alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

: মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের সংকট বেড়েই চলেছে। এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল, পাশাপাশি গাজাতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এসব ঘটনাপ্রবাহ মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান অভিযোগ করে বলেছে, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানকেও টেনে এনে মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করতে চায় ইসরায়েল।

বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আক্রমণ অব্যাহত রাখবে; সেখানে তাদের বিরোধী শক্তিগুলোও চুপ করে থাকবে না। কাজেই এই অঞ্চলে সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত-সংঘর্ষে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। পরিবার-পরিজন ও ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেককে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। ইসরায়েলের বিমান হামলার পর দক্ষিণ লেবাননের অসংখ্য পরিবারকে বৈরুতের সড়কে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের দিতে হচ্ছে চরম মূল্য। যুদ্ধের জের মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে কত দূর পর্যন্ত বইতে হবে সেটা কেউ জানে না।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লেবাননে যুদ্ধবিরতি চেয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, এর আগে লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইসরায়েল।

আমরা বলতে চাই, শান্তিকামী কোনো মানুষ যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ কেবল মধ্যপ্রাচ্য বা একটি অঞ্চলের মানুষকেই বিপর্যস্ত করছে না, বিশ্ব মানবতাকেই বিপর্যস্ত করছে, বিশ্বশান্তিকে করছে বিঘিœত। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতমুখর পরিস্থিতি নিরসনে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে, বিশ্বনেতাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজতে হবে।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের সংকট বেড়েই চলেছে। এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল, পাশাপাশি গাজাতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এসব ঘটনাপ্রবাহ মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান অভিযোগ করে বলেছে, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানকেও টেনে এনে মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করতে চায় ইসরায়েল।

বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আক্রমণ অব্যাহত রাখবে; সেখানে তাদের বিরোধী শক্তিগুলোও চুপ করে থাকবে না। কাজেই এই অঞ্চলে সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত-সংঘর্ষে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। পরিবার-পরিজন ও ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেককে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। ইসরায়েলের বিমান হামলার পর দক্ষিণ লেবাননের অসংখ্য পরিবারকে বৈরুতের সড়কে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের দিতে হচ্ছে চরম মূল্য। যুদ্ধের জের মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে কত দূর পর্যন্ত বইতে হবে সেটা কেউ জানে না।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লেবাননে যুদ্ধবিরতি চেয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, এর আগে লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইসরায়েল।

আমরা বলতে চাই, শান্তিকামী কোনো মানুষ যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ কেবল মধ্যপ্রাচ্য বা একটি অঞ্চলের মানুষকেই বিপর্যস্ত করছে না, বিশ্ব মানবতাকেই বিপর্যস্ত করছে, বিশ্বশান্তিকে করছে বিঘিœত। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতমুখর পরিস্থিতি নিরসনে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে, বিশ্বনেতাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজতে হবে।

back to top