alt

সম্পাদকীয়

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে সব মানুষেরই। কিন্তু কোনো কোনো এলাকার বাসিন্দারা সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ তো দূরের কথা বসবাসের জন্য ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাটুকুও পায় না। নানা সমস্যায় তারা জর্জরিত থাকে। কোনো কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের বাস করতে হয় বছরের পর বছর।

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ায় বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আশপাশের একাধিক ডোবা-নালা এবং সানকি নয়নের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে প্রায় পাঁচ মাস জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যে কারণে ভুগতে হয় সেখানে বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবারকে। একটু বৃষ্টি হলেই নর্দমার পানি বাড়ির উঠানে চলে আসে। কখনো কোমর পানি কখনো হাঁটুপানি মাড়িয়ে তাদের চলাফেরা করতে হয়। গত নয় বছর ধরে তারা এই পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার খাল-নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো যেসব খাল-নালা অবশিষ্ট আছে সেগুলো বর্জ্য ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এসব খাল বা নালা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না, যে কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আর এর মূল্য দিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগলেও নাগরিকরা পাননি কোনো সমাধান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নয় বছর যাবত এই দুর্ভোগ পোহালেও এলাকার জলাবদ্ধতার নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। নাগরিকদের একটি সমস্যা বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা কেন করা হচ্ছে সেটা আমরা জানতে চাইব। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ কী? নাগরিক সমস্যা-সংকট দূর করে তাদের স্বচ্ছন্দ জীবন নিশ্চিত করাই তো জনপ্রতিনিধিদের কাজ। একটি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা না হলে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে জনগণের করের টাকা যায় কোথায়।

আমরা বলতে চাই, ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার মৌসুমি জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। সেখানকার খাল ও নালায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। যেসব খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে সব মানুষেরই। কিন্তু কোনো কোনো এলাকার বাসিন্দারা সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ তো দূরের কথা বসবাসের জন্য ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাটুকুও পায় না। নানা সমস্যায় তারা জর্জরিত থাকে। কোনো কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের বাস করতে হয় বছরের পর বছর।

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ায় বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আশপাশের একাধিক ডোবা-নালা এবং সানকি নয়নের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে প্রায় পাঁচ মাস জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যে কারণে ভুগতে হয় সেখানে বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবারকে। একটু বৃষ্টি হলেই নর্দমার পানি বাড়ির উঠানে চলে আসে। কখনো কোমর পানি কখনো হাঁটুপানি মাড়িয়ে তাদের চলাফেরা করতে হয়। গত নয় বছর ধরে তারা এই পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার খাল-নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো যেসব খাল-নালা অবশিষ্ট আছে সেগুলো বর্জ্য ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এসব খাল বা নালা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না, যে কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আর এর মূল্য দিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগলেও নাগরিকরা পাননি কোনো সমাধান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নয় বছর যাবত এই দুর্ভোগ পোহালেও এলাকার জলাবদ্ধতার নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। নাগরিকদের একটি সমস্যা বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা কেন করা হচ্ছে সেটা আমরা জানতে চাইব। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ কী? নাগরিক সমস্যা-সংকট দূর করে তাদের স্বচ্ছন্দ জীবন নিশ্চিত করাই তো জনপ্রতিনিধিদের কাজ। একটি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা না হলে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে জনগণের করের টাকা যায় কোথায়।

আমরা বলতে চাই, ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার মৌসুমি জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। সেখানকার খাল ও নালায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। যেসব খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে।

back to top