alt

সম্পাদকীয়

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

: শনিবার, ১১ মে ২০২৪

দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় কোন না কোন মানুষের জীবনে করুণ পরিণতি ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যানবাহনের বেপরোয়া গতি। বেপরোয়া গতির কারণে সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহনের গতি বেশি হলে দুর্ঘটনায় আঘাতের মাত্রাও তীব্র হয়। দেশের সড়ক-মহাসড়কে কোন ধরনের যানবাহন কত গতিতে চলবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত রোববার ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে সেটা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে এবং সার্ভিস লেইন ছাড়া চার বা ছয় লেইনের জাতীয় মহাসড়কে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাস চলতে পারবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে। মোটরসাইকেল ও ট্রাকের গতিসীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন চাকার যানবাহন।

সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে সেটা ভালো। এখন জরুরি হচ্ছে বেঁধে দেয়া গতিসীমা কার্যকর করা। কোনো যানবাহন গতিসীমা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে শুধু গতিসীমা বেঁধে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা একটা প্রশ্ন। সড়ক-মহাসড়কে চলা অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। চালকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, লাইসেন্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকিং করা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ পার্কিং প্রভৃতি অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে এসব সমস্যারও টেকসই সমাধান হওয়া জরুরি।

মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা আইন করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না। অভিযোগ আছে, সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী তিন চাকার যানবাহন ও নানান অবৈধ যানবাহন থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা ও মাসোহারা পেয়ে থাকে। এজন্য সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। এ অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

শনিবার, ১১ মে ২০২৪

দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় কোন না কোন মানুষের জীবনে করুণ পরিণতি ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যানবাহনের বেপরোয়া গতি। বেপরোয়া গতির কারণে সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহনের গতি বেশি হলে দুর্ঘটনায় আঘাতের মাত্রাও তীব্র হয়। দেশের সড়ক-মহাসড়কে কোন ধরনের যানবাহন কত গতিতে চলবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত রোববার ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে সেটা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে এবং সার্ভিস লেইন ছাড়া চার বা ছয় লেইনের জাতীয় মহাসড়কে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাস চলতে পারবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে। মোটরসাইকেল ও ট্রাকের গতিসীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন চাকার যানবাহন।

সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে সেটা ভালো। এখন জরুরি হচ্ছে বেঁধে দেয়া গতিসীমা কার্যকর করা। কোনো যানবাহন গতিসীমা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে শুধু গতিসীমা বেঁধে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা একটা প্রশ্ন। সড়ক-মহাসড়কে চলা অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। চালকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, লাইসেন্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকিং করা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ পার্কিং প্রভৃতি অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে এসব সমস্যারও টেকসই সমাধান হওয়া জরুরি।

মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা আইন করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না। অভিযোগ আছে, সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী তিন চাকার যানবাহন ও নানান অবৈধ যানবাহন থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা ও মাসোহারা পেয়ে থাকে। এজন্য সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। এ অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।

back to top