শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন মাঝে কদিন বন্ধ ছিল। আশা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কারখানাগুলোতে কাজের পরিবেশ ফিরবে। কিন্তু কোনো কোনো কারখানার শ্রমিকরা আবারও দাবি আদায়ে পথে নেমেছেন। বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন। সড়ক অবরোধ করছেন। কোনো কোনো স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গত মঙ্গলবার আশুলিয়ার জিরাবোতে শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে মারা গেছেন এক নারী শ্রমিক। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে। কিছু কারখানা বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছে। আবার অনেক কারখানা প্রতিশ্রুত সময়ে বকেয়া পরিশোধ করেনি। এসব কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে পথে নেমে এসেছেন। গাজীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাদের জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার মালিক প্রতি মাসেই বেতন নিয়ে টালবাহানা করেন।
শ্রমিকরা বলছেন, তারা যে মুজুরি পান সেটা পরিবার নিয়ে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। সেই বেতনও যদি নিয়মিত না পান তাহলে তাদের মানবিকভাবে বেঁচে থাকাই দায়। দ্রব্যমূল্য দিন দিন বাড়ছেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য খরচও। বেতন, ওভারটাইম বাড়ানোর দাবিও তাদের রয়েছে। টিফিন ভাতা বাড়ানো, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বাতিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করাসহ আরও কিছু দাবিও শ্রমিকরা তুলেছেন।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ কোনো কোনো দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কিছু কারখানার মালিক বকেয়া বেতন পরিশোধ করেননি। এ কারণে আবার যে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সেটা দ্রুত আমলে নেয়া দরকার। এখনই এই সমস্যার সমাধান করা না হলে অসন্তোষ আরও বিস্তৃত হতে পারে। সেটা কেবল কারখানাগুলোর জন্যই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখকর হবে না। গত ২১ আগস্ট থেকে যে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয় তার প্রভাবে অর্থনীতি ইতোমধ্যে চাপে পড়েছে। আমরা চাই না, কোনো কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বেতন বকেয়া রাখার জন্য শ্রমিক অসন্তোষ আবার ছড়িয়ে পড়লে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন মাঝে কদিন বন্ধ ছিল। আশা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কারখানাগুলোতে কাজের পরিবেশ ফিরবে। কিন্তু কোনো কোনো কারখানার শ্রমিকরা আবারও দাবি আদায়ে পথে নেমেছেন। বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন। সড়ক অবরোধ করছেন। কোনো কোনো স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গত মঙ্গলবার আশুলিয়ার জিরাবোতে শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে মারা গেছেন এক নারী শ্রমিক। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে। কিছু কারখানা বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছে। আবার অনেক কারখানা প্রতিশ্রুত সময়ে বকেয়া পরিশোধ করেনি। এসব কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে পথে নেমে এসেছেন। গাজীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাদের জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার মালিক প্রতি মাসেই বেতন নিয়ে টালবাহানা করেন।
শ্রমিকরা বলছেন, তারা যে মুজুরি পান সেটা পরিবার নিয়ে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। সেই বেতনও যদি নিয়মিত না পান তাহলে তাদের মানবিকভাবে বেঁচে থাকাই দায়। দ্রব্যমূল্য দিন দিন বাড়ছেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য খরচও। বেতন, ওভারটাইম বাড়ানোর দাবিও তাদের রয়েছে। টিফিন ভাতা বাড়ানো, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বাতিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করাসহ আরও কিছু দাবিও শ্রমিকরা তুলেছেন।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ কোনো কোনো দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কিছু কারখানার মালিক বকেয়া বেতন পরিশোধ করেননি। এ কারণে আবার যে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সেটা দ্রুত আমলে নেয়া দরকার। এখনই এই সমস্যার সমাধান করা না হলে অসন্তোষ আরও বিস্তৃত হতে পারে। সেটা কেবল কারখানাগুলোর জন্যই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখকর হবে না। গত ২১ আগস্ট থেকে যে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয় তার প্রভাবে অর্থনীতি ইতোমধ্যে চাপে পড়েছে। আমরা চাই না, কোনো কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বেতন বকেয়া রাখার জন্য শ্রমিক অসন্তোষ আবার ছড়িয়ে পড়লে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।