alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্যই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। তবে সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নাগরিকরা কতটুকু সেবা পাচ্ছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। সরকারি অনেক হাসপাতালই নানা সংকটে ধুঁকছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম, রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ঘাটতি প্রভৃতি সমস্যা রয়েছেই। প্রসঙ্গক্রমে দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা বলা যায়, জনবলের ঘাটতিতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল কাঠামো অনুযায়ী ১৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজন আছেন ডেপুটেশনে, পাঁচজন সাবসেন্টারে, একজন চিকিৎসককে দাপ্তরিক কাজ ও সভা-সেমিনার সামলাতে হয়, বাকি দুইজন দিয়ে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে ৪শ রোগী সামালাতে হয়। নার্সের ৩৬ পদে কর্মরত আছেন ২৬ জন। অন্যান্য কর্মীর ঘাটতিও রয়েছে। ওষুধের সরবরাহ অপর্যাপ্ত। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অস্ত্রোপচার কক্ষ পুরোপুরি চালু না থাকায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি ও তিনটি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে দুটি অচল হয়ে পড়েছে।

কেবল হাসপাতাল নির্মাণ করে কিছু শয্যা স্থাপন করলেই নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা যায় না। হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স রাখাও জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে চিকিৎসক-রোগীর অনুপাত হচ্ছে প্রতি দশ হাজারে ৫.২৬। দক্ষিণ এশিয়ায় এই অবস্থান হচ্ছে নিচের দিক হতে দ্বিতীয়। চিকিৎসক-নার্সের অনুপাত হওয়ার কথা ছিল ১.৩, যা বাংলাদেশে ১.২৯।

নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য যে অনুপাতে চিকিৎসক ও নার্স থাকা জরুরি সেটি আমাদের নেই, যে কারণে দেশের চিকিৎসার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবার যত চিকিৎসক রয়েছেন তাদের অনেকেই নানা কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে একদিকে যেমন সেবা নিতে আসা রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা পান না আরেক দিকে কর্মরত চিকিৎসকদের ওপরও কাজের চাপ সৃষ্টি হয়।

বোধগম্য কারণেই রাতারাতি দেশের চিকিৎসা ও নার্স সংকট দূর করা সম্ভব নয়। তবে এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। স্বল্প মেয়াদে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা বলতে চাই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল সংকটের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। সেখানে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দেয়ার উদ্দ্যোগ নিতে হবে। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-নার্সসহ সব কর্মচারী যাতে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় জনসাধারণ হাসপাতালে গিয়ে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন এটাই আমরা দেখতে চাই।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্যই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। তবে সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নাগরিকরা কতটুকু সেবা পাচ্ছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। সরকারি অনেক হাসপাতালই নানা সংকটে ধুঁকছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম, রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ঘাটতি প্রভৃতি সমস্যা রয়েছেই। প্রসঙ্গক্রমে দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা বলা যায়, জনবলের ঘাটতিতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল কাঠামো অনুযায়ী ১৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজন আছেন ডেপুটেশনে, পাঁচজন সাবসেন্টারে, একজন চিকিৎসককে দাপ্তরিক কাজ ও সভা-সেমিনার সামলাতে হয়, বাকি দুইজন দিয়ে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে ৪শ রোগী সামালাতে হয়। নার্সের ৩৬ পদে কর্মরত আছেন ২৬ জন। অন্যান্য কর্মীর ঘাটতিও রয়েছে। ওষুধের সরবরাহ অপর্যাপ্ত। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অস্ত্রোপচার কক্ষ পুরোপুরি চালু না থাকায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি ও তিনটি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে দুটি অচল হয়ে পড়েছে।

কেবল হাসপাতাল নির্মাণ করে কিছু শয্যা স্থাপন করলেই নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা যায় না। হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স রাখাও জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে চিকিৎসক-রোগীর অনুপাত হচ্ছে প্রতি দশ হাজারে ৫.২৬। দক্ষিণ এশিয়ায় এই অবস্থান হচ্ছে নিচের দিক হতে দ্বিতীয়। চিকিৎসক-নার্সের অনুপাত হওয়ার কথা ছিল ১.৩, যা বাংলাদেশে ১.২৯।

নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য যে অনুপাতে চিকিৎসক ও নার্স থাকা জরুরি সেটি আমাদের নেই, যে কারণে দেশের চিকিৎসার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবার যত চিকিৎসক রয়েছেন তাদের অনেকেই নানা কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে একদিকে যেমন সেবা নিতে আসা রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা পান না আরেক দিকে কর্মরত চিকিৎসকদের ওপরও কাজের চাপ সৃষ্টি হয়।

বোধগম্য কারণেই রাতারাতি দেশের চিকিৎসা ও নার্স সংকট দূর করা সম্ভব নয়। তবে এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। স্বল্প মেয়াদে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা বলতে চাই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল সংকটের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। সেখানে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দেয়ার উদ্দ্যোগ নিতে হবে। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-নার্সসহ সব কর্মচারী যাতে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় জনসাধারণ হাসপাতালে গিয়ে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন এটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top