alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৪৮ জন। চলতি বছর এই রোগে এখন পর্যন্ত কোনো মাসে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু । এ বছর ডেঙ্গুরোগে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ।

ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার দুইশ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ১৩ জন।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে এ বছর কমপক্ষে তিন হাজার ৩৩৯টি শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এসব শিশুর বয়স ছিল শূন্য থেকে দশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু রোগীদের শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা বেশি। ডেঙ্গু হলে শিশুদের একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ লিভার ও কিডনিকেও আক্রান্ত করে, যেটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ কারণে শিশু রোগীদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

ডেঙ্গু একাধিকবার হতে পারে। যাদের আগে ডেঙ্গু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ডেঙ্গুরোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করতে হলে যার যার স্থান থেকে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক পদক্ষেপ নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশা প্রতিরোধের সহজ ও মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে মশারি। নাগরিকরা যদি মশারি ব্যবহারে মনোযোগী হন তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা এর বিস্তৃতির আশঙ্কা কমে। তারা বলছেন, সুস্থ মানুষকে তো বটেই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মশারি ব্যবহার করতে হবে।

এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। এডিসের বংশ বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সারের কৃত্রিম সংকট: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৪৮ জন। চলতি বছর এই রোগে এখন পর্যন্ত কোনো মাসে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু । এ বছর ডেঙ্গুরোগে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ।

ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার দুইশ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ১৩ জন।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে এ বছর কমপক্ষে তিন হাজার ৩৩৯টি শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এসব শিশুর বয়স ছিল শূন্য থেকে দশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু রোগীদের শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা বেশি। ডেঙ্গু হলে শিশুদের একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ লিভার ও কিডনিকেও আক্রান্ত করে, যেটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ কারণে শিশু রোগীদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

ডেঙ্গু একাধিকবার হতে পারে। যাদের আগে ডেঙ্গু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ডেঙ্গুরোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করতে হলে যার যার স্থান থেকে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক পদক্ষেপ নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশা প্রতিরোধের সহজ ও মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে মশারি। নাগরিকরা যদি মশারি ব্যবহারে মনোযোগী হন তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা এর বিস্তৃতির আশঙ্কা কমে। তারা বলছেন, সুস্থ মানুষকে তো বটেই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মশারি ব্যবহার করতে হবে।

এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। এডিসের বংশ বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

back to top