্ষাকবচ। কোনো কারণে বনের ক্ষয়ক্ষতি হোক সেটা আমরা চাই না। শুধু দূষণমুক্ত জীবনের স্বার্থেই নয়, বনভূমিকে পশু ও প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে বনকে রক্ষা করতে হবে, এর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
অগ্নিকা-ের ঘটনা তদন্ত যে কমিটি হয়েছে তারা দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করি। প্রতিবেদনে হয়তো সুপারিশও থাকবে। আমরা চাইব, সুপারিশগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে বনবিভাগকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
পুড়ছে সুন্দরবন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনে আগুন লেগেছে কবে সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় পরদিন রোববার থেকে। অনেকের ধারণা, আগুন হয়তো আরও আগে লেগে থাকতে পারে। কারণ বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেটা সহসা টের পাওয়া যায় না।
আগুন কবে লেগেছে, কেন লেগেছে সেটা হয়তো তদন্ত করে জানা যাবে। আগুন লাগার পর যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এরকম তদন্ত কমিটি অতীতে অনেকবারই গঠন করতে হয়েছে। গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবন বন বিভাগ এই তথ্যই জানিয়েছে।
সুন্দরবনে বারবার কেন আগুন লাগে সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে তখন বনে আগুন লাগল। রক্ষা যে, এই আগুন দাবানলে রূপ নেয়নি। তবে যা ক্ষতি হয়েছে সেটাও কাম্য ছিল না। বনের আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা দ্রুত নিরূপণ করা হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে বন অগ্নিকা-ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া ও মধুসহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে সুন্দরবনে।
আমরা জানতে চাইব, কারণ জানার পরও কেন সমস্যার সমাধান হয়নি। জানা যায়, বনকে সুরক্ষা দিতে বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন-সংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটিগুলো। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা জানা দরকার।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও প্রাণবৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য জৈব সম্পদ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এটা দক্ষিণাঞ্চলের পরীক্ষিত রক্ষাকবচ। কোনো কারণে বনের ক্ষয়ক্ষতি হোক সেটা আমরা চাই না। শুধু দূষণমুক্ত জীবনের স্বার্থেই নয়, বনভূমিকে পশু ও প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে বনকে রক্ষা করতে হবে, এর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
অগ্নিকা-ের ঘটনা তদন্ত যে কমিটি হয়েছে তারা দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করি। প্রতিবেদনে হয়তো সুপারিশও থাকবে। আমরা চাইব, সুপারিশগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে বনবিভাগকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।