গণপিটুনিতে হত্যা দেশে এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটা শুধু আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করছে না, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলাও বিনষ্ট করছে। বিশেষ করে পাহাড়ে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা বড় আকারের সংঘাত-সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে। এর ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে দেখা গেছে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড়ি ও বাঙালিরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। একটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকা ও খাগাছড়ি সদর উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর সেখানে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘাত-সংঘর্ষ পরে রাঙামাটিতেও বিস্তৃত হয়েছে। সে সময়ও পাহাড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণপিটুনি একটি বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গনপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর লাগাম কেন টানা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রভাব হয়তো পাহাড়েও পড়েছে।
তবে পাহাড়ে পার্বত্যাঞ্চলে সম্প্রতি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনাকে শুধু ‘মব জাস্টিস’ বলা চলে না। সেখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে গণপিটুনিতে হত্যার অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যা। পাহাড়ে জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষের টেকসই সমাধান করতে হলে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আস্থায় আনতে হবে।
খাগড়াছড়িতে আবার যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা কাম্য ছিল না। সেখানকার পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয় সেজন সতর্ক থাকতে হবে। ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪
গণপিটুনিতে হত্যা দেশে এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটা শুধু আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করছে না, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলাও বিনষ্ট করছে। বিশেষ করে পাহাড়ে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা বড় আকারের সংঘাত-সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে। এর ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে দেখা গেছে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড়ি ও বাঙালিরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। একটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকা ও খাগাছড়ি সদর উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে খাগড়াছড়িতে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর সেখানে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘাত-সংঘর্ষ পরে রাঙামাটিতেও বিস্তৃত হয়েছে। সে সময়ও পাহাড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণপিটুনি একটি বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গনপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর লাগাম কেন টানা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রভাব হয়তো পাহাড়েও পড়েছে।
তবে পাহাড়ে পার্বত্যাঞ্চলে সম্প্রতি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনাকে শুধু ‘মব জাস্টিস’ বলা চলে না। সেখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে গণপিটুনিতে হত্যার অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যা। পাহাড়ে জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষের টেকসই সমাধান করতে হলে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আস্থায় আনতে হবে।
খাগড়াছড়িতে আবার যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা কাম্য ছিল না। সেখানকার পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয় সেজন সতর্ক থাকতে হবে। ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।