alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত খোলা বাজারে বিক্রি কর্মসূচি বা ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) মাধ্যমে জনপ্রতি পাঁচ কেজি আটা ও পাঁচ কেজি চাল বিক্রি করে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে খাদ্যবান্ধব এই কর্মসূচির বিক্রয়ে অনিয়ম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চাটখিলে।

কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী জন প্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা পাওয়ার কথা থাকলেও চাটখিলে সকালে চাল অথবা আটার একটি বিতরন করে বিকেলে অন্যটি বিতরন করা হবে বলে নিয়ম চালু করে। এতে অনেক ক্রেতা চলে যায়। এর ফলে প্রতিদিন খাদ্য দ্রব্য মজুদ থেকে যায়। এই মজুদকৃত খাদ্য কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার রাতের আধারে মাথাপিছু অতিরিক্ত মূল্যে চাল ও আটার বস্তা বিক্রি করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়। ডিও খাদ্য অফিস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রতি ইউনিয়ন ডিলারদের থেকে মাস্টাররোল বাবদ ৩০০ টাকা আর অফিস খরচ বাবদ ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। আবার ওএমএস ডিলারদের থেকে টনপ্রতি ১৫০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

অবশ্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তার অফিস টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন আর বিক্রয় কার্যক্রম তদারকির দয়িত্ব তার নয় বলে জানান। উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক জানান, প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন তদারকি অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ এই একটিই নয়। দেশে এরকম অভিযোগ আরও পাওয়া যায়। সীমিত আয়ের মানুষ জাতে ন্যায্যামূল্যে সরবরাহকৃত খাদ্য দ্রব্যটি পায় সেজন্য এই খাদ্য কর্মসূচি। যদি কোনো কারণে এটি ব্যাহত হয় তাহলে উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সরকার নিশ্চয় এই খাদ্য দ্রব্য কালোবাজারি করার জন্য বরাদ্দ দেয়নি। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য কালোবাজারি করছে। এর একটা বিহিত করতে হবে। কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত কারা তা তদন্ত করে বের করতে হবে। কালোবাজরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এই রূপ কোন কর্মকা- না হয় সে দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যাদের খাদ্য পাওয়ার কথা তারা তা যথাযথভাবে পেল কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত খোলা বাজারে বিক্রি কর্মসূচি বা ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) মাধ্যমে জনপ্রতি পাঁচ কেজি আটা ও পাঁচ কেজি চাল বিক্রি করে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে খাদ্যবান্ধব এই কর্মসূচির বিক্রয়ে অনিয়ম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চাটখিলে।

কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী জন প্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা পাওয়ার কথা থাকলেও চাটখিলে সকালে চাল অথবা আটার একটি বিতরন করে বিকেলে অন্যটি বিতরন করা হবে বলে নিয়ম চালু করে। এতে অনেক ক্রেতা চলে যায়। এর ফলে প্রতিদিন খাদ্য দ্রব্য মজুদ থেকে যায়। এই মজুদকৃত খাদ্য কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার রাতের আধারে মাথাপিছু অতিরিক্ত মূল্যে চাল ও আটার বস্তা বিক্রি করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়। ডিও খাদ্য অফিস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রতি ইউনিয়ন ডিলারদের থেকে মাস্টাররোল বাবদ ৩০০ টাকা আর অফিস খরচ বাবদ ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। আবার ওএমএস ডিলারদের থেকে টনপ্রতি ১৫০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

অবশ্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তার অফিস টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন আর বিক্রয় কার্যক্রম তদারকির দয়িত্ব তার নয় বলে জানান। উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক জানান, প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন তদারকি অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ এই একটিই নয়। দেশে এরকম অভিযোগ আরও পাওয়া যায়। সীমিত আয়ের মানুষ জাতে ন্যায্যামূল্যে সরবরাহকৃত খাদ্য দ্রব্যটি পায় সেজন্য এই খাদ্য কর্মসূচি। যদি কোনো কারণে এটি ব্যাহত হয় তাহলে উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সরকার নিশ্চয় এই খাদ্য দ্রব্য কালোবাজারি করার জন্য বরাদ্দ দেয়নি। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য কালোবাজারি করছে। এর একটা বিহিত করতে হবে। কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত কারা তা তদন্ত করে বের করতে হবে। কালোবাজরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এই রূপ কোন কর্মকা- না হয় সে দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যাদের খাদ্য পাওয়ার কথা তারা তা যথাযথভাবে পেল কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top