বজ্রপাতে প্রতি বছরই বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত রোববার ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বেতছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর পরদিন সোমবার সকালে নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন এক কৃষক।
বজ্রপাত এখন দেশের অন্যতম এক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় দেশে এখন বজ্রপাতেই বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানা যায়। জাতিসংঘের এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। আর বাংলাদেশের চেয়ে ৬১ গুণেরও বেশি বড় আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বজ্রপাতের কারণে বছরে ২০ জনেরও কম মানুষ মারা যায়।
সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতের ফলে ২ হাজার ১৪২ জন মারা গেছেন। এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন ৫৩৮ জন। বজ্রপাতে যে কেবল মানুষ হতাহত হয় তা নয়, অনেক গবাদিপশুও মারা যায়। ঘরবাড়িসহ নানান স্থাপনা ও গাছপালার ক্ষতি হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, বজ্রপাতে কত মানুষ মারা যায় তারা পরিসংখ্যান বিভিন্ন সময় জানা যায়। তবে বজ্রপাতে কত মানুষ আহত হয়, গবাদিপশু মারা যায় কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয় সেই হিসাব নির্দিষ্ট করে জানা যায় না।
বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে। এই সময়ে কৃষিজমি, খোলা মাঠ, খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত প্রান্তরে থাকা মানুষ বজ্রপাতের শিকার হন। জানা যায়, বজ্রপাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সিংহভাগই খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে কৃষিকাজ করছিলেন। এর কারণ হচ্ছে বৃষ্টিপাতের সময়ে এসব স্থানে মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায় না।
বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি এমন এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারও বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার কথা বলছে। আমরা আশা করব, দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। সেটা করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বজ্রপাত সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষকরে বজ্রপাত প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জানাতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
বজ্রপাতে প্রতি বছরই বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত রোববার ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বেতছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর পরদিন সোমবার সকালে নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন এক কৃষক।
বজ্রপাত এখন দেশের অন্যতম এক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় দেশে এখন বজ্রপাতেই বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানা যায়। জাতিসংঘের এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। আর বাংলাদেশের চেয়ে ৬১ গুণেরও বেশি বড় আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বজ্রপাতের কারণে বছরে ২০ জনেরও কম মানুষ মারা যায়।
সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতের ফলে ২ হাজার ১৪২ জন মারা গেছেন। এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন ৫৩৮ জন। বজ্রপাতে যে কেবল মানুষ হতাহত হয় তা নয়, অনেক গবাদিপশুও মারা যায়। ঘরবাড়িসহ নানান স্থাপনা ও গাছপালার ক্ষতি হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, বজ্রপাতে কত মানুষ মারা যায় তারা পরিসংখ্যান বিভিন্ন সময় জানা যায়। তবে বজ্রপাতে কত মানুষ আহত হয়, গবাদিপশু মারা যায় কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয় সেই হিসাব নির্দিষ্ট করে জানা যায় না।
বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে। এই সময়ে কৃষিজমি, খোলা মাঠ, খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত প্রান্তরে থাকা মানুষ বজ্রপাতের শিকার হন। জানা যায়, বজ্রপাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সিংহভাগই খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে কৃষিকাজ করছিলেন। এর কারণ হচ্ছে বৃষ্টিপাতের সময়ে এসব স্থানে মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায় না।
বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি এমন এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারও বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার কথা বলছে। আমরা আশা করব, দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। সেটা করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বজ্রপাত সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষকরে বজ্রপাত প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জানাতে হবে।