রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে হাজারো রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে নাফ নদী দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে দশ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য থেকে জানা গেছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। তারপরও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, কড়া নজরদারির মধ্যেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হচ্ছে কীভাবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নৌকায় চড়ে দালালের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পার হচ্ছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই অবস্থায় মংডু সীমান্তে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে নিজ দেশ মায়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এখানে এসেছে। কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তারা বসবাস করছে। কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। নাফ নদীতে ও সীমান্ত পাহারায় কোনো ত্রুটি আছে কিনা সেটা জানা দরকার। দালাল চক্র কীভাবে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পার করছে সেটা একটা প্রশ্ন। দালাল চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

‘সম্পাদকীয়’ : আরও খবর

» হাসপাতালে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ চাই

» গোবিন্দগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ আমলে নিন

» আত্রাই নদীর বালু লুট বন্ধ করুন

» ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মানুষ হত্যা: কঠোর ব্যবস্থা নিন

» অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসনের দুর্বলতা ও পরিবেশের সংকট

» ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

» শেষ না হওয়া সেতু, শেষ না হওয়া ভোগান্তি

» সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা: আদি ও অকৃত্রিম ফ্যাসিবাদের জঘন্য রূপ

» পাহাড় কেটে কেন পানের বরজ?

» মতপ্রকাশের জন্য গ্রেপ্তার: গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়

» সাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশনে জনবল সংকট দূর করুন

» চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সম্প্রতি