alt

সম্পাদকীয়

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন মাঝে কদিন বন্ধ ছিল। আশা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কারখানাগুলোতে কাজের পরিবেশ ফিরবে। কিন্তু কোনো কোনো কারখানার শ্রমিকরা আবারও দাবি আদায়ে পথে নেমেছেন। বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন। সড়ক অবরোধ করছেন। কোনো কোনো স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গত মঙ্গলবার আশুলিয়ার জিরাবোতে শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে মারা গেছেন এক নারী শ্রমিক। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে। কিছু কারখানা বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছে। আবার অনেক কারখানা প্রতিশ্রুত সময়ে বকেয়া পরিশোধ করেনি। এসব কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে পথে নেমে এসেছেন। গাজীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাদের জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার মালিক প্রতি মাসেই বেতন নিয়ে টালবাহানা করেন।

শ্রমিকরা বলছেন, তারা যে মুজুরি পান সেটা পরিবার নিয়ে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। সেই বেতনও যদি নিয়মিত না পান তাহলে তাদের মানবিকভাবে বেঁচে থাকাই দায়। দ্রব্যমূল্য দিন দিন বাড়ছেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য খরচও। বেতন, ওভারটাইম বাড়ানোর দাবিও তাদের রয়েছে। টিফিন ভাতা বাড়ানো, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বাতিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করাসহ আরও কিছু দাবিও শ্রমিকরা তুলেছেন।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ কোনো কোনো দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কিছু কারখানার মালিক বকেয়া বেতন পরিশোধ করেননি। এ কারণে আবার যে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সেটা দ্রুত আমলে নেয়া দরকার। এখনই এই সমস্যার সমাধান করা না হলে অসন্তোষ আরও বিস্তৃত হতে পারে। সেটা কেবল কারখানাগুলোর জন্যই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখকর হবে না। গত ২১ আগস্ট থেকে যে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয় তার প্রভাবে অর্থনীতি ইতোমধ্যে চাপে পড়েছে। আমরা চাই না, কোনো কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বেতন বকেয়া রাখার জন্য শ্রমিক অসন্তোষ আবার ছড়িয়ে পড়লে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন মাঝে কদিন বন্ধ ছিল। আশা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কারখানাগুলোতে কাজের পরিবেশ ফিরবে। কিন্তু কোনো কোনো কারখানার শ্রমিকরা আবারও দাবি আদায়ে পথে নেমেছেন। বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন। সড়ক অবরোধ করছেন। কোনো কোনো স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গত মঙ্গলবার আশুলিয়ার জিরাবোতে শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে মারা গেছেন এক নারী শ্রমিক। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে। কিছু কারখানা বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছে। আবার অনেক কারখানা প্রতিশ্রুত সময়ে বকেয়া পরিশোধ করেনি। এসব কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে পথে নেমে এসেছেন। গাজীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাদের জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার মালিক প্রতি মাসেই বেতন নিয়ে টালবাহানা করেন।

শ্রমিকরা বলছেন, তারা যে মুজুরি পান সেটা পরিবার নিয়ে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। সেই বেতনও যদি নিয়মিত না পান তাহলে তাদের মানবিকভাবে বেঁচে থাকাই দায়। দ্রব্যমূল্য দিন দিন বাড়ছেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য খরচও। বেতন, ওভারটাইম বাড়ানোর দাবিও তাদের রয়েছে। টিফিন ভাতা বাড়ানো, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বাতিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করাসহ আরও কিছু দাবিও শ্রমিকরা তুলেছেন।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ কোনো কোনো দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কিছু কারখানার মালিক বকেয়া বেতন পরিশোধ করেননি। এ কারণে আবার যে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সেটা দ্রুত আমলে নেয়া দরকার। এখনই এই সমস্যার সমাধান করা না হলে অসন্তোষ আরও বিস্তৃত হতে পারে। সেটা কেবল কারখানাগুলোর জন্যই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখকর হবে না। গত ২১ আগস্ট থেকে যে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয় তার প্রভাবে অর্থনীতি ইতোমধ্যে চাপে পড়েছে। আমরা চাই না, কোনো কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বেতন বকেয়া রাখার জন্য শ্রমিক অসন্তোষ আবার ছড়িয়ে পড়লে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।

back to top