alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

হাতির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর দেয়াং পাহাড়-সংলগ্ন কোরিয়ান এক্সেপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) কর্তৃপক্ষ। তারা জেলা প্রশাসনকে বলছে, হাতি দেয়াং পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয়া হোক। স্থানীয় বাসিন্দারাও চান, হাতি সরিয়ে নেয়া হোক। তারা দেয়াং পাহাড়ের হাতি সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন, বিক্ষোভ করেছেন।

হাতি কেন সরিয়ে দিতে হবে? খাবারের খোঁজে মাঝে মাঝেই লোকালয়ে চলে আসে হাতির দল। দিনকয়েক আগে আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নে বন্যহাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সেদিন বাড়ির সামনে হাতি দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক নারী।

বাঁশি বাজিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে বা মশাল জ্বালিয়েও হাতির দলকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গত একযুগে কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় হাতির আক্রমণে ১৫ জন মারা গেছেন। অনেকে হয়েছেন আহত। হাতির কারণে খেতের ফসল ও মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যে কারণে সেখানকার বাসিন্দারা হাতি সরিয়ে নেয়ার কথা বলছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় থেকে হাতি সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তাদের মতে পাহাড় আসলে হাতিদের আবাসস্থল। হাতির আবাসস্থল আর চলাচলের জায়গা ধ্বংস করে মানুষ গড়ে তুলেছে নানা স্থাপনা। মানুষই মূলত হাতির ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নানা কারণেই হয়তো মানুষকে তার বসতির বিস্তৃতি ঘটাতে হয়েছে। তবে সেটা পরিকল্পিতভাবে করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইচ্ছেমতো পাহাড় দখল করে বা বন কেটে ঘরবাড়ি বানানো বা শিল্প কলকারাখানা গড়ে তোলার খেসারত দিচ্ছে বন্যপ্রাণী। মানুষও নানাভাবে এর কুফল ভোগ করছে। তারপরও তাদের সম্বিৎ ফিরছে না।

পাহাড় ও বন যদি রক্ষা পেত, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার মিলত, তাহলে কোনো হাতির হয়তো লোকালয়ে আসার প্রয়োজন পড়ত না। হাতি তাড়ানো কোনো সমাধান নয়। হাতিগুলো যাবে কোথায়, খাবে কী? হাতি বা বন্যপ্রাণী কীভাবে রক্ষা করা যায়, তাদের আবাসস্থল রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন কীভাবে করা যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। হাতির পাশাপাশি অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এ কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও যুক্ত করতে হবে। মানুষকে পাহাড় ও বন বিধ্বংসী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। মানুষকে বুঝতে হবে, বন্যপ্রাণীকে ধ্বংস করে তারা প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারবে না।

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

হাতির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর দেয়াং পাহাড়-সংলগ্ন কোরিয়ান এক্সেপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) কর্তৃপক্ষ। তারা জেলা প্রশাসনকে বলছে, হাতি দেয়াং পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয়া হোক। স্থানীয় বাসিন্দারাও চান, হাতি সরিয়ে নেয়া হোক। তারা দেয়াং পাহাড়ের হাতি সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন, বিক্ষোভ করেছেন।

হাতি কেন সরিয়ে দিতে হবে? খাবারের খোঁজে মাঝে মাঝেই লোকালয়ে চলে আসে হাতির দল। দিনকয়েক আগে আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নে বন্যহাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সেদিন বাড়ির সামনে হাতি দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক নারী।

বাঁশি বাজিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে বা মশাল জ্বালিয়েও হাতির দলকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গত একযুগে কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় হাতির আক্রমণে ১৫ জন মারা গেছেন। অনেকে হয়েছেন আহত। হাতির কারণে খেতের ফসল ও মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যে কারণে সেখানকার বাসিন্দারা হাতি সরিয়ে নেয়ার কথা বলছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় থেকে হাতি সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তাদের মতে পাহাড় আসলে হাতিদের আবাসস্থল। হাতির আবাসস্থল আর চলাচলের জায়গা ধ্বংস করে মানুষ গড়ে তুলেছে নানা স্থাপনা। মানুষই মূলত হাতির ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নানা কারণেই হয়তো মানুষকে তার বসতির বিস্তৃতি ঘটাতে হয়েছে। তবে সেটা পরিকল্পিতভাবে করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইচ্ছেমতো পাহাড় দখল করে বা বন কেটে ঘরবাড়ি বানানো বা শিল্প কলকারাখানা গড়ে তোলার খেসারত দিচ্ছে বন্যপ্রাণী। মানুষও নানাভাবে এর কুফল ভোগ করছে। তারপরও তাদের সম্বিৎ ফিরছে না।

পাহাড় ও বন যদি রক্ষা পেত, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার মিলত, তাহলে কোনো হাতির হয়তো লোকালয়ে আসার প্রয়োজন পড়ত না। হাতি তাড়ানো কোনো সমাধান নয়। হাতিগুলো যাবে কোথায়, খাবে কী? হাতি বা বন্যপ্রাণী কীভাবে রক্ষা করা যায়, তাদের আবাসস্থল রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন কীভাবে করা যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। হাতির পাশাপাশি অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এ কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও যুক্ত করতে হবে। মানুষকে পাহাড় ও বন বিধ্বংসী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। মানুষকে বুঝতে হবে, বন্যপ্রাণীকে ধ্বংস করে তারা প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারবে না।

back to top