alt

সম্পাদকীয়

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

দেশের খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদকে ধারণ করে আছে। এসব জলাশয় প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে সক্ষম। এই মিঠা পানির মৎস সম্পদ ও জলজ উদ্ভিদ নানা কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউরার সাদিপুর, জুড়ী অংশের শাহপুর এবং বেলাগাঁও গ্রামে বসবাসকারী তিন হাজার মৎসজীবী মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। সমস্যা হচ্ছে অনেক জেলে নিষিদ্ধ বেড়জাল ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বা নেট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে। দলবদ্ধভাবে জেলেরা বড় নৌকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিলে মাছ শিকার করে থাকেন। বেড়জালের দৈর্ঘ্য ১ থেকে দেরহাজার ফুট ছিল আর ব্যাস বড় ছিল। এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যে আর ব্যাস ছোট। যার ফলে বড় মাছের সঙ্গে মা মাছ ও পোনা মাছও ধরা পড়ে এই সব নিষিদ্ধ জালে। এই জালগুলো মাছের প্রজনন ও স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে আর সব মিলিয়ে জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হচ্ছে, কারণ বর্ষা মৌসুমে মাছের প্রজননকালে মাছ শিকার হয়।

হাকালুকি হাওরে দুই যুগ আগেও ১১০ প্রজাতির মাছ ছিল, এখন এর সংখ্যা ৫০ এর নিচে নেমে গেছে। ১৫ বছর আগেও হাওরের অভয়াআশ্রম ছিল ২৫টিরও বেশি। বর্তমানে অভয়াশ্রমের সংখ্যা মাত্র ১১টি। এর মধ্যে মাত্র তিনটিতে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। হাওর থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে মাগুর, রিঠা, বাঘাইড়, চিতল, রানী মাছ এবং এলংসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। এছাড়া বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ যেমনÑ মাখনা, পদ্ম, সিঙরা, শাপলা, বনতুলসী, নলখাগড়া, হেলেঞ্চা, বন্ধুয়া এবং উদ্ভিদও হারিয়ে যেতে বসেছে অবাধে বেড়জাল ব্যাবহারে হাওরের জলজ উদ্ভিদও নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, মাছ শিকার চলতে থাকলে অবশিষ্ট প্রজাতি রক্ষা করা কঠিন হবে।

আমরা বলতে চাই, হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে। সেখানে অভয়ারণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেলেদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হবে, তাদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এরপরও কেউ আইন না মানেল তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

ঈদে মিলাদুন্নবী

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

tab

সম্পাদকীয়

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

দেশের খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদকে ধারণ করে আছে। এসব জলাশয় প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে সক্ষম। এই মিঠা পানির মৎস সম্পদ ও জলজ উদ্ভিদ নানা কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউরার সাদিপুর, জুড়ী অংশের শাহপুর এবং বেলাগাঁও গ্রামে বসবাসকারী তিন হাজার মৎসজীবী মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। সমস্যা হচ্ছে অনেক জেলে নিষিদ্ধ বেড়জাল ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বা নেট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে। দলবদ্ধভাবে জেলেরা বড় নৌকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিলে মাছ শিকার করে থাকেন। বেড়জালের দৈর্ঘ্য ১ থেকে দেরহাজার ফুট ছিল আর ব্যাস বড় ছিল। এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যে আর ব্যাস ছোট। যার ফলে বড় মাছের সঙ্গে মা মাছ ও পোনা মাছও ধরা পড়ে এই সব নিষিদ্ধ জালে। এই জালগুলো মাছের প্রজনন ও স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে আর সব মিলিয়ে জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হচ্ছে, কারণ বর্ষা মৌসুমে মাছের প্রজননকালে মাছ শিকার হয়।

হাকালুকি হাওরে দুই যুগ আগেও ১১০ প্রজাতির মাছ ছিল, এখন এর সংখ্যা ৫০ এর নিচে নেমে গেছে। ১৫ বছর আগেও হাওরের অভয়াআশ্রম ছিল ২৫টিরও বেশি। বর্তমানে অভয়াশ্রমের সংখ্যা মাত্র ১১টি। এর মধ্যে মাত্র তিনটিতে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। হাওর থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে মাগুর, রিঠা, বাঘাইড়, চিতল, রানী মাছ এবং এলংসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। এছাড়া বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ যেমনÑ মাখনা, পদ্ম, সিঙরা, শাপলা, বনতুলসী, নলখাগড়া, হেলেঞ্চা, বন্ধুয়া এবং উদ্ভিদও হারিয়ে যেতে বসেছে অবাধে বেড়জাল ব্যাবহারে হাওরের জলজ উদ্ভিদও নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, মাছ শিকার চলতে থাকলে অবশিষ্ট প্রজাতি রক্ষা করা কঠিন হবে।

আমরা বলতে চাই, হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে। সেখানে অভয়ারণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেলেদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হবে, তাদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এরপরও কেউ আইন না মানেল তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top