দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু দেড় মাস পরও সেখানকার অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি নামেনি। এসব এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
কুমিল্লায় অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি সরছে না। এ কারণে সেসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। সেখানকার অনেক সড়ক এখন পানির নিচে ডুবে আছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বন্যার পানি নামেনি লক্ষ্মীপুরের অনেক স্থানেও। জেলাটির কোনো কোনে এলাকায় এখনো হাঁটুপানি রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকর বাড়িঘরে পানি রয়েছে। জলাবদ্ধতা এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যার পানি না নামার বড় একটি কারণ হচ্ছে খাল-বিল দখল ও ভরাট হওয়া। দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক খাল-বিল। একসময় প্রবাহিত খাল মানুষ নানাভাবে দখল করেছে। সেখানে গড়ে তুলেছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হয়েছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খাল-জলাশয় ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। সারাদেশ যেন এখন নদী-খাল-জলাশয় বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।
খাল দখল-ভরাট-সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা সংযোগ রয়েছে। এর পেছনে দায় রয়েছে মানুষেরই। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে প্রকৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশকে এভাবে ধ্বংস করার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সবাইকে। তাছাড়া খাল-বিলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ ঠিকমতো করে না বলে প্রায়ই অভিযোগ মেলে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, কর্তৃপক্ষ যদি সজাগ না হয়Ñ তাহলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব খাল-বিলের একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এবারের বন্যায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে খাল-বিলকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। খাল-বিলের প্রয়োজনকে ভুললে চলবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার খালবিলে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু দেড় মাস পরও সেখানকার অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি নামেনি। এসব এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
কুমিল্লায় অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি সরছে না। এ কারণে সেসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। সেখানকার অনেক সড়ক এখন পানির নিচে ডুবে আছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বন্যার পানি নামেনি লক্ষ্মীপুরের অনেক স্থানেও। জেলাটির কোনো কোনে এলাকায় এখনো হাঁটুপানি রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকর বাড়িঘরে পানি রয়েছে। জলাবদ্ধতা এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যার পানি না নামার বড় একটি কারণ হচ্ছে খাল-বিল দখল ও ভরাট হওয়া। দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক খাল-বিল। একসময় প্রবাহিত খাল মানুষ নানাভাবে দখল করেছে। সেখানে গড়ে তুলেছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হয়েছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খাল-জলাশয় ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। সারাদেশ যেন এখন নদী-খাল-জলাশয় বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।
খাল দখল-ভরাট-সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা সংযোগ রয়েছে। এর পেছনে দায় রয়েছে মানুষেরই। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে প্রকৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশকে এভাবে ধ্বংস করার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সবাইকে। তাছাড়া খাল-বিলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ ঠিকমতো করে না বলে প্রায়ই অভিযোগ মেলে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, কর্তৃপক্ষ যদি সজাগ না হয়Ñ তাহলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব খাল-বিলের একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এবারের বন্যায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে খাল-বিলকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। খাল-বিলের প্রয়োজনকে ভুললে চলবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার খালবিলে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।