alt

সম্পাদকীয়

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

: মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

বজ্রপাতে প্রতি বছরই বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত রোববার ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বেতছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর পরদিন সোমবার সকালে নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন এক কৃষক।

বজ্রপাত এখন দেশের অন্যতম এক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় দেশে এখন বজ্রপাতেই বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানা যায়। জাতিসংঘের এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। আর বাংলাদেশের চেয়ে ৬১ গুণেরও বেশি বড় আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বজ্রপাতের কারণে বছরে ২০ জনেরও কম মানুষ মারা যায়।

সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতের ফলে ২ হাজার ১৪২ জন মারা গেছেন। এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন ৫৩৮ জন। বজ্রপাতে যে কেবল মানুষ হতাহত হয় তা নয়, অনেক গবাদিপশুও মারা যায়। ঘরবাড়িসহ নানান স্থাপনা ও গাছপালার ক্ষতি হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, বজ্রপাতে কত মানুষ মারা যায় তারা পরিসংখ্যান বিভিন্ন সময় জানা যায়। তবে বজ্রপাতে কত মানুষ আহত হয়, গবাদিপশু মারা যায় কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয় সেই হিসাব নির্দিষ্ট করে জানা যায় না।

বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে। এই সময়ে কৃষিজমি, খোলা মাঠ, খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত প্রান্তরে থাকা মানুষ বজ্রপাতের শিকার হন। জানা যায়, বজ্রপাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সিংহভাগই খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে কৃষিকাজ করছিলেন। এর কারণ হচ্ছে বৃষ্টিপাতের সময়ে এসব স্থানে মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায় না।

বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি এমন এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারও বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার কথা বলছে। আমরা আশা করব, দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। সেটা করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বজ্রপাত সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষকরে বজ্রপাত প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জানাতে হবে।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

বজ্রপাতে প্রতি বছরই বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত রোববার ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বেতছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর পরদিন সোমবার সকালে নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন এক কৃষক।

বজ্রপাত এখন দেশের অন্যতম এক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় দেশে এখন বজ্রপাতেই বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানা যায়। জাতিসংঘের এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। আর বাংলাদেশের চেয়ে ৬১ গুণেরও বেশি বড় আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বজ্রপাতের কারণে বছরে ২০ জনেরও কম মানুষ মারা যায়।

সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতের ফলে ২ হাজার ১৪২ জন মারা গেছেন। এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন ৫৩৮ জন। বজ্রপাতে যে কেবল মানুষ হতাহত হয় তা নয়, অনেক গবাদিপশুও মারা যায়। ঘরবাড়িসহ নানান স্থাপনা ও গাছপালার ক্ষতি হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, বজ্রপাতে কত মানুষ মারা যায় তারা পরিসংখ্যান বিভিন্ন সময় জানা যায়। তবে বজ্রপাতে কত মানুষ আহত হয়, গবাদিপশু মারা যায় কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয় সেই হিসাব নির্দিষ্ট করে জানা যায় না।

বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে। এই সময়ে কৃষিজমি, খোলা মাঠ, খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত প্রান্তরে থাকা মানুষ বজ্রপাতের শিকার হন। জানা যায়, বজ্রপাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সিংহভাগই খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে কৃষিকাজ করছিলেন। এর কারণ হচ্ছে বৃষ্টিপাতের সময়ে এসব স্থানে মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায় না।

বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি এমন এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারও বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার কথা বলছে। আমরা আশা করব, দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। সেটা করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বজ্রপাত সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষকরে বজ্রপাত প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জানাতে হবে।

back to top