alt

opinion » editorial

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮ সালে বাঘ ছিল ১১৪টি। ২০২৩-২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী এই সংখ্যা ১২৫টিতে পৌঁছেছে। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে করা জরিপটি সম্পন্ন হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত।

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অন্যতম প্রধান আবাসস্থল সুন্দরবনে একসময় বাঘের সংখ্যা ছিল আশঙ্কাজনকভাবে কম। ১১টা বাঘ বাড়ার এ খবর আমাদের আশান্বিত করেছে। এটাকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা চলে। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। অর্জিত এ সাফল্য ধরে রাখার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। বাঘের সংখ্যা বাড়ানো শুধু এর অস্তিত্বের জন্যই নয়, বরং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে এখনও বহু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। চোরা শিকার এখনও একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে বাঘের চামড়া এবং অন্যান্য অঙ্গের জন্য চোরা শিকারিরা বাঘ শিকার করে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। যে কারণে মানুষের সঙ্গে বাঘের সংঘর্ষও বাড়ছে। এসবই বাঘ রক্ষার জন্য চ্যালেঞ্জ।

চোরা শিকার রোধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। স্থানীয় জনগণকে বাঘ রক্ষায় সচেতন করা প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ দিলে তারা সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারবে, যা বাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হুমকির সম্মুখীন। লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং বনভূমির অবক্ষয় বাঘের বাসস্থানকে সংকুচিত করছে, যা বনের খাদ্যশৃঙ্খলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যে কারণে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করা এবং সেখানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য টেকসই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কার্যক্রম যেমন- বৃক্ষরোপণ, ম্যানগ্রোভ বন পুনরুদ্ধার এবং নদীগুলোর সঠিক প্রবাহ বজায় রাখতে হবে।

বাঘ আমাদের জাতীয় জীববৈচিত্র্যের প্রতীক। এই প্রতীককে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে, আর সুন্দরবন বাঁচলে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকবে। এজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮ সালে বাঘ ছিল ১১৪টি। ২০২৩-২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী এই সংখ্যা ১২৫টিতে পৌঁছেছে। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে করা জরিপটি সম্পন্ন হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত।

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অন্যতম প্রধান আবাসস্থল সুন্দরবনে একসময় বাঘের সংখ্যা ছিল আশঙ্কাজনকভাবে কম। ১১টা বাঘ বাড়ার এ খবর আমাদের আশান্বিত করেছে। এটাকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা চলে। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। অর্জিত এ সাফল্য ধরে রাখার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। বাঘের সংখ্যা বাড়ানো শুধু এর অস্তিত্বের জন্যই নয়, বরং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে এখনও বহু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। চোরা শিকার এখনও একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে বাঘের চামড়া এবং অন্যান্য অঙ্গের জন্য চোরা শিকারিরা বাঘ শিকার করে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। যে কারণে মানুষের সঙ্গে বাঘের সংঘর্ষও বাড়ছে। এসবই বাঘ রক্ষার জন্য চ্যালেঞ্জ।

চোরা শিকার রোধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। স্থানীয় জনগণকে বাঘ রক্ষায় সচেতন করা প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ দিলে তারা সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারবে, যা বাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হুমকির সম্মুখীন। লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং বনভূমির অবক্ষয় বাঘের বাসস্থানকে সংকুচিত করছে, যা বনের খাদ্যশৃঙ্খলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যে কারণে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করা এবং সেখানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য টেকসই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কার্যক্রম যেমন- বৃক্ষরোপণ, ম্যানগ্রোভ বন পুনরুদ্ধার এবং নদীগুলোর সঠিক প্রবাহ বজায় রাখতে হবে।

বাঘ আমাদের জাতীয় জীববৈচিত্র্যের প্রতীক। এই প্রতীককে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে, আর সুন্দরবন বাঁচলে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকবে। এজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

back to top