alt

সম্পাদকীয়

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের রামুর ১২টি বৌদ্ধবিহারে হামলা হয় ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তার পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর হামলা হয় উখিয়া ও টেকনাফে। সেই হামলার পর পেরিয়ে গেছে এক যুগ। কিন্তু হামলার ঘটনার বিচার করা যায়নি। হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ মামলার একটিরও বিচার শেষ হয়নি। এসব মামলায় তদন্ত সংস্থা ৯৯৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। তবে বিচারকাজ এগোচ্ছে না সাক্ষীর অভাবে। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না। কারণ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

উত্তম বড়ুয়া নামক এক ব্যক্তির ফেসবুক পেজ থেকে কোরআন অবমাননা করে পোস্ট দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার আগে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তার সন্ধান মেলেনি। তদন্তে জানা যায় যে, পরিকল্পিতভাবে উত্তম বড়ুয়ার পেজে ভুয়া ছবি ট্যাগ করা হয়েছিল।

পার্বত্য এলাকায় হামলার সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়। দেশে সরকার বদলের পর তারা বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সংঘাত-সংঘর্ষ হয়। সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল রাঙামাটিতে। সে সময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের ঘরবাড়ি ও প্রার্থনালয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এক যুগ আগে কক্সবাজারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে দেড় ডজন। এসব মামলায় নয় শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, হামলার সঙ্গে জড়িত এমন অনেককেই আসামি করা হয়নি। হামলায় জড়িত অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা না হলেও নিরপরাধ অনেককে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার গোড়াতেই যদি এমন গলদ থাকে তাহলে এর পরিণতি কী হতে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচারের পথে যেসব বাধা আছে তা দূর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

উত্তম বড়ুয়াকে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা জানা দরকার। আগের সরকারের বিরুদ্ধে গুমের অনেক অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার গুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। উত্তম বড়ুয়াকে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে সেই রহস্য উদ্ঘাটনে এই সরকার সচেষ্ট হবে সেটা আমরা আশা করব।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের রামুর ১২টি বৌদ্ধবিহারে হামলা হয় ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তার পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর হামলা হয় উখিয়া ও টেকনাফে। সেই হামলার পর পেরিয়ে গেছে এক যুগ। কিন্তু হামলার ঘটনার বিচার করা যায়নি। হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ মামলার একটিরও বিচার শেষ হয়নি। এসব মামলায় তদন্ত সংস্থা ৯৯৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। তবে বিচারকাজ এগোচ্ছে না সাক্ষীর অভাবে। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না। কারণ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

উত্তম বড়ুয়া নামক এক ব্যক্তির ফেসবুক পেজ থেকে কোরআন অবমাননা করে পোস্ট দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার আগে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তার সন্ধান মেলেনি। তদন্তে জানা যায় যে, পরিকল্পিতভাবে উত্তম বড়ুয়ার পেজে ভুয়া ছবি ট্যাগ করা হয়েছিল।

পার্বত্য এলাকায় হামলার সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়। দেশে সরকার বদলের পর তারা বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সংঘাত-সংঘর্ষ হয়। সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল রাঙামাটিতে। সে সময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের ঘরবাড়ি ও প্রার্থনালয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এক যুগ আগে কক্সবাজারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে দেড় ডজন। এসব মামলায় নয় শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, হামলার সঙ্গে জড়িত এমন অনেককেই আসামি করা হয়নি। হামলায় জড়িত অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা না হলেও নিরপরাধ অনেককে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার গোড়াতেই যদি এমন গলদ থাকে তাহলে এর পরিণতি কী হতে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচারের পথে যেসব বাধা আছে তা দূর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

উত্তম বড়ুয়াকে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা জানা দরকার। আগের সরকারের বিরুদ্ধে গুমের অনেক অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার গুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। উত্তম বড়ুয়াকে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে সেই রহস্য উদ্ঘাটনে এই সরকার সচেষ্ট হবে সেটা আমরা আশা করব।

back to top