alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে হাজারো রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে নাফ নদী দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে দশ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য থেকে জানা গেছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। তারপরও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, কড়া নজরদারির মধ্যেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হচ্ছে কীভাবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নৌকায় চড়ে দালালের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পার হচ্ছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই অবস্থায় মংডু সীমান্তে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে নিজ দেশ মায়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এখানে এসেছে। কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তারা বসবাস করছে। কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। নাফ নদীতে ও সীমান্ত পাহারায় কোনো ত্রুটি আছে কিনা সেটা জানা দরকার। দালাল চক্র কীভাবে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পার করছে সেটা একটা প্রশ্ন। দালাল চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে হাজারো রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে নাফ নদী দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে দশ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য থেকে জানা গেছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। তারপরও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, কড়া নজরদারির মধ্যেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হচ্ছে কীভাবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নৌকায় চড়ে দালালের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পার হচ্ছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই অবস্থায় মংডু সীমান্তে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে নিজ দেশ মায়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এখানে এসেছে। কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তারা বসবাস করছে। কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। নাফ নদীতে ও সীমান্ত পাহারায় কোনো ত্রুটি আছে কিনা সেটা জানা দরকার। দালাল চক্র কীভাবে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পার করছে সেটা একটা প্রশ্ন। দালাল চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

back to top