সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে সব মানুষেরই। কিন্তু কোনো কোনো এলাকার বাসিন্দারা সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ তো দূরের কথা বসবাসের জন্য ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাটুকুও পায় না। নানা সমস্যায় তারা জর্জরিত থাকে। কোনো কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের বাস করতে হয় বছরের পর বছর।
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ায় বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আশপাশের একাধিক ডোবা-নালা এবং সানকি নয়নের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে প্রায় পাঁচ মাস জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যে কারণে ভুগতে হয় সেখানে বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবারকে। একটু বৃষ্টি হলেই নর্দমার পানি বাড়ির উঠানে চলে আসে। কখনো কোমর পানি কখনো হাঁটুপানি মাড়িয়ে তাদের চলাফেরা করতে হয়। গত নয় বছর ধরে তারা এই পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার খাল-নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো যেসব খাল-নালা অবশিষ্ট আছে সেগুলো বর্জ্য ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এসব খাল বা নালা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না, যে কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আর এর মূল্য দিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগলেও নাগরিকরা পাননি কোনো সমাধান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নয় বছর যাবত এই দুর্ভোগ পোহালেও এলাকার জলাবদ্ধতার নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। নাগরিকদের একটি সমস্যা বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা কেন করা হচ্ছে সেটা আমরা জানতে চাইব। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ কী? নাগরিক সমস্যা-সংকট দূর করে তাদের স্বচ্ছন্দ জীবন নিশ্চিত করাই তো জনপ্রতিনিধিদের কাজ। একটি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা না হলে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে জনগণের করের টাকা যায় কোথায়।
আমরা বলতে চাই, ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার মৌসুমি জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। সেখানকার খাল ও নালায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। যেসব খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে।
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে সব মানুষেরই। কিন্তু কোনো কোনো এলাকার বাসিন্দারা সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ তো দূরের কথা বসবাসের জন্য ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাটুকুও পায় না। নানা সমস্যায় তারা জর্জরিত থাকে। কোনো কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের বাস করতে হয় বছরের পর বছর।
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ায় বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আশপাশের একাধিক ডোবা-নালা এবং সানকি নয়নের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে প্রায় পাঁচ মাস জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যে কারণে ভুগতে হয় সেখানে বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবারকে। একটু বৃষ্টি হলেই নর্দমার পানি বাড়ির উঠানে চলে আসে। কখনো কোমর পানি কখনো হাঁটুপানি মাড়িয়ে তাদের চলাফেরা করতে হয়। গত নয় বছর ধরে তারা এই পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার খাল-নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো যেসব খাল-নালা অবশিষ্ট আছে সেগুলো বর্জ্য ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এসব খাল বা নালা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না, যে কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আর এর মূল্য দিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগলেও নাগরিকরা পাননি কোনো সমাধান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নয় বছর যাবত এই দুর্ভোগ পোহালেও এলাকার জলাবদ্ধতার নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। নাগরিকদের একটি সমস্যা বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা কেন করা হচ্ছে সেটা আমরা জানতে চাইব। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ কী? নাগরিক সমস্যা-সংকট দূর করে তাদের স্বচ্ছন্দ জীবন নিশ্চিত করাই তো জনপ্রতিনিধিদের কাজ। একটি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা না হলে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে জনগণের করের টাকা যায় কোথায়।
আমরা বলতে চাই, ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার মৌসুমি জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। সেখানকার খাল ও নালায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। যেসব খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে।