alt

সম্পাদকীয়

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

: রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোরের হরিণার বিল দখল করে প্লট আকারে বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মাটি ফেলে বিল ভরাট করা হচ্ছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলের সঙ্গে যুক্ত। দখলের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে প্রাকৃতিক জলাধারটি। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, হরিণার বিলের আয়তন প্রায় ৫০৭ হেক্টর। বিল হরিণা মূলত ধান আবাদ এলাকা। সেখানে আবাদি জমি প্রায় ৪৮৫ হেক্টর। জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে প্লট আকারে বিক্রি করা হলেও ভূমি অফিসের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। অবৈধ স্থাপনা ও বিল ভরাটের কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এ কারণে চাষাবাদ বিঘিœত হচ্ছে।

শুধু যশোরেই নয়, দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের নানা অন্যায়-অপকর্ম করতে দেখা যায়। আর তার ভার বইতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বা কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে খাল-বিল দখল করে। কেবল দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সেখানে ইচ্ছামতো স্থাপনা গড়ে তোলে, জমি বিক্রি করে।

প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করে। কারও দখলদারিত্ব বা স্বেচ্ছাচারের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কোনো প্রতিকার আছে কিনা? নাকি প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে চলবেন আর সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে?

দেশে আইন আছে। খাল-বিল বা জলাশয় ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কেউ চাইলেই তার ইচ্ছামতো বিলের জমি বিক্রি করতে পারে না বা সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই, হরিণার বিলকে দখলমুক্ত করতে হবে। সেখানে কৃষকদের আবাদের পথে সব বাধা দূর করতে হবে। সেখানকার জলবদ্ধতা নিরসন করতে হবে দ্রুত। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। দখলের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

ঈদে মিলাদুন্নবী

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

tab

সম্পাদকীয়

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোরের হরিণার বিল দখল করে প্লট আকারে বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মাটি ফেলে বিল ভরাট করা হচ্ছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলের সঙ্গে যুক্ত। দখলের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে প্রাকৃতিক জলাধারটি। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, হরিণার বিলের আয়তন প্রায় ৫০৭ হেক্টর। বিল হরিণা মূলত ধান আবাদ এলাকা। সেখানে আবাদি জমি প্রায় ৪৮৫ হেক্টর। জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে প্লট আকারে বিক্রি করা হলেও ভূমি অফিসের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। অবৈধ স্থাপনা ও বিল ভরাটের কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এ কারণে চাষাবাদ বিঘিœত হচ্ছে।

শুধু যশোরেই নয়, দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের নানা অন্যায়-অপকর্ম করতে দেখা যায়। আর তার ভার বইতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বা কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে খাল-বিল দখল করে। কেবল দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সেখানে ইচ্ছামতো স্থাপনা গড়ে তোলে, জমি বিক্রি করে।

প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করে। কারও দখলদারিত্ব বা স্বেচ্ছাচারের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কোনো প্রতিকার আছে কিনা? নাকি প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে চলবেন আর সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে?

দেশে আইন আছে। খাল-বিল বা জলাশয় ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কেউ চাইলেই তার ইচ্ছামতো বিলের জমি বিক্রি করতে পারে না বা সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই, হরিণার বিলকে দখলমুক্ত করতে হবে। সেখানে কৃষকদের আবাদের পথে সব বাধা দূর করতে হবে। সেখানকার জলবদ্ধতা নিরসন করতে হবে দ্রুত। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। দখলের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top