alt

সম্পাদকীয়

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

: বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

গণপিটুনিতে হত্যা দেশে এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটা শুধু আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করছে না, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলাও বিনষ্ট করছে। বিশেষ করে পাহাড়ে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা বড় আকারের সংঘাত-সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে। এর ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে দেখা গেছে।

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড়ি ও বাঙালিরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। একটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকা ও খাগাছড়ি সদর উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

কিছুদিন আগে খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর সেখানে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘাত-সংঘর্ষ পরে রাঙামাটিতেও বিস্তৃত হয়েছে। সে সময়ও পাহাড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণপিটুনি একটি বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গনপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর লাগাম কেন টানা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রভাব হয়তো পাহাড়েও পড়েছে।

তবে পাহাড়ে পার্বত্যাঞ্চলে সম্প্রতি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনাকে শুধু ‘মব জাস্টিস’ বলা চলে না। সেখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে গণপিটুনিতে হত্যার অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যা। পাহাড়ে জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষের টেকসই সমাধান করতে হলে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আস্থায় আনতে হবে।

খাগড়াছড়িতে আবার যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা কাম্য ছিল না। সেখানকার পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয় সেজন সতর্ক থাকতে হবে। ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

ঈদে মিলাদুন্নবী

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

গণপিটুনিতে হত্যা দেশে এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটা শুধু আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করছে না, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলাও বিনষ্ট করছে। বিশেষ করে পাহাড়ে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা বড় আকারের সংঘাত-সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে। এর ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে দেখা গেছে।

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড়ি ও বাঙালিরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। একটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকা ও খাগাছড়ি সদর উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

কিছুদিন আগে খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর সেখানে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘাত-সংঘর্ষ পরে রাঙামাটিতেও বিস্তৃত হয়েছে। সে সময়ও পাহাড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণপিটুনি একটি বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গনপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর লাগাম কেন টানা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রভাব হয়তো পাহাড়েও পড়েছে।

তবে পাহাড়ে পার্বত্যাঞ্চলে সম্প্রতি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনাকে শুধু ‘মব জাস্টিস’ বলা চলে না। সেখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে গণপিটুনিতে হত্যার অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যা। পাহাড়ে জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষের টেকসই সমাধান করতে হলে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আস্থায় আনতে হবে।

খাগড়াছড়িতে আবার যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা কাম্য ছিল না। সেখানকার পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয় সেজন সতর্ক থাকতে হবে। ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

back to top