দেশে স্যানিটেশন ব্যবস্থার বেশ উন্নয়ন হয়েছে। এরপরও দেশের অনেক পরিবার স্যানিটেশনের বাইরে রয়ে গেছে। আবার একথাও সত্য যে, স্যানিটেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন।
গাইবান্ধার ১১ লাখেরও বেশি মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কেবল গাইবান্ধায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসের (এসভিআরএস) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ০.৯৪ শতাংশ পরিবারের সদস্য উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করে।
উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ একটি গুরুতর সমস্যা। দেশের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নের ওপর এটা বিরূপ প্রভাব ফেলে। সাধারণভাবে মনে করা হয় গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস ব্যাপক। বাস্তবতা হচ্ছে, স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে এমন এলাকাতেও এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে। দূষিত পানি ও মাটির মাধ্যমে কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ ছড়ায়। উন্মুক্ত মলমূত্র প্রাকৃতিক পরিবেশকে
দূষিত করে। এ কারণে নদী, খাল, এবং অন্যান্য পানির উৎস দূষিত পারে। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ নারীদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে।
জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করা জরুরি। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় আরও পাবলিক টয়লেট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন অনেকে। এক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যমান স্যানিটেশন সুবিধাগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, যেন সেগুলো সবসময় ব্যবহারের উপযোগী থাকে। অনেক পাবলিক টয়লেট ব্যবহার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ রয়েছে। টয়লেট ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাও দেখা যায়। এরপরও এখনো এত মানুষ কেন উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে সমস্যার সমাধান হবে না। নাগরিকদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে নাগরিকদের মধ্যে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব ব্যাপক আকারে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব স্তরে স্যানিটেশন সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান জরুরি। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
দেশে স্যানিটেশন ব্যবস্থার বেশ উন্নয়ন হয়েছে। এরপরও দেশের অনেক পরিবার স্যানিটেশনের বাইরে রয়ে গেছে। আবার একথাও সত্য যে, স্যানিটেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন।
গাইবান্ধার ১১ লাখেরও বেশি মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কেবল গাইবান্ধায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসের (এসভিআরএস) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ০.৯৪ শতাংশ পরিবারের সদস্য উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করে।
উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ একটি গুরুতর সমস্যা। দেশের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নের ওপর এটা বিরূপ প্রভাব ফেলে। সাধারণভাবে মনে করা হয় গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস ব্যাপক। বাস্তবতা হচ্ছে, স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে এমন এলাকাতেও এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে। দূষিত পানি ও মাটির মাধ্যমে কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ ছড়ায়। উন্মুক্ত মলমূত্র প্রাকৃতিক পরিবেশকে
দূষিত করে। এ কারণে নদী, খাল, এবং অন্যান্য পানির উৎস দূষিত পারে। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ নারীদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে।
জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করা জরুরি। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় আরও পাবলিক টয়লেট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন অনেকে। এক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যমান স্যানিটেশন সুবিধাগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, যেন সেগুলো সবসময় ব্যবহারের উপযোগী থাকে। অনেক পাবলিক টয়লেট ব্যবহার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ রয়েছে। টয়লেট ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাও দেখা যায়। এরপরও এখনো এত মানুষ কেন উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে সমস্যার সমাধান হবে না। নাগরিকদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে নাগরিকদের মধ্যে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব ব্যাপক আকারে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব স্তরে স্যানিটেশন সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান জরুরি। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।