alt

সম্পাদকীয়

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীবন ও জীবিকার প্রতিটি ক্ষেত্রে নদীর প্রয়োজন রয়েছে। পৃথিবীর আর সব সভ্যতার মতো বাংলাদেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নদ-নদী আমাদের উজাড় করে দিয়েছে। নদ-নদীর প্রতি মানুষেরও দরদ ছিল। কিন্তু এখন সেটা আছে কি নেই, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ রোববার বিশ্ব নদী দিবস পালন করা হয়। গতকাল ছিল বিশ্ব নদী দিবস। এবার দিবসটির বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আন্তঃসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার’।

বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক নদীর উজানে সংশ্লিষ্ট দেশ বাঁধ নির্মাণ করেছে। এর ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে যে কারণে শুকনো মৌসুমে এক ধরনের আবার বর্ষা মৌসুমে আরেক ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নদীর ওপর নিজ অধিকার স্থাপন করতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক তৎপরতার কথা ভাবতে হবে। তবে এর আগে জরুরি নিজ দেশের মানুষের কথা শোনা। আমাদের সব প্রধান নদী যেহেতু আন্তর্জাতিক, তাই অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন।

আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় অববাহিকাভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা অতীতেও বলা হয়েছে। ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর অববাহিকা ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত আলোচনাও করেছে। আমরা মনে করি, নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে সর্বোচ্চ লাভবান হওয়া যায় সেই লক্ষ্যে দেশের নীতিনির্ধারকদের কাজ করতে হবে। পাশাপাশি দেশের নদ-নদী রক্ষায় মনোযোগী হতে হবে।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি তুরাগ নদের দখল নিয়ে উচ্চ আদালতের এক রায়ে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আদালতের ঘোষণায় নদ-নদীগুলোর আইনি অধিকার পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জীবন্ত সত্তাকে যারা হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের নদীগুলো রক্ষায় ১২২ দফা সুপারিশ করেছিল। এগুলোর অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়নি। বিভিন্ন নদী রক্ষায় নদী রক্ষা কমিশনের মাস্টারপ্ল্যান করার কথা বলা হয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে দখল-দূষণে অনেক নদী অস্তিত্ব হারিয়েছে। আরও অনেক নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নদ-নদী রক্ষা করা না গেলে তার কুফল আমাদেরও ভোগ করতে হবে।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীবন ও জীবিকার প্রতিটি ক্ষেত্রে নদীর প্রয়োজন রয়েছে। পৃথিবীর আর সব সভ্যতার মতো বাংলাদেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নদ-নদী আমাদের উজাড় করে দিয়েছে। নদ-নদীর প্রতি মানুষেরও দরদ ছিল। কিন্তু এখন সেটা আছে কি নেই, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ রোববার বিশ্ব নদী দিবস পালন করা হয়। গতকাল ছিল বিশ্ব নদী দিবস। এবার দিবসটির বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আন্তঃসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার’।

বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক নদীর উজানে সংশ্লিষ্ট দেশ বাঁধ নির্মাণ করেছে। এর ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে যে কারণে শুকনো মৌসুমে এক ধরনের আবার বর্ষা মৌসুমে আরেক ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নদীর ওপর নিজ অধিকার স্থাপন করতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক তৎপরতার কথা ভাবতে হবে। তবে এর আগে জরুরি নিজ দেশের মানুষের কথা শোনা। আমাদের সব প্রধান নদী যেহেতু আন্তর্জাতিক, তাই অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন।

আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় অববাহিকাভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা অতীতেও বলা হয়েছে। ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর অববাহিকা ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত আলোচনাও করেছে। আমরা মনে করি, নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে সর্বোচ্চ লাভবান হওয়া যায় সেই লক্ষ্যে দেশের নীতিনির্ধারকদের কাজ করতে হবে। পাশাপাশি দেশের নদ-নদী রক্ষায় মনোযোগী হতে হবে।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি তুরাগ নদের দখল নিয়ে উচ্চ আদালতের এক রায়ে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আদালতের ঘোষণায় নদ-নদীগুলোর আইনি অধিকার পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জীবন্ত সত্তাকে যারা হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের নদীগুলো রক্ষায় ১২২ দফা সুপারিশ করেছিল। এগুলোর অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়নি। বিভিন্ন নদী রক্ষায় নদী রক্ষা কমিশনের মাস্টারপ্ল্যান করার কথা বলা হয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে দখল-দূষণে অনেক নদী অস্তিত্ব হারিয়েছে। আরও অনেক নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নদ-নদী রক্ষা করা না গেলে তার কুফল আমাদেরও ভোগ করতে হবে।

back to top