alt

সম্পাদকীয়

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বেকারত্ব দেশের বড় একটি সমস্যা। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে চাকরি খুঁজছেন। কিন্তু চাকরি মিলছে না। চাকরি না পাওয়া এসব মানুষ জীবনের হিসাব মেলাতে পারছেন না। তাদের মনে জন্ম নিচ্ছে অনেক প্রশ্ন, দেখা দিচ্ছে হতাশা, যা ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। অনেকে মনে করেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেপথ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিল বেকার জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও চাকরিপ্রত্যাশীদের নানা আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সার্টিফিকেটধারী মোট বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মহীনদের সংখ্যা প্রায় আট লাখ। অথচ ২০১৭ সালে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ছিল চার লাখের কিছু বেশি।

দেশের বেকারত্ব সমস্যা কেন মিটছে না, এতসংখ্যক শিক্ষিত বেকার কেন তৈরি হচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, ‘দেশের বেকারত্বের হার দেখে বোঝা যায় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে যেমন মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে পেটেন্ট বা কপিরাইট তৈরির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারছে না, আবার বিদ্যমান বা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে যুগের প্রয়োজনে যে ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতার চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তা বর্তমানে চালু গতানুগতিক বিষয় ও কোর্সগুলো ঠিকমতো পূরণ করতে পারছে না।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্জিত শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ দেশে সৃষ্টি হচ্ছে না। আবার এর বিপরীতটাও সত্য। পরিবর্তিত বিশ্বে যে ধরনের কাজ সৃষ্টি হচ্ছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না অনেকেই। শিক্ষিত তরুণরা যেমন পছন্দমতো চাকরি পাচ্ছেন না, তেমন অনেক নিয়োগকর্তা যোগ্য লোক পাচ্ছেন না।

কেবল সরকারি চাকরি দিয়ে বেকারত্বের সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। সরকারি এক হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে গড়ে ৭১ হাজারের বেশি সরকারি চাকরি হয়েছে। অথচ প্রতি বছর শ্রমবাজারে ২০-২২ লাখ তরুণ গোষ্ঠী নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। এসব তরুণের কর্মসংস্থানের বড় ভরসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কোভিডের পর থেকে প্রত্যাশামতো বিনিয়োগ না হওয়ায় সেখানেও কর্মসংস্থান বাড়ছে না। বিদেশে যারা কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বেকারত্ব পুরোপুরি নিরসন করা হয়তো সম্ভব হবে না। অনেক উন্নত দেশেও বেকার জনগোষ্ঠী রয়েছে। তবে বেকারত্বের হার যৌক্তিক সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা থাকা দরকার। এজন্য কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিনিয়োগ বাড়ানোর পথ খুঁজতে হবে। পাশাপাশি যুযোগপোযোগী শিক্ষার ব্যবস্থাও থাকা জরুরি। কর্মক্ষেত্র তৈরি করা হলো কিন্তু যোগ্য লোক তৈরি হলো না বা শিক্ষিত মানুষ গড়ে তোলা হলো কিন্তু কাজের সুযোগ সৃষ্টি হলো নাÑ এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা চাই।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বেকারত্ব দেশের বড় একটি সমস্যা। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে চাকরি খুঁজছেন। কিন্তু চাকরি মিলছে না। চাকরি না পাওয়া এসব মানুষ জীবনের হিসাব মেলাতে পারছেন না। তাদের মনে জন্ম নিচ্ছে অনেক প্রশ্ন, দেখা দিচ্ছে হতাশা, যা ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। অনেকে মনে করেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেপথ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিল বেকার জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও চাকরিপ্রত্যাশীদের নানা আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সার্টিফিকেটধারী মোট বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মহীনদের সংখ্যা প্রায় আট লাখ। অথচ ২০১৭ সালে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ছিল চার লাখের কিছু বেশি।

দেশের বেকারত্ব সমস্যা কেন মিটছে না, এতসংখ্যক শিক্ষিত বেকার কেন তৈরি হচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, ‘দেশের বেকারত্বের হার দেখে বোঝা যায় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে যেমন মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে পেটেন্ট বা কপিরাইট তৈরির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারছে না, আবার বিদ্যমান বা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে যুগের প্রয়োজনে যে ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতার চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তা বর্তমানে চালু গতানুগতিক বিষয় ও কোর্সগুলো ঠিকমতো পূরণ করতে পারছে না।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্জিত শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ দেশে সৃষ্টি হচ্ছে না। আবার এর বিপরীতটাও সত্য। পরিবর্তিত বিশ্বে যে ধরনের কাজ সৃষ্টি হচ্ছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না অনেকেই। শিক্ষিত তরুণরা যেমন পছন্দমতো চাকরি পাচ্ছেন না, তেমন অনেক নিয়োগকর্তা যোগ্য লোক পাচ্ছেন না।

কেবল সরকারি চাকরি দিয়ে বেকারত্বের সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। সরকারি এক হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে গড়ে ৭১ হাজারের বেশি সরকারি চাকরি হয়েছে। অথচ প্রতি বছর শ্রমবাজারে ২০-২২ লাখ তরুণ গোষ্ঠী নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। এসব তরুণের কর্মসংস্থানের বড় ভরসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কোভিডের পর থেকে প্রত্যাশামতো বিনিয়োগ না হওয়ায় সেখানেও কর্মসংস্থান বাড়ছে না। বিদেশে যারা কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বেকারত্ব পুরোপুরি নিরসন করা হয়তো সম্ভব হবে না। অনেক উন্নত দেশেও বেকার জনগোষ্ঠী রয়েছে। তবে বেকারত্বের হার যৌক্তিক সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা থাকা দরকার। এজন্য কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিনিয়োগ বাড়ানোর পথ খুঁজতে হবে। পাশাপাশি যুযোগপোযোগী শিক্ষার ব্যবস্থাও থাকা জরুরি। কর্মক্ষেত্র তৈরি করা হলো কিন্তু যোগ্য লোক তৈরি হলো না বা শিক্ষিত মানুষ গড়ে তোলা হলো কিন্তু কাজের সুযোগ সৃষ্টি হলো নাÑ এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা চাই।

back to top