alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

: বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকগুলো সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গঠিত কমিটি দুটি বৈঠক করেছিল বলে জানা যায়। কমিটি গঠনের পর দুই সপ্তাহ না পেরোতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আদেশে তা বাতিল করা হয়।

সমন্বয় কমিটি কেন বাতিল করা হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা জানি, ধর্মভিত্তিক কয়েকটি সংগঠনের নেতা উক্ত কমিটির দুজন সদস্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা কমিটি পুনর্গঠনের দাবি তুলেছিলেন। তারা সমন্বয় কমিটি থেকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’দের বাদ দিয়ে ‘আলেম-ওলামাদের’ অন্তর্ভুক্তির দাবি করেন।

অভিযোগ উঠেছে, ধর্মভিত্তিক কিছু দল ও গোষ্ঠীর চাপে অন্তর্বর্তী সরকার সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে। ধর্মভিত্তিক দল বা গোষ্ঠীর চাপে সরকারের পিছু হটা ঠিক হয়েছে কিনা, ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

তবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলছেন, ‘পুরোনো শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে ভাষাগত ও সংবেদনশীল বিষয় থাকলে তা দ্রুত সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরা কাজ করেছেন। এই কাজের সমন্বয়ের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছিল। সেটাই ভুলবশত প্রজ্ঞাপন আকারে চলে যায়। বাস্তবে এ ধরনের কমিটির কার্যকারিতা নেই।’

শিক্ষা উপদেষ্টার এই বক্তব্য অনেকেই মানতে পারছেন না। সরকার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়া বা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারেÑএমনটা মানার কারণও আমরা দেখি না। আবার যদি কোনো প্রজ্ঞাপন ভুল করে জারি হয়ও সেটা নজরে আসতে দুই সপ্তাহ কেন লাগল?

গত শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যে আদেশে সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয় সেখানে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয় করতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হলো।’

এই আদেশের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যের কোনো সামঞ্জস্য আমরা খুঁজে পাই না। শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য আমাদের বিস্মিতই করেছে।

আমরা বলতে চাই, ধর্মভিত্তিক সংগঠনের চাপের মুখে সমন্বয় কমিটি বাতিল করা দেশে একটি মন্দ নজির স্থাপন করেছে। এর মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠীর কাছে এই বার্তাই দেয়া হলো যে, হুমকি-ধমকি দিয়ে সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায় বা কোনো গোষ্ঠীর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করা যায়। কোনো গোষ্ঠী বিশেষের কাছে নতজানু হওয়ার নীতি শেষ পর্যন্ত শুভ ফল বয়ে আনবে না।

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকগুলো সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গঠিত কমিটি দুটি বৈঠক করেছিল বলে জানা যায়। কমিটি গঠনের পর দুই সপ্তাহ না পেরোতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আদেশে তা বাতিল করা হয়।

সমন্বয় কমিটি কেন বাতিল করা হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা জানি, ধর্মভিত্তিক কয়েকটি সংগঠনের নেতা উক্ত কমিটির দুজন সদস্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা কমিটি পুনর্গঠনের দাবি তুলেছিলেন। তারা সমন্বয় কমিটি থেকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’দের বাদ দিয়ে ‘আলেম-ওলামাদের’ অন্তর্ভুক্তির দাবি করেন।

অভিযোগ উঠেছে, ধর্মভিত্তিক কিছু দল ও গোষ্ঠীর চাপে অন্তর্বর্তী সরকার সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে। ধর্মভিত্তিক দল বা গোষ্ঠীর চাপে সরকারের পিছু হটা ঠিক হয়েছে কিনা, ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

তবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলছেন, ‘পুরোনো শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে ভাষাগত ও সংবেদনশীল বিষয় থাকলে তা দ্রুত সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরা কাজ করেছেন। এই কাজের সমন্বয়ের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছিল। সেটাই ভুলবশত প্রজ্ঞাপন আকারে চলে যায়। বাস্তবে এ ধরনের কমিটির কার্যকারিতা নেই।’

শিক্ষা উপদেষ্টার এই বক্তব্য অনেকেই মানতে পারছেন না। সরকার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়া বা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারেÑএমনটা মানার কারণও আমরা দেখি না। আবার যদি কোনো প্রজ্ঞাপন ভুল করে জারি হয়ও সেটা নজরে আসতে দুই সপ্তাহ কেন লাগল?

গত শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যে আদেশে সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয় সেখানে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয় করতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হলো।’

এই আদেশের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যের কোনো সামঞ্জস্য আমরা খুঁজে পাই না। শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য আমাদের বিস্মিতই করেছে।

আমরা বলতে চাই, ধর্মভিত্তিক সংগঠনের চাপের মুখে সমন্বয় কমিটি বাতিল করা দেশে একটি মন্দ নজির স্থাপন করেছে। এর মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠীর কাছে এই বার্তাই দেয়া হলো যে, হুমকি-ধমকি দিয়ে সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায় বা কোনো গোষ্ঠীর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করা যায়। কোনো গোষ্ঠী বিশেষের কাছে নতজানু হওয়ার নীতি শেষ পর্যন্ত শুভ ফল বয়ে আনবে না।

back to top