alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

: সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে ক্রিয়াশীল প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চেয়েছে। দলটি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি তুলেছে। তারা অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করার ওপর জোর দিয়েছে। সংলাপে অংশ নেয়া আরও কয়েকটি দল একই কথা বলেছে। তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সক্রিয় বিরোধিতা করা জামায়াতে ইসলামী ভিন্ন কথা বলেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলছেন তাদের মূল লক্ষ্য নির্বাচন। তবে নির্বাচন কবে হবে সেটা অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট করেছে না । সরকার নির্বাচনের আগে কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার করতে চাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখনো তাদের কাজ দৃশ্যমান হয়নি। বলা হচ্ছে, এসব কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

সরকারকে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করত হবে। তাদের বলতে হবে, তারা কী করতে চায়, কতদূর যেতে চায়। তাদের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ আছে কিনা সেটাও পরিষ্কার করতে হবে।

কোনো কিছু অস্পষ্ট রেখে কোনো কাজ করা হলে তার ফল কখনো ভালো হয় না। সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সীমা বলতে হবে, এর রোডম্যাপ থাকতে হবে। আর এ কাজে দেশে একটি ঐকমত্য তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে, সংস্কার করার কতখানি এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, এই সরকারের কি কোনো ম্যান্ডেট আছে।

দেশে সংস্কার জরুরি। সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত সরকার সব সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংস্কার করার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষকে তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে দিতে হবে। গণতন্ত্রের পথে ফেরায় বিলম্ব ঘটলে সেটা আদতে কারও জন্য ভালো হয় না। অতীতে দেশবাসীর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে।

এক-এগারোর পর সংস্কারের কথা বলে দেশে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। তখন দুর্নীতি দূর করার কথা বলা হয়েছে জোরেশোরে। বাস্তবে এর ফল উল্টো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এটা মাথায় রাখতে হবে।

আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যার যতটুকু এখতিয়ার সে ততটুকুই করবে। অভিজ্ঞতা বলছে দেশে গণতন্ত্রের সমস্যার মূলে রয়েছে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের উৎকট শাসন’। এজন্য অনেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। বিদ্যমান ব্যবস্থায় মোট প্রদত্ত ভোটের অর্ধেকের কম ভোট পেয়েও একটি দলের পক্ষে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। যে কারণে একটি দলের সামনে সব কিছু কুক্ষিগত করার, কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করার সুযোগ হয়। দেশের এটার শুরু ২০০১ সালের নির্বাচন থেকে। ২০০৮ সালে এরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

অনেকে মনে করেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার করলে কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথের প্রথম দুয়ার বন্ধ হবে। সেখানে দৃষ্টি দেয়া এবং ঐকমত্য তৈরি করাই প্রধান কাজ হাওয়া উচিত। দেশে যত দ্রুত গণতন্ত্র ফিরবে, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজ তত সহজ হবে। দেশে এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পোশাক কারখানায় শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। মসজিদ, মন্দির, মাজার প্রভৃতিতে হামলা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারকে নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা গেছে। এভাবে রাষ্ট্র চলতে পারে না।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে ক্রিয়াশীল প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চেয়েছে। দলটি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি তুলেছে। তারা অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করার ওপর জোর দিয়েছে। সংলাপে অংশ নেয়া আরও কয়েকটি দল একই কথা বলেছে। তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সক্রিয় বিরোধিতা করা জামায়াতে ইসলামী ভিন্ন কথা বলেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলছেন তাদের মূল লক্ষ্য নির্বাচন। তবে নির্বাচন কবে হবে সেটা অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট করেছে না । সরকার নির্বাচনের আগে কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার করতে চাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখনো তাদের কাজ দৃশ্যমান হয়নি। বলা হচ্ছে, এসব কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

সরকারকে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করত হবে। তাদের বলতে হবে, তারা কী করতে চায়, কতদূর যেতে চায়। তাদের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ আছে কিনা সেটাও পরিষ্কার করতে হবে।

কোনো কিছু অস্পষ্ট রেখে কোনো কাজ করা হলে তার ফল কখনো ভালো হয় না। সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সীমা বলতে হবে, এর রোডম্যাপ থাকতে হবে। আর এ কাজে দেশে একটি ঐকমত্য তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে, সংস্কার করার কতখানি এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, এই সরকারের কি কোনো ম্যান্ডেট আছে।

দেশে সংস্কার জরুরি। সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত সরকার সব সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংস্কার করার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষকে তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে দিতে হবে। গণতন্ত্রের পথে ফেরায় বিলম্ব ঘটলে সেটা আদতে কারও জন্য ভালো হয় না। অতীতে দেশবাসীর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে।

এক-এগারোর পর সংস্কারের কথা বলে দেশে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। তখন দুর্নীতি দূর করার কথা বলা হয়েছে জোরেশোরে। বাস্তবে এর ফল উল্টো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এটা মাথায় রাখতে হবে।

আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যার যতটুকু এখতিয়ার সে ততটুকুই করবে। অভিজ্ঞতা বলছে দেশে গণতন্ত্রের সমস্যার মূলে রয়েছে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের উৎকট শাসন’। এজন্য অনেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। বিদ্যমান ব্যবস্থায় মোট প্রদত্ত ভোটের অর্ধেকের কম ভোট পেয়েও একটি দলের পক্ষে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। যে কারণে একটি দলের সামনে সব কিছু কুক্ষিগত করার, কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করার সুযোগ হয়। দেশের এটার শুরু ২০০১ সালের নির্বাচন থেকে। ২০০৮ সালে এরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

অনেকে মনে করেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার করলে কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথের প্রথম দুয়ার বন্ধ হবে। সেখানে দৃষ্টি দেয়া এবং ঐকমত্য তৈরি করাই প্রধান কাজ হাওয়া উচিত। দেশে যত দ্রুত গণতন্ত্র ফিরবে, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজ তত সহজ হবে। দেশে এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পোশাক কারখানায় শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। মসজিদ, মন্দির, মাজার প্রভৃতিতে হামলা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারকে নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা গেছে। এভাবে রাষ্ট্র চলতে পারে না।

back to top