alt

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন দায়িত্বে যোগদান করেন। খবর এটা নয়। খবর হচ্ছে, নবনিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়কে শপথ পড়িয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

শপথ পড়ানোর এই ঘটনায় দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি কোনো শপথ অনুষ্ঠান ছিল না। ঘটনাটি যেভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এমনটি হয়নি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ যোগদান করার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখা করতে যান। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ পরিবেশটি হয়ে পড়ে শোকাবহ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় হতাশা, দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের উচ্চাশা ও নতুন প্রশাসন আসায় অতিমাত্রায় আবেগে আপ্লুত হয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে শাবি তথা দেশের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাক্যগুলো সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছে।

তবে শাবিপ্রবির সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্যারদের সম্মতি নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে, স্যারদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি ছিল না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা কীভাবে শিক্ষকদের শপথ পড়ায়, এই এখতিয়ার তারা কোথায় পেল সেটা আমরা জানতে চাইব। শিক্ষার্থীদের কাছে যদি শপথ নিতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করবে কীভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। অতীতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কথায় চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও কি একই চিত্র দেখা যাবে?

কোনো ছাত্রসংগঠনের প্রভাবমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে নাকি এবার তাদেরকে আন্দোলনকারী সংগঠনের কথা মেনে চলতে হবে। প্রশাসন যদি নতজানু হয় তাহলে তারা বিশেষ কোনো শিক্ষার্থী গোষ্ঠীর অন্যায়-অপরাধের প্রতিকার করবে কীভাবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কীভাবে?

একদল শিক্ষার্থী এসে শপথবাক্য পাঠ করতে বলল আর অমনি শিক্ষকদ্বয় সেটাকে শিরোধার্যদ করলেন কী করে সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। এ ধরনের আজ্ঞাবাহী শিক্ষক দিয়ে আর যা-ই হোক প্রশাসন চালানো সম্ভব নয়। এই দুই শিক্ষকের উচিত অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা।

আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে ছড়ি ঘোরাতেই চায় তাহলে তাদেরকেই সেখানে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক! তখন অন্তত তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববহির্ভূত আচরণের অভিযোগ উঠবে না।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন দায়িত্বে যোগদান করেন। খবর এটা নয়। খবর হচ্ছে, নবনিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়কে শপথ পড়িয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

শপথ পড়ানোর এই ঘটনায় দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি কোনো শপথ অনুষ্ঠান ছিল না। ঘটনাটি যেভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এমনটি হয়নি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ যোগদান করার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখা করতে যান। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ পরিবেশটি হয়ে পড়ে শোকাবহ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় হতাশা, দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের উচ্চাশা ও নতুন প্রশাসন আসায় অতিমাত্রায় আবেগে আপ্লুত হয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে শাবি তথা দেশের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাক্যগুলো সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছে।

তবে শাবিপ্রবির সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্যারদের সম্মতি নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে, স্যারদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি ছিল না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা কীভাবে শিক্ষকদের শপথ পড়ায়, এই এখতিয়ার তারা কোথায় পেল সেটা আমরা জানতে চাইব। শিক্ষার্থীদের কাছে যদি শপথ নিতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করবে কীভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। অতীতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কথায় চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও কি একই চিত্র দেখা যাবে?

কোনো ছাত্রসংগঠনের প্রভাবমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে নাকি এবার তাদেরকে আন্দোলনকারী সংগঠনের কথা মেনে চলতে হবে। প্রশাসন যদি নতজানু হয় তাহলে তারা বিশেষ কোনো শিক্ষার্থী গোষ্ঠীর অন্যায়-অপরাধের প্রতিকার করবে কীভাবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কীভাবে?

একদল শিক্ষার্থী এসে শপথবাক্য পাঠ করতে বলল আর অমনি শিক্ষকদ্বয় সেটাকে শিরোধার্যদ করলেন কী করে সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। এ ধরনের আজ্ঞাবাহী শিক্ষক দিয়ে আর যা-ই হোক প্রশাসন চালানো সম্ভব নয়। এই দুই শিক্ষকের উচিত অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা।

আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে ছড়ি ঘোরাতেই চায় তাহলে তাদেরকেই সেখানে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক! তখন অন্তত তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববহির্ভূত আচরণের অভিযোগ উঠবে না।

back to top