alt

সম্পাদকীয়

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

দেশে স্যানিটেশন ব্যবস্থার বেশ উন্নয়ন হয়েছে। এরপরও দেশের অনেক পরিবার স্যানিটেশনের বাইরে রয়ে গেছে। আবার একথাও সত্য যে, স্যানিটেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন।

গাইবান্ধার ১১ লাখেরও বেশি মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কেবল গাইবান্ধায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসের (এসভিআরএস) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ০.৯৪ শতাংশ পরিবারের সদস্য উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করে।

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ একটি গুরুতর সমস্যা। দেশের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নের ওপর এটা বিরূপ প্রভাব ফেলে। সাধারণভাবে মনে করা হয় গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস ব্যাপক। বাস্তবতা হচ্ছে, স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে এমন এলাকাতেও এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে। দূষিত পানি ও মাটির মাধ্যমে কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ ছড়ায়। উন্মুক্ত মলমূত্র প্রাকৃতিক পরিবেশকে

দূষিত করে। এ কারণে নদী, খাল, এবং অন্যান্য পানির উৎস দূষিত পারে। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ নারীদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে।

জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করা জরুরি। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় আরও পাবলিক টয়লেট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন অনেকে। এক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যমান স্যানিটেশন সুবিধাগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, যেন সেগুলো সবসময় ব্যবহারের উপযোগী থাকে। অনেক পাবলিক টয়লেট ব্যবহার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ রয়েছে। টয়লেট ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাও দেখা যায়। এরপরও এখনো এত মানুষ কেন উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে সমস্যার সমাধান হবে না। নাগরিকদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে নাগরিকদের মধ্যে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব ব্যাপক আকারে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব স্তরে স্যানিটেশন সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান জরুরি। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

tab

সম্পাদকীয়

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

দেশে স্যানিটেশন ব্যবস্থার বেশ উন্নয়ন হয়েছে। এরপরও দেশের অনেক পরিবার স্যানিটেশনের বাইরে রয়ে গেছে। আবার একথাও সত্য যে, স্যানিটেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন।

গাইবান্ধার ১১ লাখেরও বেশি মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কেবল গাইবান্ধায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসের (এসভিআরএস) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ০.৯৪ শতাংশ পরিবারের সদস্য উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করে।

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ একটি গুরুতর সমস্যা। দেশের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নের ওপর এটা বিরূপ প্রভাব ফেলে। সাধারণভাবে মনে করা হয় গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস ব্যাপক। বাস্তবতা হচ্ছে, স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে এমন এলাকাতেও এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে। দূষিত পানি ও মাটির মাধ্যমে কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ ছড়ায়। উন্মুক্ত মলমূত্র প্রাকৃতিক পরিবেশকে

দূষিত করে। এ কারণে নদী, খাল, এবং অন্যান্য পানির উৎস দূষিত পারে। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ নারীদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে।

জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করা জরুরি। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় আরও পাবলিক টয়লেট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন অনেকে। এক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যমান স্যানিটেশন সুবিধাগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, যেন সেগুলো সবসময় ব্যবহারের উপযোগী থাকে। অনেক পাবলিক টয়লেট ব্যবহার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ রয়েছে। টয়লেট ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাও দেখা যায়। এরপরও এখনো এত মানুষ কেন উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে সমস্যার সমাধান হবে না। নাগরিকদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে নাগরিকদের মধ্যে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব ব্যাপক আকারে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব স্তরে স্যানিটেশন সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান জরুরি। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top