alt

opinion » editorial

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু দেড় মাস পরও সেখানকার অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি নামেনি। এসব এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

কুমিল্লায় অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি সরছে না। এ কারণে সেসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। সেখানকার অনেক সড়ক এখন পানির নিচে ডুবে আছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

বন্যার পানি নামেনি লক্ষ্মীপুরের অনেক স্থানেও। জেলাটির কোনো কোনে এলাকায় এখনো হাঁটুপানি রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকর বাড়িঘরে পানি রয়েছে। জলাবদ্ধতা এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।

বন্যার পানি না নামার বড় একটি কারণ হচ্ছে খাল-বিল দখল ও ভরাট হওয়া। দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক খাল-বিল। একসময় প্রবাহিত খাল মানুষ নানাভাবে দখল করেছে। সেখানে গড়ে তুলেছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হয়েছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খাল-জলাশয় ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। সারাদেশ যেন এখন নদী-খাল-জলাশয় বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।

খাল দখল-ভরাট-সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা সংযোগ রয়েছে। এর পেছনে দায় রয়েছে মানুষেরই। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে প্রকৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশকে এভাবে ধ্বংস করার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সবাইকে। তাছাড়া খাল-বিলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ ঠিকমতো করে না বলে প্রায়ই অভিযোগ মেলে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, কর্তৃপক্ষ যদি সজাগ না হয়Ñ তাহলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব খাল-বিলের একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এবারের বন্যায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে খাল-বিলকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। খাল-বিলের প্রয়োজনকে ভুললে চলবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার খালবিলে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু দেড় মাস পরও সেখানকার অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি নামেনি। এসব এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

কুমিল্লায় অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি সরছে না। এ কারণে সেসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। সেখানকার অনেক সড়ক এখন পানির নিচে ডুবে আছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

বন্যার পানি নামেনি লক্ষ্মীপুরের অনেক স্থানেও। জেলাটির কোনো কোনে এলাকায় এখনো হাঁটুপানি রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকর বাড়িঘরে পানি রয়েছে। জলাবদ্ধতা এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।

বন্যার পানি না নামার বড় একটি কারণ হচ্ছে খাল-বিল দখল ও ভরাট হওয়া। দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক খাল-বিল। একসময় প্রবাহিত খাল মানুষ নানাভাবে দখল করেছে। সেখানে গড়ে তুলেছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হয়েছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খাল-জলাশয় ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। সারাদেশ যেন এখন নদী-খাল-জলাশয় বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।

খাল দখল-ভরাট-সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা সংযোগ রয়েছে। এর পেছনে দায় রয়েছে মানুষেরই। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে প্রকৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশকে এভাবে ধ্বংস করার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সবাইকে। তাছাড়া খাল-বিলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ ঠিকমতো করে না বলে প্রায়ই অভিযোগ মেলে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, কর্তৃপক্ষ যদি সজাগ না হয়Ñ তাহলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব খাল-বিলের একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এবারের বন্যায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে খাল-বিলকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। খাল-বিলের প্রয়োজনকে ভুললে চলবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার খালবিলে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top